ইউরোপের এ দেশটির লুসান বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গলবার উন্মোচিত হয়েছে রবিঠাকুরের একটি মূর্তি। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল ব্রোঞ্জের এ মূর্তিটি উন্মোচন করেন বলে জি নিউজ জানায়।
নোবেলজয়ী রবিঠাকুরের বহুমুখী প্রতিভার বর্ণনায় প্রতিভা পাতিল বলেন, "তিনি ছিলেন একাধারে কবি, লেখক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, দার্শনিক। শুধু এতেই শেষ নয়, আধুনিক ভারতের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে তার মতো যোগ্য কেউ নন।"
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে রবিসাহিত্যের অনুপ্রেরণার কথাও তুলে ধরেন প্রতিভা। বক্তৃতায় রবীন্দ্রনাথের সুইজারল্যান্ড সফরের কথাও তুলে ধরেন ভারতের রাষ্ট্রপতি।
বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা রবিঠাকুর। তিনি দেশটির জাতীয় কবিও।
বাংলা সাহিত্যকে রবীন্দ্রনাথ দিয়ে গেছেন এক নতুন মাত্রা। তার রচিত সঙ্গীত, কবিতা ও গদ্য জড়িয়ে আছে বাঙালির সত্ত্বায়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার দীর্ঘ সংগ্রামসহ বিভিন্ন সঙ্কটে রবীন্দ্রনাথের গান ও কবিতা বাঙালিকে যুগিয়েছে সাহস, তার চেতনাকে করেছে শাণিত।
১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলী কাব্যের জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়ে সারা বিশ্বে বাংলা ভাষার মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। বাংলা ভাষায় এটিই এখনো সাহিত্যে একমাত্র নোবেল পুরস্কার।
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সারদা দেবীর চতুর্দশ সন্তান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম বাংলা ১২৬৮ সালের ২৫ বৈশাখ (৭ মে, ১৮৬১ খৃস্টাব্দ)। ১৩৪৮ সালের ২২ শ্রাবণ (৭ অগাস্ট, ১৯৪১ খৃস্টাব্দ) তার মৃত্যু হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
0 comments:
Post a Comment