জার্নাল অব দি আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজিতে এ জরিপভিত্তিক এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে।
হৃদপিন্ডের সুস্থতার সঙ্গে কোকোয়া গ্রহণের সম্পর্ক বিষয়ে আরো প্রমাণ জড়ো করেছে এ গবেষণাটি। তবে অধিক পরিমাণে চকলেট খাওয়ার ব্যাপারে অবাধ অনুমতি দেন নি গবেষকরা।
স্টকহোমের ক্যারোলিনস্কা ইন্সস্টিটিউটের সুজানা লারসন বলেন, চকলেট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়- এ গবেষণায় তা পুরোপুরি প্রমাণিত হয় নি। তবে স্বাস্থ্যগত দিক দিয়ে এর কিছু উপকারিতা রয়েছে বলে আমরা মনে করি।
অত্যাধিক চকলেট খাওয়ার ব্যাপারে হুঁশিয়ারি জানিয়ে তিনি বলেন, চকলেটে চর্বি ও চিনি থাকায় এতে উচ্চ পরিমাণে ক্যালোরিও রয়েছে। তবে মিল্ক চকলেটের তুলনায় কোকোয়ার পরিমাণ বেশি এবং চিনি ও চর্বি কম থাকায়, ডার্ক চকলেট স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী হয়।
এ গবেষণাটিতে ১৯৯৭ সালে ৪৯ থেকে ৮৩ বছর বয়সী নারীদের চকলেট খাওয়ার হার বিষয়ক উপাত্ত ব্যবহার করা হয়। এর পরবর্তী দশকে ওই জরিপে অংশগ্রহণকারী নারীদের মধ্যে মাত্র ১ হাজার ৫৪৯টি স্ট্রোকের ঘটনা ঘটেছে। জরিপে দেখা গেছে, যারা তুলনামূলকভাবে বেশি পরিমাণে চকলেট খেয়েছেন তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি ততোই কমেছে।
এদের মধ্যে যারা সপ্তাহে ৪৫ গ্রাম চকলেট গ্রহণ করেছেন, তাদের মধ্যে বছরে গড়ে প্রতি ১ হাজার জনের মধ্যে ২ দশমিক ৫টি স্ট্রোকের ঘটনা ঘটেছে। যারা সপ্তাহে ৮ দশমিক ৯ গ্রাম চকলেট গ্রহণ করেছেন, তাদের মধ্যে এ হার ছিলো প্রতি বছর ১ হাজার জনের মধ্যে ৭ দশমিক ৪টি।
গবেষকরা বলছেন, চকলেটের মধ্যে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড নামের উপাদান, যা ফ্ল্যাভোনইস নামেও পরিচিত, স্বাস্থ্যের উপর এর প্রভাবই বেশি।
লারসন বলেন, রক্তচাপ, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে এবং রক্তে হৃদপিন্ডের সুস্থতার জন্য দরকারী উপাদানগুলোর সঙ্গে ফ্ল্যাভোনয়েড সম্পর্কিত। তবে এ তথ্যটি এখানো ধারণার পর্যায়ে রয়েছে, এ বাস্তবতা সম্পর্কে আরো গভীর ও বিস্তৃত গবেষণা প্রয়োজন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
0 comments:
Post a Comment