নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে স্থানীয় সময় বিকেল তিনটায় নিরাপত্তা পরিষদের ওই বৈঠক শুরু হবে। তবে ফিলিস্তিনের প্রস্তাবে ভোটাভুটির আগে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে আলাপ-আলোচনায় কয়েক সপ্তাহ, এমনকি মাস খানেক সময়ও লাগতে পারে বলে কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের ওই প্রস্তাব পাসের জন্য ১৫ সদস্যের মধ্যে নয়টি সদস্যরাষ্ট্রের সমর্থন লাগবে। ছয়টি রাষ্ট্র ইতিমধ্যেই ফিলিস্তিনকে সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে। আর সাতটি দেশ এখনো তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেনি। অন্যদিকে কলম্বিয়া বলেছে, তারা ভোট দানে বিরত থাকবে।
এদিকে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্য ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে মতপার্থক্য দূর হওয়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণ বলে জানা গেছে। জাতিসংঘের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে হারেতজ পত্রিকা জানায়, নিরাপত্তা পরিষদে এ ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত গড়াতে পারে। কারণ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির বিষয়টিকে খুবই স্পর্শকাতর বিষয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার বিভক্তি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। কাজেই আলাপ-আলোচনা করে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর সম্ভাবনা ক্ষীণ।
যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো দেওয়ার হুমকি দিয়ে বলেছে, ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হতে পারে। তবে নিষ্ফল এই আলোচনায় আস্থা নেই ফিলিস্তিনিদের। মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, ইসরায়েলি বসতি স্থাপন পুরোপুরি বন্ধ না হলে তাঁরা কোনো আলোচনায় বসবে না। অন্যদিকে, শর্তহীন আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
১৯৬৭ সালে ইসরায়েল পশ্চিম তীর দখল করে নেয়। এরপর ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের জন্য সেখানে ১৩০টি অঞ্চল গড়ে তুলেছে। সেখানে তিন লাখের বেশি ইসরায়েলি বাস করছে। অন্যদিকে, পূর্ব জেরুজালেমে বসবাস করছে আরও দুই লাখ ইসরায়েলি। এসব বসতি অক্ষুণ্ন রেখেই ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় ইসরায়েল। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনিরা চায়, তাদের নতুন রাষ্ট্রের রাজধানী হবে পূর্ব জেরুজালেম। কাজেই সেখানে ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণের তারা ঘোর বিরোধী।
0 comments:
Post a Comment