বেশি দিন আগের কথা নয়। মাত্র ২০ বছর আগেও মানুষের জীবন-যাপন ছিল সহজ। অফিসের কর্মীরা সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য প্রধানত ডেক্সটপ কম্পিউটার ব্যবহার করত। ডেক্সটপের ব্যবহার এখনো আছে। তবে সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে ল্যাপটপ, স্মার্ট-ফোন, ট্যাবলেট ইত্যাদি। বাড়ি, অফিস, ট্রেন, বিমান, কফি হাউস, এমন কোনো জায়গায় নেই, যেখানে এ যন্ত্রগুলো ব্যবহূত হচ্ছে না। আর বিপত্তি এখানেই।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যালান হেজ বলেন, ‘যেকোনো বিমানবন্দরের যাত্রীদের অপেক্ষমাণ জায়গাগুলোতে গিয়ে দেখুন। সেখানে অনেক লোক ল্যাপটপ ব্যবহার করছে। কিন্তু তাদের বসার ধরনটা বেমানানও, যেন দুমড়ানো-মোচড়ানো অবস্থা। এভাবে দীর্ঘক্ষণ কাজ করলে শারীরিক সমস্যা হতে বাধ্য। ভুল পজিশনে ল্যাপটপ ব্যবহার করলে চোখ ব্যথার ঝুঁকি বাড়বে। কবজি, হাত, কাঁধ, ঘাড় ও পিঠ ব্যথাও সৃষ্টি হবে।’
অধ্যাপক হেজ বলেন, ল্যাপটপে কি-বোর্ড ও স্ক্রিন যুক্ত থাকে। তাই টাইপ করার জন্য কোনো আদর্শ স্থানে কি-বোর্ড স্থাপন করা গেলে সমস্যার কিছুটা সমাধান হতে পারে।
আধুনিক প্রযুক্তির আরেকটি ভয়ংকর দিক হচ্ছে, ‘টাচ স্ক্রিন।’ স্ক্রিনে ক্রমাগত আঙুল ব্যবহার করায় এতে ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে। আর এ কারণেই খুব বেশি টাইপের জন্য ট্যাবলেট ব্যবহার করা উচিত নয়।
খুদে বার্তা আমাদের কাজকে সহজ করে দিয়েছে। দীর্ঘক্ষণ গল্প না করে সহজেই মনের কথা বলে দেওয়া যায়। তবে খুদে বার্তা লিখতে বৃদ্ধাঙুলি ব্যবহার করা হয় বলে সতর্ক বার্তা হেজের, ‘আপনি যদি চোট পেতে চান, তাহলে বেশি বেশি খুদে বার্তা লিখুন! এটা কোনো কিছু ধরার ক্ষমতাই কেড়ে নিতে পারে। কারণ বৃদ্ধাঙুল অন্য আঙুলগুলোর চেয়ে বাড়তি সংবেদনশীল।
0 comments:
Post a Comment