ঘুম থেকে উঠেই ধূমপান করলে ক্যানসারের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। এমনকি যারা ঘণ্টাখানেক দেরিতে ধূমপান করে, তাদের থেকে এই আশঙ্কা দ্বিগুণেরও বেশি। ক্যানসারবিষয়ক দুটি গবেষণায় এ ফলাফল পাওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পেন স্টেট কলেজ অব মেডিসিন এবং ক্যানসার রিসার্চ ইউকে ওই গবেষণা দুটি পরিচালনা করে। গবেষণার ফল সম্প্রতি ক্যানসারবিষয়ক জার্নাল ক্যানসার-এ প্রকাশিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পেন স্টেট কলেজ অব মেডিসিনের বিজ্ঞানীরা পাকস্থলির ক্যানসারে আক্রান্ত মোট চার হাজার ৭৭৬ ধূমপায়ী এবং আক্রান্ত নয় এমন দুই হাজার ৮৩৬ ধূমপায়ীর ওপর গবেষণা চালান। তাঁরা দেখতে পান, ঘুম থেকে ওঠার ৩০ মিনিটের মধ্যে যেসব রোগী ধূমপান করে, তারা কমপক্ষে এক ঘণ্টা পরে যারা ধূমপান করে তাদের থেকে প্রায় ৭৯ ভাগ বেশি ক্যানসারের ঝুঁকিতে থাকে।
ক্যানসার রিসার্চ ইউকে তাদের গবেষণার জন্য মোট এক হাজার ৮৫০ জন ধূমপায়ীর ওপর জরিপ চালায়, যাদের মধ্যে এক হাজার ৫৫ জন ছিল মস্তিষ্কে এবং গলায় ক্যানসারে আক্রান্ত। গবেষণায় দেখা গেছে, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর অন্তত যারা এক ঘণ্টা পরে ধূমপান করে, তাদের থেকে প্রথম ৩০ মিনিটে ধূমপায়ীদের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি ৫৯ ভাগ বেশি। অবশ্য এ ফলাফলের কার্যকারণ সম্পর্ক নিয়ে গবেষকেরা নিজেরাই সন্দিহান।
গবেষক দলের প্রধান জোসহুয়া মাস্কার বলেন, এই ধূমপায়ীদের দেহে উচ্চমাত্রার নিকোটিন ও অন্যান্য তামাকসংশ্লিষ্ট বিষাক্ত পদার্থের অস্তিত্ব রয়েছে। যারা সকালে আধা ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ধূমপান থেকে বিরত থাকে, তাদের চেয়ে ওই সময়ের আগেই ধূমপানকারীরা আরও বেশি নেশাসক্ত হতে পারে।
গবেষক রবার্ট ওয়েস্ট বলেন, যারা ঘুম থেকে উঠেই ধূমপানে অভ্যস্ত, তারা প্রতিটি সিগারেট খুব নিবিড়ভাবে টানেন। সুতরাং গবেষণায় পাওয়া ফলাফলের সবচেয়ে ভালো ব্যাখ্যা হতে পারে এমন—যে ব্যক্তি সকাল সকাল ধূমপান শুরু করে, সে বেশি বেশি ধোঁয়া পাকস্থলিতে টেনে নেয়। এতে ক্যানসারের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। বিবিসি। প্রথম আলো
0 comments:
Post a Comment