১৯৩১ সালের ঘটনা। হিটলারের নাৎসি দলের আধাসামরিক গোষ্ঠী স্টারমাবটাইলুং (এসএ) সদস্যরা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যরা যান এমন একটি নৃত্যশালায় হামলা চালিয়ে তিন ব্যক্তিকে হত্যা করে। লিট্টেন এ মামলায় চার এসএ সদস্যের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ গঠনের চেষ্টা করেন। লিট্টেনের উদ্যোগে এতে নাৎসি নেতা হিটলারকে সাক্ষী হিসেবে আদালতে ডাকা হয়। বার্লিনের আদালতকক্ষে আইনজীবী হান্স লিট্টেনের জেরার মুখে ক্রোধে লাল হয়ে গিয়েছিল এডল্ফ হিটলারের চেহারা। এ ধরনের জিজ্ঞাসাবাদের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন না তিনি।
আদালতে লিট্টেন যখন হিটলারকে জিজ্ঞাসা করেন, তাঁর দল কেন সরকার উৎখাতের জন্য জনগণকে উসকানি দিচ্ছে? এ সময় নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন হিটলার। তিনি চিৎকার করে বলেন, ‘এমন কোনো কিছু নেই, যা দিয়ে এটা প্রমাণ করা যাবে।’
নাৎসি পার্টি হচ্ছে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন, হিটলারের এ দাবিও নস্যাৎ করে দেন লিট্টেন। হিটলারকে এভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করার ফল ভোগ করতে হয়েছিল আইনজীবী লিট্টেনকে। পরবর্তী সময়ে নাৎসি পার্টির নিষ্ঠুরতার শিকার হয়েছিলেন তিনি। দলটি ক্ষমতায় আসার পর প্রথম যেসব রাজনৈতিক বিরোধীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, লিট্টেন ছিলেন তাঁদের অন্যতম। হিটলার লিট্টেনের প্রতি এতটাই ক্ষুব্ধ ছিলেন যে অনেক দিন পরও তাঁর নাম শুনতে পারতেন না। বিবিসি।
0 comments:
Post a Comment