সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
বর্তমান সময়ের হাসপাতাল ও রোগীনিবাস
প্রতিটি দেশেই হাসপাতালে মানুষ যায়, ভর্তি হয় নানা কারণে, চিকিৎসা নেয়, অনেকে ভালো হয়, হাসপাতাল ত্যাগ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রতিবছর তিন কোটি ৪০ লাখ মার্কিন হাসপাতাল ত্যাগ করে।
প্রধান যেসব কারণে হাসপাতালে থাকতে হয়, সেগুলোর মধ্যে প্রধান পাঁচটি হলো গর্ভসঞ্চার বা সন্তানপ্রসব, নিউমোনিয়া, হূদযন্ত্রবিকল, করোনারি হূদরোগ ও অস্টিও আর্থ্রাইটিস।
হাসপাতালে যোগ হচ্ছে নতুন প্রযুক্তি
উন্নয়নশীল দেশে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কারণ অন্য রকম হয়, যেমন সংক্রামক রোগ, যক্ষ্মা, ডায়রিয়া, পেটের অসুখ, ডায়াবেটিস জটিলতাসহ শ্বাসযন্ত্রের অসুখ। আছে বিশেষায়িত হাসপাতালও।
হাসপাতালের নথিপত্র সংরক্ষণের কাগজের ব্যবহার কমছে, হচ্ছে ডিজিটাল। ভুলত্রুটি কম হওয়ার জন্য ইলেকট্রনিক মেডিকেল রেকর্ডের প্রচলন বাড়ছে, হাসপাতালের উপাত্ত সহজে পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। অনলাইন ব্যবস্থাপত্র লিখছেন চিকিৎসকেরা, টেস্ট ফলাফল চিকিৎসকদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে অনলাইনে, তাঁরা দেখছেন মেডিকেল ইমেজ। অনেক অতি আধুনিক হাসপাতালে শুরু হচ্ছে রোবটিক সার্জারি, সার্জনরা অন্য কক্ষ থেকে পরিচালনা করছেন রোবটদের। হিপ প্রতিস্থাপন, ডিম্ববাহীনালির সার্জারি, প্রোস্টেট অপসারণ, পিত্তনালি ও কিডনি সার্জারি এবং পাকস্থলী সার্জারিতে ব্যবহূত হয় রোবটিক সার্জারি। বদলে যাচ্ছে হাসপাতালের পরিবেশ। স্মার্ট ডিজাইন হচ্ছে নতুন দিনের প্রত্যাশা। কিছু কিছু ডিজাইন নতুন প্রযুক্তিকে ধারণ করার জন্য উপযোগী হচ্ছে। বায়ু বিশুদ্ধকরণ হয়েছে উন্নত, পানির সিংক বসানো হচ্ছে উপযুক্ত স্থানে, এতে কমছে সংক্রমণের ঝুঁকি। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ, নিদ্রা ও রোগ থেকে সেরে ওঠা সুগম করছে, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে। মৃদু সংগীত, রৌদ্রালোক ও প্রকৃতিদর্শন রোগীদের মনে আনছে আনন্দ, হাসপাতালবাস হয়ে উঠছে তাদের জন্য সুখকর।
হাসপাতাল হয়ে উঠছে পরিবারবান্ধব
অতিথি ও দর্শনপ্রার্থীর জন্য হাসপাতালকে সীমিত করার চল কমছে। পরিবারবান্ধব ডিজাইন ও নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে হাসপাতালে। নতুন দিনের হাসপাতালে পরিবারের সদস্যদের জন্য আরও কক্ষ বরাদ্দ করা হচ্ছে। রোগীকে আরও বেশি পরিবারের সদস্যদের সংস্পর্শে আসার সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে।
হাসপাতালে গড়ে উঠছে ঘরোয়া পরিবেশ
একসময় সন্তান প্রসবের পর সন্তানকে নার্সারিতে এবং মাকে অন্যত্র—এমন চল ছিল। পরবর্তী সময় হাসপাতাল থেকে মা ও সন্তান যেতেন গৃহে, সন্তান পেতেন বোতলের দুধ। পশ্চিমা দেশে তা-ই ছিল। অবশ্য প্রাচ্যের চিত্র ছিল অন্য রকম। মা ও সন্তানের বন্ধন ছিল অচ্ছেদ্য জন্ম থেকেই।
এখন সন্তান প্রসবকাল, প্রসব এবং প্রসব-উত্তর কাল কাটে একই স্থানে। মা ও নবজাতক থাকে একত্রে, গা স্পর্শ করে, সন্তান লালিত হয় মায়ের বুকের দুধ পান করে। প্রাচ্যের এই সংস্কৃতি এখন প্রতীচ্যেও চালু হয়েছে।
চিকিৎসা প্রদানে ত্রুটি প্রতিরোধ
সঠিক ওষুধ যাতে ঠিক রোগীর কাছে পৌঁছায়, এ জন্য ব্যবহূত হচ্ছে নানা প্রযুক্তি। কম্পিউটারাইজড মেডিকেশন নির্দেশ ব্যবহূত হচ্ছে, আরও অন্যান্য নিরাপত্তার উপায় যেমন বারকোড, অ্যালার্ট সিগন্যাল। হস্তলিখিত ব্যবস্থাপত্র বাদ দেওয়া হচ্ছে। আরও নিরাপত্তার জন্য কর্মী প্রশিক্ষণ, এসওপি, সিচুয়েশন অ্যাওয়ারনেস, চেকলিস্ট ও টাইম আউট পদ্ধতি ব্যবহূত হচ্ছে। অপারেশন থিয়েটারে রয়েছে ‘সার্জিক্যাল সেফটি চেকলিস্ট’।
সংক্রমণ প্রতিরোধ
হাসপাতাল হলো আরোগ্য নিকেতন। তবুও হাসপাতালে ভর্তি হয়ে নানা সংক্রমণে মৃত্যু হয় অনেক রোগীর, প্রতিবছর। রক্তে ঘটে সংক্রমণ, সংক্রমণ ঘটে মূত্রপথে এবং অপারেশনস্থলে সংক্রমণ। তবে সঠিক তদারকি, নজরদারি, হাত ধোয়া, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধির উন্নতিতে কমে আসছে হাসপাতালের সংক্রমণ।
রয়েছে বিশেষায়িত হাসপাতাল
বিশেষ বিষয়ে মনোযোগী হওয়ার জন্য, যেমন হার্ট বা স্পাইন সার্জারির বিশেষায়িত হাসপাতাল। এ থেকে পাওয়া যায় সর্বাধুনিক চিকিৎসা ও পরিচর্যা। কম খরচে গুণগতমানের চিকিৎসা সম্ভব হয় অনেক ক্ষেত্রে।
অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী
পরিচালক, ল্যাবরেটরি সার্ভিসেস,
বারডেম হাসপাতাল, সাম্মানিক অধ্যাপক,
ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো
About the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Labels:
Health-Tips,
Thesis,
গবেষনা,
স্বাস্থ্য
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- গীতা সারাংশ
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায়
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
- চোখের পানির রহস্য
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
Popular Posts Last 7 Days
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- সময় নিয়ে কিছুক্ষনের ভাবনা
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
- চোখের পানির রহস্য
- অহংবোধ, তোমার জন্য
- আমি রাজা
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***
0 comments:
Post a Comment