মেয়েটির নাম জেসিকা পারডো। ১৮ বছর বয়সেই তার উচ্চতা এখন ৬ ফুট ৯ ইঞ্চি। জেসিকাকে বলা হয় ব্রিটেনের সবচেয়ে লম্বা অষ্টাদশী। তার এই শারীরিক গঠনের জন্য সে মোটেই বিব্রত নয়। বরং সে গর্বিত। লোকজন তাকে বিশেষ দৃষ্টিতে দেখে। ঘরের বাইরে গেলে সবার চোখে পড়ে যায় সে। লম্বা হওয়ার কারণে জেসিকা হিল জুতা পরতে পারে না। অনলাইনে বা টেইলারিং থেকে বিশেষভাবে তাকে পোশাক তৈরি করিয়ে নিতে হয়।
গাড়িতে চড়তে বা চালাতে গেলে জেসিকা সমস্যায় পড়ে। বিশেষ ধরনের বড় গাড়ির প্রয়োজন পড়ে তার। বাসায় হাঁটা-চলার সময় সতর্কতার সঙ্গে চলতে হয়। দরজা অতিক্রম করার সময় মাথা নিচু করে চলতে হয় তাকে। কোনো অনুষ্ঠানে গেলে জেসিকা সবার পেছনে দাঁড়িয়ে তা উপভোগ করতে পারে। লম্বা হওয়ার কারণে ইতিমধ্যে তার ফেসবুকে অনেক বন্ধু জুটে গেছে। কয়েকজন ছেলে বন্ধুও আছে তার। তার মা লিসা (৪১) একজন প্রশাসক। যদিও তার মা-বাবার ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। জেসিকা তার ছোট ভাই নেইলের (১৭) সঙ্গে মার কাছেই থাকে। ছোট ভাই নেইলের উচ্চতা ৬ ফুট ১০ ইঞ্চি। তার চেয়ে এক ইঞ্চি লম্বা। জেসিকার মা সবার উচ্চতা প্রসঙ্গে জানান, জেসিকার বাবা অ্যান্ড্রুর (৪৩) উচ্চতা ৬ ফুট ৭ ইঞ্চি। আর তার উচ্চতা ৬ ফুটের ওপরে। এ কারণে মেয়ে জেসিকা এবং ছেলে নেইলও উচ্চতায় তাদের ছাড়িয়ে গেছে। জেসিকার ফুফু এবং চাচাও তাদের বাবার মতোই লম্বা। ইংল্যান্ডের ফুটবল স্ট্রাইকার পিটার ক্রাউচের চেয়েও জেসিকা লম্বায় বড়। ইংল্যান্ডের দ্য টল পারসন ক্লাবের সদস্য জেসিকা। জেসিকার মা জানিয়েছেন, অন্তত ১৮ মাস আগে থেকে জেসিকার উচ্চতা আর বাড়ছে না। দ্য মেইল অনলাইন।
0 comments:
Post a Comment