মালবিকা চাইছেন শূন্য। মালবিকা বাংলায় ৬৪, ইংরেজিতে ৬১, অংকে ৫৪, রসায়নে ৬০, পদার্থবিদ্যায় ৫৮, জীববিদ্যায় ৫৪ পেয়েছেন। মালবিকা কিসের ভিত্তিতে অংকে শূন্য পাওয়ার দাবি করছেন—আদালতের এমন প্রশ্নের জবাবে তার আইনজীবী বলেছেন, মালবিকা যে ক’টি অংক কষেছেন নিজে সবই লাল কালি দিয়ে কেটে বাতিল লিখে দিয়েছেন। এ অবস্থায় তার ৫৪ পাওয়ার সুযোগ কোথায়? তিনি বলেন, শিক্ষার্থীর যেমন পরীক্ষার্থীর যেমন পাস করার অধিকার রয়েছে তেমন ফেল করারও অধিকার রয়েছে। তিনি আরো জানান, কয়েকটি বিষয়ে পরীক্ষা দেয়ার পরে মালবিকা বুঝতে পেরেছিলেন, তিনি পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেয়ে পাস করবেন না। ফলে তিনি ভালো কলেজে পড়ার সুযোগ পাবেন না, পছন্দসই কোনো বিষয়েও পড়তে পারবেন না। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করলে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ নেই। তাই দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেয়ার জন্য তিনি অংকগুলো কেটে দিয়েছিলেন।
মালবিকার পরীক্ষার উত্তরপত্র তলব করেছেন এ মামলার বিচারপতি। শিক্ষা সংসদের আইনজীবী আদালতে বলেছেন, মালবিকার খাতায় ‘বাতিল’ করে দেয়া অংকগুলো বিবেচনায় না আনলে তিনি অকৃতকার্য হতেন। তাই লাল কালি দিয়ে কেটে দেয়া অংকগুলোকে মূল্যায়ন করা হয়েছে।
ইত্তেফাক
0 comments:
Post a Comment