নিউইয়র্কে অবস্থিত মনরো কমিউনিটি হাসপাতাল নার্সিং হোমে বসবাস করছেন গিলবার্ট। ডাক বিভাগ থেকে অবসর নিয়ে এখানেই আছেন দীর্ঘকাল ধরে। একই নার্সিং হোমে থাকেন ৮৬ বছর বয়সী ভার্জিনিয়া। ২৫ বছর আগে তিনি বিধবা হয়েছেন। ছবি আঁকায় আছে তাঁর পারদর্শিতা।
বুড়ো কপোত-কপোতী ভাবলেন এভাবে আর নয়, এখন একই কক্ষে থাকলে মন্দ না। কিন্তু বাদ সাধে বেরসিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জানানো হলো, বিয়ে ছাড়া এক কক্ষে থাকা অসম্ভব। কী আর করা! অনেক ভেবেচিন্তে ভার্জিনিয়া দিলেন বিয়ের প্রস্তাব। এতদিনে মনের মানুষকে খুঁজে পেয়ে ভার্জিনিয়াকে হারাতে চাননি গিলবার্টও।
অবশেষে ৬ জুন বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হলেন তাঁরা। বিয়ের সব আয়োজন করেন ভার্জিনিয়ার সন্তান, নাতি-নাতনি ও তাঁদের ছেলেমেয়েরা। অনুষ্ঠানে নবদম্পতির আত্মীয়স্বজন, নার্সিং হোমের চিকিৎসক ও সেবিকারা ছাড়াও বহু গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
বিয়ের পর গিলবার্ট তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমি ভার্জিনিয়াকে ভালোবাসি।’ এতদিন বিয়ে না করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তাঁকে (ভার্জিনিয়া) খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত আমি কখনোই আমার মনের মতো কোনো নারীকে খুঁজে পাইনি।’
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেওয়া এই প্রায় শতবর্ষী মানুষটির জীবনে কোনো অভাব ছিল না। জীবনজুড়ে ছিল শুধুই সফলতা আর সমৃদ্ধি। পেয়েছেন মার্কিন সামরিক পুরস্কার পার্পল হার্ট। তবু এত কিছুর পর তাঁর হূদয়ের একটা জায়গা ছিল শূন্যতায় ভরা। জীবনসঙ্গী হিসেবে কাউকে খুঁজে না পাওয়া। অবশেষে ভার্জিনিয়াকে বিয়ে করে সেই শূন্যতা পূরণ হলো তাঁর। সিবিসি নিউজ।
0 comments:
Post a Comment