বিভিন্ন ধরনের ভয়ে নারীদের ঘরে বেধে রাখার সময় আর নাই। নারীদেরও জনসম্পদ মনে করার সময় এখন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নারীরাও পুরুষের সঙ্গে তালমিলিয়ে সবধরনের পেশাতেই নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিচ্ছে। সে ক্ষেত্রে আমাদের দেশের নারীরা কেন পিছিয়ে থাকবে। কিন্তু উদ্বেগের বিষয়টি হল দলে দলে তৃতীয় বিশ্বের গরিব দেশগুলো থেকে আধাশিক্ষিত, অশিক্ষিত যুবতী গৃহপরিচারিকা নেয় আরবের কয়েকটি দেশ। ইতিমধ্যে মালয়েশিয়া, ফিলিপিন, শ্রীলংকা এই দলে দলে যুবতী গৃহকর্মী পাঠানোর যথেষ্ট তিক্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। তারা মধ্যপ্রাচ্যে নারী রপ্তানি বন্ধ করেছে প্রায়।
সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
সৌদি আরবে নারী গৃহকর্মী পাঠানোর আগে যা ভাবতে হবে
জাহেদ সরওয়ার: ‘সৌদি আরবে নারী গৃহকর্মী পাঠানো নিয়ে উদ্বেগ’ সংবাদটি ৬.৫.২০১১ তারিখের প্রথম আলোয় পড়ি। সংবাদে বিষয়ের বিস্তারিত আলোচনা আছে। সৌদি আরবে অন্যান্য দেশের নারী ভুক্তভোগীদের অভিজ্ঞতার আলোকে কয়েকটা মন্তব্যও আছে। কিন্তু সরকারের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেন প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ ও দুশ্চিন্তা না করতে বারণ করার পর দুশ্চিন্তা আরো বেড়ে গেলো। তিনি কোন ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে সৌদি আরবে নারী গৃহকর্মী পাঠালে সমস্যা হবে না বলছেন, বোধগম্য নয়।
বিভিন্ন ধরনের ভয়ে নারীদের ঘরে বেধে রাখার সময় আর নাই। নারীদেরও জনসম্পদ মনে করার সময় এখন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নারীরাও পুরুষের সঙ্গে তালমিলিয়ে সবধরনের পেশাতেই নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিচ্ছে। সে ক্ষেত্রে আমাদের দেশের নারীরা কেন পিছিয়ে থাকবে। কিন্তু উদ্বেগের বিষয়টি হল দলে দলে তৃতীয় বিশ্বের গরিব দেশগুলো থেকে আধাশিক্ষিত, অশিক্ষিত যুবতী গৃহপরিচারিকা নেয় আরবের কয়েকটি দেশ। ইতিমধ্যে মালয়েশিয়া, ফিলিপিন, শ্রীলংকা এই দলে দলে যুবতী গৃহকর্মী পাঠানোর যথেষ্ট তিক্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। তারা মধ্যপ্রাচ্যে নারী রপ্তানি বন্ধ করেছে প্রায়।
যাইহোক উদ্বেগের বিষয়টা অন্য জায়গায়। জীন পি স্যাসন নামের দক্ষিণ আফ্রিকার এক ডাক্তার কিং ফয়সাল স্পেশালিস্ট হসপিটাল ও রিসার্স সেন্টারে কাজ করতে গিয়েছিলেন। তিনি প্রায় একযুগ সৌদি আরবে অবস্থান করেন। ইতিমধ্যে সৌদি রাজপরিবারের এক প্রিন্সেস সুলতানার সঙ্গে চিকিৎসাসূত্রে তার পরিচয় হয়। সুলতানা শিক্ষিত মহিলা। তার ভেতরে প্রচলিত সৌদি রীতিনীতি সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন দেখা দিলেও শেষ পর্যন্তু তিনি নিজে না লিখে বন্ধু জীন পি স্যাসনকে অনুরোধ করেন তার কথামালা নিয়ে একটা বই লিখতে। যেন সৌদি আরবের সমাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে অবহিত করা যায়। জীন পি স্যাসন তাতে সায় দেন।
সুলতানার কথামালা একটা বইতে সংকুলান না হয়ে তিনটা বইয়ে পরিণত হয়। এই ট্রিলজি ইতিমধ্যে বিশ্বের ব্যাপকসংখ্যক পাঠকের বুকশেলফে স্থান করে নিয়েছে। যথাক্রমে বই তিনটির নাম প্রিন্সেস, ডটার অব এরাবিয়া, ডেজার্ট রয়েল। এই বইগুলোর ভেতর মোটামুটি আরবের অভিজাত শ্রেণী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, আরবে নারীদের স্থান, নারী-পুরুষের সম্পর্ক, বিদেশি নারী শ্রমিকদের পরিস্থিতি ইত্যাদি এসেছে সাবলীলভাবে।
‘প্রিন্সেস’ নামের বইটায় ‘সৌদিয়ায় বিদেশি নারী’ নামের একটা অধ্যায় আছে। সেটাই আমাদের আলোচ্য বিষয়। সুলতানা প্রথম বিদেশি নারী গৃহকর্মীদের সম্পর্কে জানেন ফিলিপিনি যুবতী মারকির কাছে। কারণ মারকি সরাসরি সুলতানার গৃহপরিচারিকা। সৌদিয়ায় গৃহপরিচারিকাদের মধ্যে ১৫ থেকে ৩০ বছরের নারীদের কদর বেশি। আবার শুধু বয়স ঠিক থাকলেও হবে না। স্বাস্থ্য ভালো থাকতে হবে। যেসব নারীর স্বাস্থ্য ভালো তারা পুরুষদের ভাগে আর যাদের স্বাস্থ্য খারাপ তারা মেয়েদের ভাগে।
জীন পি স্যাসন লিখিত সুলতানার ভাষ্যমতে ‘আরো কয়েক সপ্তাহ পর মারকির সাহস কিছু বাড়লে সে তার বান্ধবী মেডেলিনের কথা আমাকে বলল। মেডেলিন সম্পর্কে বলতে গিয়ে সে আমার দেশের নৈতিক মূল্যবোধ সম্পর্কে প্রশ্ন তুললো। তার মাধ্যমেই আমি প্রথম জানলাম তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলো থেকে আমার দেশ সৌদি আরবে যেসব মহিলা কাজ করতে আসে তাদের যৌনদাসী হিসাবে ব্যবহার করা হয়।’
শুধু পুরুষদের হাতে নয়, সৌদি নারীদের হাতে কীভাবে বিদেশি নারী পরিচারিকারা নির্যাতিত হয় তার একটা উদাহরণÑ ‘পাকিস্তান থেকে আগত এক কম বয়েসি পরিচারিকাকে সিঁড়িতে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ায় সে মাথায় গুরুতর আঘাত পায়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগÑ সে দ্রুত কাজ করে না। ময়লা চাদর ও তোয়ালে ধোয়ার জন্য নিচে নামতে গিয়ে অসাবধানতাবশত বাবার দ্বিতীয় স্ত্রীর গায়ে ধাক্কা লাগে। এতে তিনি রেগে গিয়ে মেয়েটার পেটে লাথি মারেন। সে সামলাতে না পেরে সিঁড়ি দিয়ে গড়িয়ে পড়ে যায়। বাবার স্ত্রী মেয়েটার কাছে গিয়ে আবার পেটে লাথি দেয় আর গোঙানি বন্ধ করতে বলে। মেয়েটা নিথর হয়ে গেলে বাবার স্ত্রী বলে, সে ভান করছে। মূলত মেয়েটা তখন আর বেঁচে নেই।’
আরেক মালয়েশিয়ান নারী গৃহপরিচারিকা মেডেলিন প্রথম কাজে যোগ দিয়ে ‘পরিবারের মায়ের মাধ্যমে শিগগিরই জানতে পারলো যে, তার উঠতি বয়সের দুই ছেলের যৌন তাড়না নিবারণের জন্যই তাকে আনা হয়েছে। তাকে বলা হলো একদিন পরপর তার পুত্র রাসেল ও দ্বিতীয় পুত্র ফরিসের সঙ্গে শুতে হবে। কোনো আবেগ ছাড়াই মেডেলিনকে এ কথা বলার পর সে বিচলিত হয়ে পড়লো।’
মেডেলিন যেদিন কাজে যোগদান করে সেদিন গৃহকর্তা হজে মক্কা ছিলেন। কয়েকদিন পর ফিরে আসার প্রথম রাতেই তিনি মেডেলিনকে ধর্ষণ করেন। সে কাঁদছিল। ‘এ সবে সূচনা। কারণ তাকে তার পছন্দ হয়েছিল এবং তাকে ধর্ষণ করে যাচ্ছিল নিয়মিত।’
যাইহোক এই বলে এ অধ্যায়ের শেষ হয় ‘প্রাথমিক প্রচেষ্টাতেই আমার পক্ষে যা জানা সম্ভব হলো তা ছিল বহির্বিশ্ব থেকে আমার দেশে আগত মহিলাদের বিরুদ্ধে আমাদের পুরুষদের নির্মম, ভাষায় প্রকাশের অযোগ্য পাপাচারের কাহিনী। কারণ, সৌদি মহিলারাও মনে করে তাদের পবিত্রতা রক্ষার জন্যই নারী গৃহকর্মীদের ব্যবস্থা করতে হয়। প্রাচ্যের মেয়েরা কার সঙ্গে বিছনায় গেল তা নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। কেননা সৌদি মায়েদের চোখে তাদের পুত্রেরা বাদশাহ।’
বইটিতে সৌদি আরবে বিদেশি নারী শ্রমিকদের অনেক দুর্দশা লিপিবদ্ধ আছে। যদিও আমাদের দেশের নারীরা এর চেয়ে ভালো অবস্থানে নেই। চারদিকে এসিড নিক্ষেপ, অনবরত শিশু ও নারী হত্যা, ধর্ষণ, গণধর্ষণ, শিশু ধর্ষণ, ইভটিজিংয়ের নামে যৌন নিপীড়ন যেন এখন মামুলি ব্যাপার। তবু অন্তত সৌদি আরবে নারী গৃহকর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে সরকারের এ বিষয়গুলো আমলে নেয়া দরকার বলে মনে হয়। কেননা, সৌদিতে যেসব গরিব দেশ দলে দলে নারী গৃহকর্মী পাঠিয়েছিল বিশ্বে তাদের মর্যাদা ইতিমধ্যে যথেষ্ট নিচের দিকে। হারানো মর্যাদা পুনরুদ্ধারের যুদ্ধে নেমে রেমিটেন্সের লোভে আরো গভীর কোনো খাদে পড়ছি কিনা তাও আমাদের ভেবে দেখতে হবে।
লেখক: কবি ও কথাসাহিত্যিক
ই-মেইল: sjahedpoet@gmail.com
About the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Labels:
Report,
আবাক-বাংলাদেশ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- গীতা সারাংশ
- মিলনের উর্বর ও নিরাপদ সময়!
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- মস্তিস্ক গবেষনায় নতুন তথ্য
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
- আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায়
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
Popular Posts Last 7 Days
- মিলনের উর্বর ও নিরাপদ সময়!
- মস্তিস্ক গবেষনায় নতুন তথ্য
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- সময় নিয়ে কিছুক্ষনের ভাবনা
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- গীতা সারাংশ
- আমি রাজা
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
- ৫৪টি দেশের ভিসা চেক করুন ইচ্ছে মত
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***
0 comments:
Post a Comment