সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
কার্ল মার্ক্স এর দর্শন ও কিছু তথ্যচিত্র
সবচেয়ে প্রভাবশালী জার্মানের নাম কি ? এই প্রশ্নটা উত্তর কঠিন । জাতি হিসেবে জার্মানরা পৃথিবীর ইতিহাসের গতিপ্রকৃতি নির্ধারণে অনেক ভূমিকায় ছিলো এবং এখনো আছে । তর্ক সমাধানের দিকে না গিয়ে খুব সহজে দু’টো নাম আলাদা করা যায় – নাম আলাদা করা যায়, যেমন মার্টিন লুথার, কার্ল মার্ক্স । দুইজন দুইপ্রান্তের মানুষ হলেও এদের মধ্যে একটা মিল আছে । মিলটা হলো এরা দু’জনেই বিপ্লবী । মার্টিন লুথার এখনও বহাল তবিয়তে আছেন । মার্ক্সের অবস্থা পরাজিত পক্ষের নেতার মতো ।
তো ধর্মকর্ম ভালো পাইনা বলে আমার কাছে মার্ক্স বুড়োই আগ্রহের বিষয় । জার্মানিতে পা দেয়ার অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিলো মার্ক্সের শহরে যাবো । এই পরিকল্পনাটা বাস্তবে রূপ দেয়াটা জার্মানির দক্ষিনে বাস করা কারো পক্ষে একটু ঝামেলার । কারন মার্ক্সের জন্মশহর ট্রিয়ার একটু বেজায়গায় অবস্থিত । দুরপাল্লার দ্রুতগতির ট্রেন ঐদিক মাড়ায় না । দিনে গিয়ে ঐদিনই ফেরত আসতে যথেষ্ট দৌড়ানির দরকার পড়ে ।
ট্রিয়ার শহরটা জার্মানির প্রাচীনতম শহর । বয়স ২ হাজার বছরের কিছু বেশি । জার্মানি আর্চবিশপ ইলেকটোরালরা (মানে যারা আর্চবিশপ নির্বাচন করতো) এই শহরে বাস করতো । এখনও শহরে ঘুরতে বেরোলে পেল্লায় সাইজের সব প্রাচীন চার্চ, নান-প্রিস্ট আকছার চোখে পড়ে । মার্ক্সের চিন্তা মাথায় নিয়ে শহরে পা দিলে এই বিষয়টা একটু অস্বস্তি জন্ম দিতে পারে ।
মার্ক্সের জন্ম এই শহরে ১৮১৮ সালে । যৌবনে বন, ব্রাসেলস প্যারিস শহরে কিছুদিন বাস করার পর পাকাপাকিভাবে মার্ক্স ট্রিয়ার ছাড়েন ১৮৪৯ সালের দিকে । মালিকানা বদলের পর নানাহাত ঘোরার পর ১৯২৮ সালে বাড়িটা জার্মান বামপন্হী দল এসপিডি কিনে নেয় । তবে সেটা বেশিদিন থাকেনি তাদের কব্জায় । নাৎসি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাড়িটা বাজেয়াপ্ত হয়ে সেটা একটা প্রেসে রূপ নেয় । নাৎসি জার্মানদের তত্ত্বাবধানে ঐ বাড়ি থেকে কি ছাপা হতো সেটা একটা আগ্রহউদ্দিপক বিষয় হতে পারে অনেকের কাছেই । নাৎসিদের পর আবারো বাড়িটা এসপিডির হাতে আসে । এই মুহুর্তে এসপিডির নিয়ন্ত্রনে একটা জাদুঘর হিসেবে আছে বাড়িটা ।
মেইন স্টেশন থেকে মার্ক্সের বাড়িটা হাটাদুরত্বে । শহরের কেন্দ্রের চার্চপাড়া থেকে সোজা নদীর দিকে হাটা দিলে ১০-১৫ মিনিটের রাস্তা । চাচীমতোন একজনকে জিজ্ঞেস করে ঠিক রাস্তা ধরে বাড়িটা খুঁজে বের করা গেলো খুব সহজে । দেখতে আহামরি কিছু না । সাধারণমানের তেতলা বাড়ি । বঙ্গদেশের বিখ্যাত ব্যক্তিরা যেমন সবাই সভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তেমনটা কপাল মার্ক্সের ছিলো না এটা প্রথম দর্শনেই বোঝা যায় ।
ছবি – কার্ল মার্ক্সের বাড়ি
বাড়িতে ঢোকার মুখে দেখলাম সময়সূচী টাঙানো । ইংরেজি, জার্মান আর চায়নিজ ভাষায় ! চায়নিজ দর্শকের সংখ্যার আধিক্য সম্ভবত এটার কারন । দরজা দিয়ে ঢুকতে গিয়ে বুঝলাম জাদুঘর (মিউজিয়ামের বাংলা জাদুঘর কেন ? মার্ক্সের বাড়িতে জাদু দেখবো আমরা গিয়ে ? এই প্রশ্নটা তখন মাথায় এসেছিলো । শেয়ার করলাম ।) দেখতে টাকা লাগবে । মার্ক্সরে বাঁচাতেও পুঁজির দরকার এটা বুঝলাম ।
দরজার সাথে লাগানো রিসেপশনে বসা চাচির কাছে টিকেট কিনে ঢুকে পড়লাম বাসায় । বাসাটা তিনতলা । বেশ কয়েকবার হাতবদল আর রিনোভেশনে ঐটা যে কারো বাস করার জায়গা ছিলো সেটা বোঝার উপায় নেই । বাড়িতে কোন আসবাব বা ব্যবহার্য জিনিসও নেই । নাৎসিরা সব ঝেড়ে পুছে পরিস্কার করে ফেলেছে । এরপর মার্ক্স নিজে বাসার ভেতরের কোন ছবিও তুলে/আঁকিয়ে রাখেননি যে বোঝা যাবে সেখানকার চেহারাটা আদতে কী ছিলো । দেয়াল জুড়ে ডিসপ্লেতে মার্ক্স সম্বন্ধে উদ্ধৃতি, মার্ক্সের তত্ত্ব ইত্যাদি লেখা ।
ট্রিয়ারে কার্ল মার্ক্সের বাড়ি দেখতে যাবো এই ইচ্ছা অনেকের কাছে অনেক বছর ধরে বলেছি । তাদের সবার জন্য পুরো বাড়িটার একটা ভিডিও তুলে এনেছি । বাড়িটার ভেতরের বর্তমান চেহারাটা আশা করি বোঝা যাবে ।
সোভিয়েত পরবর্তী দুনিয়াতে মার্ক্সের অবস্থা অনেক জায়গাতেই ভাসুরের নামের মতো । জার্মানিতে আগে একটা শহর ছিলো মার্ক্সের নামে । দুই জার্মানি এক হবার পরে সেই শহরের নাম থেকে মার্ক্স হটে গেছে । এদের ধর্মীয় গুরু মার্টিন লুথারের নাম অবশ্য এখনও বহাল তবিয়তে তার জন্মশহরের নামের সাথে আছে ।
ছবি – কার্ল মার্ক্স স্ট্রাসে, ট্রিয়ার ।
ট্রিয়ার শহরে মার্ক্সের বাসাটা যেই রাস্তায় সেখানকার নাম আগের মতোই রাখা আছে । চার্চপাড়ার দিক থেকে ঐ রাস্তায় যাবার রাস্তাটার বদলে নগর কর্তৃপক্ষ মার্ক্সের বাসা থেকে নদীর দিকে যেই রাস্তাটা গেছে সেইটার নাম রেখেছেন কার্ল মার্ক্স স্ট্রাসে । ফেরার ট্রেনে ওঠার সময় ভাবছিলাম এইটা একদিক থেকে ভালো । মার্ক্স স্ট্রাসে চার্চের বদলে অন্তত নদীতে নিয়ে যাক পথিকরে ।
টুকিটাকি -
- ট্রিয়ার শহরটা জার্মানির পশ্চিম সীমান্ত এলাকার একটা শহর । ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে প্রায় ৩ ঘন্টা ও লুক্সেমবুর্গ থেকে ৫০ কি.মি. পূর্বে এই শহরটা অবস্থিত ।
- কার্ল মার্ক্সের বাসার ঠিকানা হলো Brückenstraße 10 । মেইন স্টেশন থেকে হাটা দুরত্বে । ট্রেনে থেকে নেমে চার্চের চুড়াগুলো তাক করে প্রথমে চার্চ পাড়ায় যেতে হবে । এরপর কাউকে জিজ্ঞেস করলেই হবে । মার্ক্সের বাসা ট্রিয়ারে পরিচিত জায়গা ।
এখানে ফ্লিকারে দেখতে পারেন ভালো কিছু ছবি ।
নোট : সচলায়তনে প্রকাশিত
About the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Labels:
Life Style,
Personality,
Philosophy,
Philosophy-Religion,
Thesis,
দর্শন,
ধর্ম-দর্শন
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- গীতা সারাংশ
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায়
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
- চোখের পানির রহস্য
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
Popular Posts Last 7 Days
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- সময় নিয়ে কিছুক্ষনের ভাবনা
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
- চোখের পানির রহস্য
- অহংবোধ, তোমার জন্য
- আমি রাজা
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***
0 comments:
Post a Comment