আঙুল দেখে রোগ চেনা

মানুষের হাতের আঙুল বা আঙুলের দৈর্ঘ্যের সঙ্গে মোটর নিউরন রোগের এক ধরনের সম্পর্ক আছে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। বিষয়টি নিয়ে গবেষণার পর ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, হাতের আঙুল দেখে মানুষের বিশেষ ধরনের কিছু রোগ শনাক্ত করা সম্ভব। এ বিষয়ে গবেষণার ফল সম্প্রতি ‘নিউরোলজি, নিউরো সার্জারি অ্যান্ড সাইকিয়াট্রি’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষণায় দেখা যায়, মানুষের আঙুল দেখে রোগ শনাক্ত এবং এর সঙ্গে আঙুলের দৈর্ঘ্যের অনুপাত বিশেষভাবে সম্পর্কিত। গবেষকরা ১১০ জন মানুষের আঙুলের দৈর্ঘ্য মাপেন। এঁদের মধ্যে ৪৭ জন মোটর নিউরন রোগের সবচেয়ে পরিচিত রূপ অ্যামিওট্রোপিক ল্যাটারাল ক্ল্যারোসিসে (এএলএস) আক্রান্ত। এর ফলে পাশের কোষকলায় কাঠিন্য তৈরি হয়, যা স্নায়ুতে প্রভাব ফেলে। গবেষকরা বলছেন, মানুষের চতুর্থ আঙুল, তর্জনী এবং এএলএসের মধ্যে যোগসূত্র আছে। মানুষের আঙুলগুলোর মধ্যকার অনুপাত তাদের বিভিন্ন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, যেমন_খেলাধুলায় দক্ষতা এবং বৈরী আচরণের ওপর প্রভাব ফেলে। আর শিশু মাতৃগর্ভে থাকার সময়ই তাদের এসব আচরণ নির্ধারিত হয়।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কোনো শিশুর চতুর্থ আঙুল ও তর্জনী যদি তুলনামূলক লম্বা হয়, তা দেখে বোঝা যায় জন্মের আগে ‘টেস্টোসটেরোন’ হরমোন তাদের ক্ষেত্রে কী রকম প্রভাব ফেলেছে। বাস্তবেও দেখা যায়, ছেলেদের হাতের অনামিকা তাদের তর্জনী অপেক্ষা লম্বা। কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে এমনটা হয় না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোটর নিউরনের টিকে থাকা এবং পুনর্গঠনের জন্য ‘টেস্টোসটেরোন’ হরমোন প্রয়োজন। আর যেসব মানুষ ‘টেস্টোসটেরোন’ হরমোন ব্যবহার করার সক্ষমতা নিয়ে জন্মায় না, তাদের ক্ষেত্রে মোটর নিউরনের ক্ষয় দেখা দেয়।

সূত্র : বিবিসি অনলাইন।