সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
পেশাগত সাফল্যের কোয়ান্টাম পঞ্চসূত্র
১ম
সূত্র ॥ আস্থা-বিশ্বস্ততা নিজের
প্রতি আস্থা রাখুন। কাজের প্রতি বিশ্বস্ত থাকুন। কাজই হোক আপনার প্রেম। আংশিক নয়, পেশাকে পরিপূর্ণরূপে গ্রহণ করুন।
যখন যে পেশায় থাকবেন, সে পেশার কাজের সঙ্গে একাকার হয়ে
যান। কাজকে অবহেলা করবেন না। গোঁজামিল বা
ফাঁকি দেবেন না। কোনো অপারগতায় অজুহাত দেবেন না।
যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখিয়ে সরল ¯^xKv‡ivw³
করুন। ভান বা অভিনয় নয়, মনের আনন্দে কাজ করুন। প্রয়োজনে
নতুন প্রতিষ্ঠানে যোগ দিন। কাজে বৈচিত্র্য আনুন। যতদিন যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন, ততদিন তার ¯^v_©i¶vq আপনার পক্ষে করণীয় সর্বোচ্চ
প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুন।
২য়
সূত্র ॥ কর্মকৌশল সিদ্ধান্ত নিতে সাহসী হোন; অহেতুক বিলম্ব করবেন না।
প্রজ্ঞাপূর্ণ সিদ্ধান্ত পরিস্থিতিকেই বদলে দেবে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সবচেয়ে কম
ক্ষতি ¯^xKvi করে সবচেয়ে বেশি লাভবান হতে সচেষ্ট
থাকুন। যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করেই সমস্যা
সমাধানের কৌশল ঠিক করুন। প্রতিদিন
অন্তত একজন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হোন। পূর্বপরিচিতদের সঙ্গেও যোগাযোগ অব্যাহত
রাখুন। কাজের প্রয়োজনে অন্যদের সঙ্গে
সুসম্পর্ক ও যোগাযোগের মাত্রা/ধরন ঠিক করুন। আবেগপ্রবণ হবেন না। প্রো-অ্যাকটিভ
থাকুন। অভিমান-অভিযোগ না করে সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নিন।
৩য়
সুত্র ॥ পেশাদারিত্ব অফিসকে বাসায় বা বাসাকে অফিসে
নিয়ে আসবেন না। পেশাগত বা পারিবারিক দুশ্চিন্তা ও সমস্যা যেন একটি অপরটির
শান্তিকে বিঘ্নিতনা করে। কথায়
ও কাজে আন্তরিক প্রাতিষ্ঠানিকতা বজায় রাখুন। কোনো মন্তব্য বা আচরণের প্রেক্ষিতে
বস/ সহকর্মীর সঙ্গে বিরোধে জড়াবেন না। প্রকাশ্যেও কাউকে অপমান বা হেয় করবেন না। কর্মক্ষেত্রে সম্পর্কের জটিলতা বা
ভুল বোঝাবুঝিকে ব্যক্তিগতভাবে না নিয়ে সবসময় সাংগঠনিকভাবে দেখুন। কোনো ভুল হয়ে গেলে যুক্তিখণ্ডন
করবেন না। অন্যেরা বলার আগে নিজেই তা নিঃসংকোচে ¯^xKvi করুন।
৪র্থ
সূত্র ॥ পদ-আনুগত্য চেয়ার/বসের প্রতি আন্তরিক আনুগত্য
প্রদর্শন করুন। তাহলে আপনিও আপনার অধীনস্থদের আনুগত্য লাভ করবেন। প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিটি কাজে বসকেই
সবচেয়ে নির্ভুল মডেল মনে করুন। চাকরির
কাজে বসের কথা ও সিদ্ধান্তকে সবসময় ‘হাঁ’ বলুন। তার প্রতি মনে কোনো ক্ষোভ
রাখবেন না। মনে ক্ষোভ থাকলে বাস্তবেও দূরত্ববেড়ে যাবে। আনুগত্য ও জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে
প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব সাংগঠনিক পদক্রম অনুসরণ করুন। বসের যুক্তিসঙ্গত প্রশংসা করতে
কখনোই কার্পণ্য করবেন না। যেকোনো ছোট আনুকূল্যের জন্যেও তাকে ধন্যবাদ দিন।
৫ম
সূত্র ॥ ক্রম-উৎকর্ষ পেশাভিত্তিক যোগ্যতা-দক্ষতা অর্জনের
মাপকাঠিতে প্রতিদিন নীরবে আত্মপর্যালোচনা করুন। প্রচ্ছন্ন নেতৃত্বের (ঘোষিত নয়, কিন্তু সবকিছুর নিয়ন্তা যেন তিনিই)
অবস্থানে নিজেকে নিয়ে যেতে সচেষ্ট থাকুন। ব্যবস্থাপকীয় গুণাবলি ও সাংগঠনিক
দক্ষতা বাড়ান। তাহলে অন্যদের শক্তিকে কাজে লাগাতে পারবেন। চাকরি সংক্রান্ত ব্যবহারিক জ্ঞান
অর্জনে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করুন। সহকর্মীকে সহযোগী, বসকে অভিভাবক এবং নিজেকে নিজের
প্রতিযোগী মনে করুন। সুস্থ প্রতিযোগিতা আপনার কর্ম-উৎকর্ষকে বেগবানকরবে।
About the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Labels:
Life,
Life Style,
Philosophy,
আত্মনির্মান,
দর্শন,
মুক্তচিন্তা
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- গীতা সারাংশ
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- কাঁচা বাঁশের লাঠি
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- তৌকির-বিপাশার বিরুদ্ধে মামলা
- এবার বিএনপির আওয়ামীকরণ!
- বুদ্ধি, বুদ্ধাংক (I.Q), বুদ্ধাংক নির্নয় (I.Q Test)
- সাহারা মরুভূমির জানা-অজানা
- ওজন কমলে স্মৃতি বাড়ে!
Popular Posts Last 7 Days
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- গীতা সারাংশ
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- Hairy, crazy ants invade from Texas to Miss.
- 10 Surprising Facts About Headaches
- হুমায়ুন আজাদের প্রবচনগুচ্ছ
- বাধাকপির ভেষজ গুণ
- নারীরা মানসিক অবসাদে বেশি ভোগেন
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***



0 comments:
Post a Comment