সম্প্রতি ইউটিউবসহ কয়েকটি ওয়েবসাইটে প্রচারিত ওই ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, উর্দি পরা চার মার্কিন মেরিন সেনা মাটিতে পড়ে থাকা তিন তালেবান যোদ্ধার মরদেহের ওপর প্রস্রাব করছে। ফুটেজ দেখে মনে হয়, ওই দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করার বিষয়েও তারা সচেতন।
তালেবান বাহিনী ওই ভিডিও ফুটেজকে ‘বর্বরোচিত’ উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছে। তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘এটা বর্বরোচিত কাজ। গত ১০ বছরে এ ধরনের বহু ঘটনা ঘটেছে, যা প্রকাশিত হয়নি। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করার পর উপযুক্ত বিবৃতি দেব।’
তবে এ ঘটনা শান্তি আলোচনায় প্রভাব ফেলবে না উল্লেখ করে জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘শান্তি আলোচনা বর্তমানে বন্দিবিনিময়ের পর্যায়ে রয়েছে এবং নতুন ইস্যুটি আলোচনায় প্রভাব ফেলবে না বলে আমি মনে করি।’
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন ওই ভিডিও ফুটেজের সত্যতা এখনো পরীক্ষা করে দেখেনি। তবে পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কারবি ওই ঘটনাকে ‘ঘৃণ্য, অস্বস্তিকর ও অগ্রহণযোগ্য’ অভিহিত করে বলেছেন, উর্দি পরা অবস্থায় কোনো সেনার কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়।
আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের এক দশকের যুদ্ধকালীন সময়ে বেশ কয়েকটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন এ ঘটনায় দেশটিতে মার্কিনবিরোধী উত্তেজনা বাড়তে পারে। এতে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের মাধ্যমে দেশটির পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
চলতি সপ্তাহে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে ওবামার বিশেষ প্রতিনিধি মার্ক গ্রসম্যান আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এবং তুরস্ক, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে এই ভিডিও ফুটেজের বিষয়টি প্রকাশ পেল। প্রেসিডেন্ট কারজাইয়ের উচ্চপর্যায়ের শান্তি কমিটির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ভিডিও ফুটেজের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ‘এ ধরনের তৎপরতা শান্তি উদ্যোগের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। এ ধরনের ভিডিও দেখিয়ে তালেবান সহজেই তরুণ সদস্য সংগ্রহ করতে পারবে।’ রয়টার্স ও এএফপি।
0 comments:
Post a Comment