পুলিশের দাবি, এসব ঘটনার সঙ্গে বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা জড়িত। মতিঝিলে ককটেল বিস্ফোরণে আরিফুজ্জামান (২৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গাড়িসহ তাঁরা আটটি গাড়ি পুড়িয়েছেন। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এসব ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ এ পর্যন্ত দুজনকে আটক করেছে।
মতিঝিলে একজনের মৃত্যু: মতিঝিলে ঘরোয়া হোটেলের সামনে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আকস্মিক ককটেল হামলায় আরিফুজ্জামান নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে।
মতিঝিলে ককটেল বিস্ফোরণের সময় উপস্থিত মতিঝিল থানা পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বজলুল রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, ককটেল হামলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।
পরে নিহতের পকেটে থাকা ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে পুলিশ জানতে পারে তাঁর নাম আরিফুজ্জামান। বাবার নাম জয়নাল আবেদিন। বাড়ি শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে।
নিহতের পকেটে পাওয়া একটি ভিজিটিং কার্ডের নম্বরে ফোন দেওয়া হলে এক নারী নিজেকে আরিফুরের বোন বলে পরিচয় দেন। তিনি জানান, আরিফুর উত্তর বাড্ডায় থাকতেন।
ককটেল হামলায় আহত দুজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সা নিতে যান। সেখান থেকে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশের বক্তব্য: ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (সদর দপ্তর) হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, পল্টন, প্রেসক্লাব এলাকায় জামায়াতের কর্মীরা সক্রিয় ছিলেন। তবে অন্যান্য এলাকায় বিএনপির কর্মীরা সক্রিয় থেকে এসব সহিংস ঘটনা ঘটান।
পুলিশ জানিয়েছে, রাজধানীর মতিঝিল, পিজি হাসপাতালের সামনে, পরিবাগ, নটরডেম কলেজের সামনে, বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ও সায়েদাবাদে অনেকগুলো ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ ছাড়া মতিঝিল, শান্তিনগর মোড়, মহানগর নাট্যমঞ্চ, ফার্মগেট এলাকা, গোলাপশাহ মাজার, আব্দুল্লাহপুর ও তেজগাঁওয়ে আটটি গাড়ি পোড়ানো হয়। এর মধ্যে একটি পুলিশের গাড়িও আছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মাসুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা রাজধানীর মতিঝিল, বিজয়নগর, ফকিরের পুল, কারওয়ান বাজার, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন এলাকায় খণ্ড খণ্ড দলে আকস্মিক হামলা চালান। এ সময় তাঁরা গাড়ি ভাঙচুর, গাড়িতে আগুন ও ককটেল বিস্ফোরণ করে জনমনে আতঙ্ক তৈরি করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রয়োজনীয়সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি: মতিঝিল এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার সময় উপস্থিত ব্যক্তিরা দাবি করেছেন, হামলাকারীরা জামায়াতের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেয় এবং হামলা চালিয়ে কিছুক্ষণ পরই এলাকা ছেড়ে চলে যায়।
শহরে তাণ্ডব: মতিঝিল, বিজয়নগর, ফকিরের পুল, কারওয়ান বাজার, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন এলাকায় আজ সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে খণ্ড খণ্ড দলে আকস্মিক হামলা চালানো হয়। এ সময় হামলাকারীরা গাড়ি ভাঙচুর, আগুন ধরিয়ে দেওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় একের পর এ ধরনের সহিংস ঘটনায় শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। Prothom-alo
0 comments:
Post a Comment