গবেষকেরা বলছেন, রাতে ঘুমের মধ্যেই এই জিনের কার্যকারিতা বাড়ে, সে কারণেই এ বেশি ঘুম। প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন ইউরোপীয়র মধ্যে এই জিন পাওয়া গেছে। গবেষকেরা বলেছেন, ঘুমের প্রয়োজন একেক জনের জন্য একেক রকম। আর এ কারণেই মার্গারেট থ্যাচার রাতে মাত্র চার ঘণ্টা ঘুমাতেন। আর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন ঘুমাতেন ১১ ঘণ্টা।
নেদারল্যান্ড, ইতালি, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশের নারী-পুরুষের ওপর এ জরিপ চালানো হয়। জরিপে অংশগ্রহণকারীরা গবেষকদের জানান যে তাঁরা কয় ঘণ্টা ঘুমান। অনেকেই বলেছেন, সাধারণত ছুটির দিনে তাঁরা বেশি ঘুমান। দেখা গেছে, যাদের শরীরে এবিসিসি৯ জিন রয়েছে তারা আট ঘণ্টারও বেশি সময় ঘুমান।
এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য বিজ্ঞান কেন্দ্রের গবেষক জিম উইলসন বলেন, মানুষ তার জীবনের এক-তৃতীয়াংশ সময় ঘুমিয়ে কাটায়। তবে বয়স, আবহাওয়া—এসব কারণে মানুষ অনেক সময় বেশি ঘুমায়। ঘুম-বিশেষজ্ঞ নেইল স্ট্যানলি বলেছেন, ঘুমের পরিমাণ মানুষের স্বাস্থ্য ও আচরণে প্রভাব ফেলে। তিনি বলেন, প্রায় ছয়টি জিনের সঙ্গে ঘুমের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। আর মানুষের আচরণে এসব জিনের প্রভাব খুবই কৌতূহলোদ্দীপক। prothom-alo
0 comments:
Post a Comment