সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
আমেরিকায় গবাদিপশুর রহস্যময় হত্যাকান্ড-দায়ী এলিয়েনরা?
কলোরাডোর টম মিলার বংশ পরম্পরায় গবাদিপশু প্রতিপালন করে আসছেন। তাই কিভাবে পশুদের যত্ন নিতে হয় তা তিনি খুব ভালোই জানেন। যেটা তিনি বুঝতে পারছেন না সেটি হলো ১৯৯৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তার খামারের পশুগুলোকে কে বা কারা একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর নৃশংসভাবে হত্যা করছে। মিলার বলেন, আমার খামারে অনেক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে , কিন্তু আমি এর কোনটিরই কোন ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে পারিনি। এমনকি কেউ আমাকে এই বীভৎস ঘটনার কোন ব্যাখ্যাও দিতে পারে নি।
পুরো আমেরিকা জুড়ে ১৯৬০ সাল থেকেই বিভিন্ন স্থানে পশুদের বীভৎস হত্যাকাণ্ডের কথা শোনা যাচ্ছে। কিন্তু মিলার আজ থেকে ১৪ বছর আগে নিজের খামারেই যখন প্রথম এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে দেখলেন, তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। তিনি বলেন, “প্রথমে আমি ভেবেছিলাম গরুটি স্বাভাবিকভাবেই মারা গিয়েছে। কিন্তু কাছে গিয়ে যা দেখলাম, তা ছিল ভয়াবহ। গরুটির চোখ, জিহ্বা, কান, এমনকি প্রজনন অঙ্গ পর্যন্ত কেউ কেটে নিয়ে গিয়েছিল! শরীরে অবশিষ্ট ছিল না এক ফোঁটা রক্ত!”
যে ঘটনা মিলারকে আরো হতবুদ্ধি করে দিল সেটি হচ্ছে পশুগুলোর অঙ্গ কেটে ফেলার ধরণ। এগুলো এত নিখুঁতভাবে কাটা হয়েছে যে সেগুলো থেকে এক ফোঁটা রক্তও ঝরে নি! এমনকি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পশুগুলোর দেহের অঙ্গগুলো থেকেও নয়! অস্বাভাবিক ঘটনা নিয়ে কাজ করেন এরকম একজন সাংবাদিক হচ্ছেন নিক রেডফার্ন। তিনি বলেন, ভিনগ্রহের প্রাণীতে বিশ্বাস করেন, এরকম কয়েকজন বিজ্ঞানীর ধারণা, ভিন্ন গ্রহের প্রাণীরা বিভিন্ন সংকর প্রাণী তৈরির জন্য গরুর রক্ত ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, “পুরো ঘটনাটি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী বলে মনে হতে পারে। কিন্তু যেখানে মানুষই জিন খণ্ডিতকরণের মত সূক্ষ্ম কাজ করতে পারছে সেখানে আমাদের চেয়েও প্রযুক্তিতে অগ্রসর কেউ কি একই ধরণের সূক্ষ্মতর কাজ করতে পারে না? অবশ্যই পারে!” পশুদের এই রহস্যময় হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রায় ২০ বছর ধরে গবেষণা করছেন ক্রিস ও’ব্রিয়েন। তিনি নিক রেডফার্নের বক্তব্যের সাথে একমত হতে পারেন নি। তার প্রশ্ন, “কোন ভিন্ন গ্রহের প্রাণীদের কি এমন জরুরী দরকার হতে পারে যে শত শত আলোকবর্ষ দূর থেকে আমাদের পৃথিবীতে এসে বিভিন্ন খামার থেকে পশুর অঙ্গ কেটে নিয়ে যেতে হবে! এই তত্ত্ব যুক্তিতে টেকে না।”
তার মতে এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে পৃথিবীরই কারো হাত রয়েছে। কোন অজ্ঞাত এজেন্সি হয়তো আমাদের খাদ্য শৃঙ্খলের উপর কঠোর নজর রাখছে যাতে ‘বভিন স্পঞ্জিফর্ম এন্সেফালোপ্যাথি’ (ম্যাড কাউ ডিজিজ) মহামারী আকারে ছড়িয়ে যেতে না পারে। এটি ১৯৯৬ সালে ইংল্যান্ডে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল। সেসময় যদিও প্রায় সব আক্রান্ত পশুকে মেরে ফেলা হয়েছিল ও তাদের দেহকে জৈবসারে পরিণত করা হয়েছিল। যেগুলো পরে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছিল। ক্রিস ও’ব্রিয়েনের মতে খুব সম্ভবত সে সময় ম্যাড কাউ রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী ‘প্রিয়ন’ (ভাইরাসের রোগ সৃষ্টিকারী শূন্য আবরণ)গুলোকে পুরোপুরি ধ্বংস করা যায় নি। তার মতে, কেউ একজন নির্দিষ্ট কিছু প্রাণীকে হত্যা করছে এটি পরীক্ষা করার জন্য যে ভবিষ্যতে এই জীবাণুর মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কতটুকু।
এদিকে কলোরাডোর পশুবিশেষজ্ঞ ট্রুম্যান স্মিথের মতে এই গবাদিপশুগুলো আসলে কোন হিংস্র প্রাণীর আক্রমণের শিকার। এতে রহস্যের কিছু নেই। কিন্তু টম মিলারের প্রশ্ন, “কোন হিংস্র প্রাণী কেন একটি গবাদিপশুর ১১ পাউন্ড রক্তের সবটুকুই খেয়ে ফেলবে আর মৃতদেহটিকে ফেলে যাবে?”
বেশ, এই প্রশ্নটির উত্তরে বিশেষজ্ঞ মহল এখনো নীরব।
About the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Labels:
রহস্যময়,
সারা বিশ্ব
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- গীতা সারাংশ
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায়
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
- চোখের পানির রহস্য
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
- মুক্তিযুদ্ধের ৫ ওয়েবসাইট
Popular Posts Last 7 Days
- গীতা সারাংশ
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- সময় নিয়ে কিছুক্ষনের ভাবনা
- ভালোবাসা-০২
- বাঁচতে হলে হাসতে হবে
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
- চোখের পানির রহস্য
- অহংবোধ, তোমার জন্য
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***
0 comments:
Post a Comment