প্রাচীনকালে আয়ুর্বেদিক জাদুছোঁওয়ায় তেলের ব্যবহার ছিল অন্যতম। সেই আয়ুর্বেদের কুমকুমাদিতৈলম তো আমরা এখন সাধ করে পকেট ফাঁকা করে হলেও শরীরে ছুঁইয়ে নিই স্পেশালিস্টদের সাহায্যে। এখন কথা হচ্ছে কীভাবে আর কোন কোন তেল মাখবেন তাই তো? ত্বকের জন্য বাদাম তেলের কিন্তু জুড়ি নেই। চিটচিট করে বলে তেলের প্রতি আমাদের নাক সিঁটকানো ভাব থেকেই যায়। কিন্তু একটু দামি বডি বা বাথ প্রোডাক্টের আমন্ড অয়েল নন গ্রিজি হয়। স্নানের আগে সপ্তাহে ৩ দিন ১৫ মিনিট হালকা হাতের মাসাজ রক্তসঞ্চালন দ্রুত করবে। স্নানের শেষে ত্বক হবে ঝরঝরে অথচ কোমল।
আবার ব্লিচিংয়ের ফলে ত্বকের ওপর যে কালো ছোপ পড়ে গিয়েছে, তা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করতে পারেন সানফ্লাওয়ার অয়েল। বেশ কিছু চেনা-অচেনা তেলের ব্যবহারের কথা জানলেও আমরা যেন অতি পরিচিত নারকেল তেলের গুণের কথা না-ভুলে যাই। ঠোঁটের কালো ছোপ থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন রাতে নারকেল তেল মেখে ঘুমোন। তাছাড়া সপ্তাহে ২ দিন নারকেল তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মেখে চান করলে ত্বক কোমল-উজ্জ্বল তো হবেই, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির বিরুদ্ধে কাজ করতেও সক্ষম হবে। এমনকি, গরমকালেও হাতের তালু রুক্ষ হওয়ার সমস্যা যাঁদের আছে, উপকার পাবেন তারাও। এবার বুঝলেন তো, তেল দেওয়াও বেশ কাজের জিনিসই বটে!
0 comments:
Post a Comment