শেষ পর্যন্ত ধরা পড়লেন ওই তরুণী (৩২)। প্রতারিত স্বামীরা তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। এ রকম একটি মামলায় মঙ্গলবার গভীর রাতে বোয়ালিয়া থানার পুলিশ রাজশাহী নগরের প্যারামেডিকেল রোডের একটি বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বাড়ি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায়।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন, সর্বশেষ প্রতারণার শিকার এক কলেজশিক্ষকের মামলায় ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই শিক্ষককে ফাঁদে ফেলে তিনি এক লাখ ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণও আদায় করেন। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক সোমবার থানায় মামলা করেন। গ্রেপ্তারের সময় তাঁর বাসায় আরেক যুবককে পাওয়া যায়।
জিয়াউর রহমান বলেন, ১৯৯৮ সালে রাজশাহীর একটি কলেজে পড়ার সময় ওই নারী নিজের চাচাতো ভাইকে প্রথম বিয়ে করেন। আট বছর সংসার করার পর তিনি কুষ্টিয়ায় আরেক যুবককে বিয়ে করেন। এই ঘরে তাঁর ছয় বছরের একটি সন্তান রয়েছে। এরপর তিনি আরও কয়েকটি বিয়ে করেন। ওসি বলেন, মাদকই তাঁকে এই প্রতারণার পথে ঠেলে দিয়েছে। মাদকের জন্য তাঁকে প্রতিদিন দুই হাজার টাকা জোগাড় করতে হয়। এর জন্য যত কৌশল দরকার, তিনি তা বেছে নিতেন। প্রতারণার শিকার বাঘা উপজেলার একজন কাজি গত বছর তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে আরেকটি মামলা করেন।
ওই মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিয়ের মাত্র সাত দিন আগে ওই নারী বাঘা উপজেলার এক যুবককে বিয়ে করেন। প্রতারিত হওয়ার পর ভুক্তভোগী ব্যক্তি জানতে পারেন, ওই নারী আরও চারজনকে বিয়ে করেছেন। ইতিমধ্যে তিনি এই ব্যক্তির কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে ৯০ হাজার টাকাও আদায় করেন।
PROTHOM-ALO
0 comments:
Post a Comment