একরামুলের প্রথম স্ত্রী তাঁর সঙ্গেই থাকেন, আর সুফিয়ার প্রথম স্বামী ১৫ বছর আগে মারা গেছেন। এই বিয়েতে একরামুলের প্রথম স্ত্রীর সমঞ্চতি ছিল, তিনি বিয়েতে উপস্থিতও ছিলেন। তাঁরা পেশায় ভিক্ষুক। একরামুল দুই স্ত্রীকে নিয়ে পৌর শহরের রেলস্টেশনসংলগ্ন শহীদ ছমিরউদ্দিন মণ্ডল সঞ্চৃতি পার্কে অবস্থান নিয়েছেন। নবদম্পতির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সুফিয়া খাতুন তাঁর প্রথম স্বামী ধনা মিয়ার সঙ্গে আক্কেলপুর উপজেলায় ভিক্ষা করতেন। ১৫ বছর আগে স্বামী মারা গেলে তিনি নাটোরের আবদুলপুরে চলে যান। সেখানেই তিনি ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন। একরামুল ইসলাম প্রথম স্ত্রী ছোবেদা বেগমকে নিয়ে এই উপজেলায় ভিক্ষা করছিলেন। প্রায় এক মাস আগে একরামুল ইসলাম প্রথম স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে নাটোরে যাওয়ার উদ্দেশে ট্রেনে চড়েন। নাটোর রেলস্টেশনে না নেমে তাঁরা ভুলে আবদুলপুর স্টেশনে নামেন। ভিক্ষা করতে করতে স্টেশনে একরামুলের সঙ্গে সুফিয়ার পরিচয় ও ভালো লাগা।
একরামুল দম্পতি কয়েক দিন পর আবার আক্কেলপুরে ফিরে আসেন। ভালোবাসার টানে সুফিয়া খাতুন গত মঙ্গলবার ট্রেনে চড়ে আক্কেলপুরে চলে আসেন, অনেক খোঁজাখুঁজির পর একরামুলের সন্ধান পান। একরামুলকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। একরামুলের প্রথম স্ত্রী এতে সমঞ্চতি দেন। সুফিয়া খাতুন জানান, এই বয়সে তিনি একা চলাফেরাও করতে পারেন না। পৃথিবীতে আপন বলতে কেউ নেই। বিয়ের মাধ্যমে আপন মানুষ খুঁজে পেয়েছেন। এখন মৃত্যু হলেও স্বামী ভালোভাবে লাশের দাফন করবেন। একরামুলের প্রথম স্ত্রী ছোবেদা বেগম বলেন, ‘সুফিয়া অন্ধ মানুষ। সেই মুক কল তোর স্বামী দিয়ে হামাক বিয়া দে। মুই সুফিয়ার কথায় রাজি হয়ে গেনু। মোরা কাজির বাড়িত যায়্যা মুই নিজেই বিয়্যাত টিপসই দিচি।’
0 comments:
Post a Comment