গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স কাউন্সিলের (এনআইসি) প্রতিবেদনে উন্নত দেশগুলোতে প্রবীণদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি প্রবৃদ্ধি ও মানুষের জীবনযাত্রার মান কমে যাওয়ার বিষয়েও সতর্কবাণী উচ্চারণ করা হয়েছে। চার বছর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার সঙ্গে তাল রেখে ‘গ্লোবাল ট্রেন্ডস ২০৩০’ প্রতিবেদনটিও চার বছর পর প্রকাশিত হলো।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কৌশলগত ভাবনা সমৃদ্ধ করাই এ ধরনের তথ্য প্রকাশের লক্ষ্য। বিশ্বব্যবস্থায় রূপান্তরের যে ‘লক্ষণীয় গতিধারা’, তাতে সবার বৃহত্তর মনোযোগ আকর্ষণও এর লক্ষ্য।
এনআইসি ইঙ্গিত দিয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের যৌথ ক্ষমতার চেয়েও বেশি এশিয়ার ‘সার্বিক ক্ষমতা’র অধিকারী হওয়ার মূলে ভূমিকা রাখবে এর জনসংখ্যার আকার, মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি), সামরিক ব্যয় ও প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ—এ বিষয়গুলো।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০৩০ সালের কিছু আগে চীন একাই যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে সম্ভবত বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। ইতিমধ্যে ইউরোপ, জাপান ও রাশিয়ার ক্রমাবনতিশীল ধীরগতির অর্থনৈতিক মন্দাও অব্যাহত থাকতে পারে। তবে বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হলেও চীন যুক্তরাষ্ট্রের ছাঁচে পরাশক্তির ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারবে বলে মনে করে না সংস্থাটি। যেমন যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে চাপ প্রয়োগ করে রাষ্ট্রগুলোকে একটি জোটে নিয়ে আসতে সক্ষম।
সংস্থার উপদেষ্টা ম্যাথিউ বারোস এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘বিশ্ব নেতৃত্ব দিতে শীর্ষ ক্ষমতাধর অর্থনৈতিক শক্তি হওয়া গুরুত্বপূর্ণ... কিন্তু এ রকম একটি শক্তি যে সব সময় পরাশক্তি হবে, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়।’ বিবিসি।
0 comments:
Post a Comment