নতুন এ গবেষণা আরো জানাচ্ছে, মানুষ তার বুদ্ধিমত্তার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছেছিল খ্রিস্টপূর্ব ৪০০০ বছরে। যখন মানুষকে লড়তে হয়েছে বন্য প্রাণী আর প্রকৃতির সঙ্গে। আত্মরক্ষার্থে বুদ্ধি ও দক্ষতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হয়েছে সে সময়ের মানুষকে। যে যুক্তিবোধ ও বিবেচনাকে আমরা ‘বুদ্ধি’ হিসেবে চিহ্নিত করছি, তার উদ্ভব ঘটেছিল খ্রিস্টপূর্ব পাঁচ লাখ থেকে ৫০ হাজার বছরের সময়ে। আফ্রিকায় সেই সময় মানুষকে খুঁজতে হয়েছে শিকার আর নিরাপদ আশ্রয়।
যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানী অধ্যাপক গেরাল্ড ক্র্যাবটি বলেন, “বুদ্ধিমত্তার জন্য যে দুই থেকে পাঁচ হাজার চিহ্নিত ‘জিন’ কার্যকর থাকে তার মধ্যে কিছু জিন প্রতিনিয়ত তার আগের দক্ষতার নিচে নেমে আসছে। এভাবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে জিনের কার্যকারিতা কমে যাওয়া এ সাক্ষ্যই দিচ্ছে, সভ্যতা মানুষের বুদ্ধিমত্তার স্কেলকে নিচে নামিয়ে আনছে।” বিজ্ঞানীরা বলেছেন, জিনের কোন বৈশিষ্ট্য বুদ্ধিমত্তার স্কেল নির্ধারণে ভূমিকা রাখছে তা চিহ্নিত করাই এখন তাঁদের লক্ষ্য। বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করতে পারলে ভবিষ্যতে আরো বুদ্ধিমান প্রজন্ম তৈরি করা সম্ভব হবে। সূত্র : টেলিগ্রাফ।
0 comments:
Post a Comment