ছিলেন \’আকর্ষণীয়া\’।)। যাহোক, একে একে সব পুরুষদের ওপর গবেষণাটি চালানো হয়। তাদের বলা হয়, সু্ন্দরী ওই নারী তাদের কাছে ঘেঁষবেন। খেয়াল রাখতে হবে দুজনের মাঝখানে দূরত্বটা কতটুকু থাকলে সেটাকে আদর্শ, গ্রহণযোগ্য মনে হয় এবং কোন পর্যায়ে গেলে কিছুটা অস্বস্তি ভাব আসে।
ড. হার্লমান বলেন, যেহেতু এ ধারণা প্রচলিত যে অক্সিটসিন মানুষের বিশ্বস্ততা বাড়ায় তাই আমরা আশা করেছিলাম এই হরমোন ব্যবহার করা হলে তার প্রভাবে পুরুষ একজন অপরিচিত নারীকে আরো কাছে পেতে চাইবেন। কিন্তু এর উল্টোটা ঘটতে দেখলাম গবেষণায়। অর্থাৎ ওই সুন্দরী নারী যতোই কাছে ঘেঁষছিলেন প্রয়োগ করা হরমোনের প্রভাবে পুরুষ ততোই অস্বস্তি বোধ করছিলেন। অপলক দৃষ্টি বিনিময়, কিংবা দুই দিকে দুজনের চোখ- দুই ভাবেই গবেষণা চালানো হলো- ফল অভিন্ন। একই ফল এলো ভূমিকা বদল করেও। যেমন নারীকে স্থির রেখে পুরুষকে বলা হলো সক্রিয় হতে। এরপর পুরুষকে নিশ্চল রেখে নারীকে বলা হলো ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠ হতে। সব ক্ষেত্রেই একই ফল: সম্পর্কে আবদ্ধ পুরুষরা দূরত্বের একটা পর্যায়ে অস্বস্তি বোধ করতে থাকেন। তবে কোন সম্পর্কে জড়িয়ে নেই এমন পুরুষের ক্ষেত্রে অক্সিটসিনের কোন প্রভাব ছিল না বলে জানান হার্লমান। অর্থাৎ গবেষণার জন্য ডাকা ওই নারী যতোই কাছে ঘেঁষছিলেন তাঁকে যেন আরো কাছে প্রত্যাশা করছিলেন সিঙ্গল ম্যান। নারীর বদলে পুরুষ-বনাম পুরুষ বনাম নিরীক্ষা চালিয়েও পাওয়া গেলো একই ফল- কাজ করছে না অক্সিটসিন!
সূত্র : দ্য টেলিগ্রাফ
0 comments:
Post a Comment