এসব সনদপত্র হাতে পেতে খরচ পড়ছে মাত্র পাঁচশ’ থেকে এক হাজার টাকা।
জানান র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট এএইচএম আনোয়ার পাশা জানান, একটি মূল সনদের কপি স্ক্যান করার পর একই রোল নম্বর ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে অনেককে সনদ বানিয়ে দেয় একটি চক্র। টাকার বিনিময়ে এই চক্রটি আরো অনেক ধরনের সনদ দিয়ে থাকে।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার উত্তরা থেকে জাল সনদ তৈরি করার সময় ছয়জনকে আটক করে র্যাবের একটি দল। এদের প্রত্যেককে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এ চক্রটি পাঁচশ’ ও এক হাজার টাকার বিনিময়ে এসএসসি ও এইচএসসির সনদ সবরাহ করতো। এছাড়া জাল জন্ম নিবন্ধনের সনদ, চারিত্রিক সনদ, নাগরিকত্বের সনদ, ভোটার আইডি কার্ড বিক্রি করতো তারা।
র্যাবের হাতে আটক হওয়ার পর আশরাফুল সাংবাদিকদের বলেন, “পরীক্ষার সার্টিফিকেট উন্নত মানের স্ক্যানার মেশিনে দিয়ে স্ক্যান করে, প্রার্থীর নাম ও বাবার নাম পরিবর্তন করে তা বিক্রি করতাম।”
র্যাব কর্মকর্তা পাশা বলেন, নগরীর বিভিন্ন মার্কেটে রঙ্গিন ফটোকটি, প্রিন্টার ও কম্পোজের দোকানে এ ধরনের অপরাধ প্রবণতা বেশি। ওইসব জাল সনদ সাধারণত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ও বিদেশে চাকরির জন্য নেওয়া হয়ে থাকে।
তবে জাল সনদ দিয়ে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানেও চাকরি করার প্রমাণ পাওয়া যায় বলে জানান তিনি। এমনকি জাল সনদ দিয়ে বিভিন্ন প্রতারক চিকিৎসক সেজে বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা পর্যন্ত দিয়ে থাকে।
এ পর্যন্ত র্যাবে ভ্রাম্যমান আদালত এমন ৬১জন ভুয়া চিকিৎসককে সনাক্ত করে বিভিন্ন ধরনের সাজা ও জরিমানা করেছে বলে জানান তিনি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/
0 comments:
Post a Comment