গবেষক দলের নেতৃত্বে ছিলেন গবেষক তাকাহি সুজি। সুজি জানিয়েছেন, বায়োটেকনোলজি প্রক্রিয়ায় জন্মানো চুলের গ্রন্থি কোষ প্রাকৃতিকভাবেই অন্যান্য কোষের সঙ্গে মিশে গেছে। তাই এ পদ্ধতি প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে চুল গজানোর মতোই।
নেচার কমিউনিকেশনস সাময়িকীতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজ্ঞানীরা চুলের ঘনত্ব, রং নির্ধারণ করে দিতে সক্ষম হয়েছেন। এই গবেষণায় গবেষকেরা ইঁদুরের মধ্যে দুই ধরনের চুলের গ্রন্থি কোষ ঢুকিয়েছিলেন। তিন সপ্তাহ পরে গবেষকেরা দেখেন ৭৪ শতাংশ গ্রন্থি কোষই কালো চুলে পরিণত হয়ে গজিয়ে উঠেছে। গবেষকরা দেখেছেন, একটি চুলের জীবনচক্র শেষে তা স্বাভাবিকভাবে পড়ে যাওয়ার পর সেই স্থানে আবারও চুল গজিয়েছে।
টোকিও মেডিকেল ক্লিনিক হসপিটালের গবেষক আকিও স্যাটো জানিয়েছেন, গবেষণার ফলে বায়োইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজির যে উন্নতি হয়েছে তার মাধ্যমে কোনো রোগ বা দুর্ঘটনার কারণে সৃষ্ট টাক ও চুল পড়ার সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে।
স্যাটো আরও জানিয়েছেন, বিভিন্ন ওষুধ সেবন করে টাক সমস্যা সমাধানের পদ্ধতির সঙ্গে পার্থক্য লক্ষণীয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই চিকিত্সা বিফলে যায়। নতুন এ গবেষণা চুলের গ্রন্থি কোষ তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
prothom-alo
0 comments:
Post a Comment