আজ শনিবার বিকেলে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মো. ইমাম হোসেন এ কথা নিশ্চিত করেছেন।
সৌজন্যে : আরটিভি
এর আগে আজ কেয়া চৌধুরী এবং তাঁর ছয় সহযোগীর বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় পৃথক চারটি মামলা করা হয়। সব কটি মামলায়ই গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে পুলিশ তাঁদের আজ মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে পাঠায়। পরে আদালত চার মামলায় প্রত্যেকের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন মোল্লা প্রথম আলো অনলাইনকে মামলার কথা জানিয়েছেন। ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. আলমকে মারধরের অভিযোগে তিনি নিজে একটি মামলার বাদী হয়েছেন।
জাতীয় সংসদ ভবনের পেছনের সড়কে মোটরসাইকেল আরোহীকে মারধরের অভিযোগে আরোহী মেহেদি হাসান তাঁদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন।
ট্রাফিক সার্জেন্টকে মারধরের সময় আরটিভির ক্যামেরা ও শব্দধারক যন্ত্র ভেঙে ফেলা এবং পরে প্রতিবেদককে মারধরের ঘটনায় অপর একটি মামলায় বাদী হন ওই টিভি চ্যানেলের নগর প্রতিবেদক ওসমান গনি।
আটক ব্যক্তিদের থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে কেয়া চৌধুরী ও তাঁর সহযোগীরা থানা ভাঙচুর এবং উপস্থিত দুই সাংবাদিককে মারধর করেন। এ ঘটনায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেন শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শাহজাহান।
শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন মোল্লা জানান, কেয়া চৌধুরী কখনো নিজেকে মন্ত্রীর স্ত্রী, কখনো জাতীয় পার্টির নেত্রী, আবার কখনো আইনসচিবের স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা করে অবৈধভাবে টাকা উপার্জন করছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল বিকেল তিনটার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের পেছনের সড়কে একটি প্রাইভেট কারের সঙ্গে একটি মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এতে প্রাইভেট কার থেকে নেমে কেয়া চৌধুরী নামের এক নারী মোটরসাইকেল আরোহীকে চড় মারেন। তিনি আইনসচিবের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেন। ঘটনাস্থলের কাছে কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. আলম প্রতিবাদ করলে তাঁকেও কলার ধরে চড়-থাপ্পড় মারেন কেয়া চৌধুরী এবং তাঁর সঙ্গে থাকা আরেক নারী। এ সময় ঘটনাস্থলের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আরটিভির ক্যামেরাম্যান সেই দৃশ্য ধারণ করেন। কেয়া ও তাঁর সঙ্গী তাঁদের ওপরও চড়াও হন। তাঁরা টিভি ক্যামেরা এবং বুম (শব্দধারণ যন্ত্র) কেড়ে নিয়ে আছড়ে ভেঙে ফেলেন। খবর পেয়ে শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কেয়া ও তাঁর সহযোগীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
কিছুক্ষণের মধ্যেই ১০-১২ জন যুবক কেয়া ও তাঁর সঙ্গীকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় যান। তাঁরা সেখানে আরটিভির ওসমান গনিসহ দুই সাংবাদিককে মারধর করেন। একপর্যায়ে তাঁরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও অপারেশন কর্মকর্তার কক্ষও ভাঙচুর করেন। এ সময় ওসি ও অপারেশন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না। খবর পেয়ে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মো. ইমাম হোসেন ও থানার ওসি জাকির হোসেন আসেন।
উপকমিশনার ইমাম হোসেন জানান, কেয়া চৌধুরী আইনসচিবের স্ত্রী নন। বরং তিনি একজন প্রতারক। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে দায়ের হওয়া তিনটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। prothom-alo
0 comments:
Post a Comment