মনে করে দেখুন তো, ভালোবাসার মানুষটার সঙ্গে প্রথম কোথায় দেখা করতে গিয়েছিলেন। কী পরে গিয়েছিলেন, কী খেয়েছিলেন, দুজন দুজনকে কী উপহার দিয়েছিলেন। সম্ভব হলে ভালোবাসা দিবসে আবার তার পুনরাবৃত্তি করতে পারেন। মনের মানুষটিকে আবার নতুন করে পাওয়ার আনন্দ ছুঁয়ে যাবে আপনাকে।
ভালোবাসার এ দিনে আপনার ভ্যালেন্টাইনকে নিয়ে চলে যেতে পারেন প্রকৃতির খুব কাছাকাছি। পড়ন্ত বিকেলে সাগরের বালুকাবেলায় বা পাহাড়ি অঞ্চলে উপভোগ করতে পারেন রোমান্টিক একটি সন্ধ্যা।
প্রিয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ভালোবাসা দিবসের সন্ধ্যাটা কাটাতে পারেন মজার কোনো ছবি বা নাটক দেখে। পাশে রাখতে পারেন ট্রে-ভর্তি কেক, মিষ্টি আর চকোলেট। সন্ধ্যাটা কাটবে হাসি, মজা আর মিষ্টি স্বাদে।
প্রিয়তমার হাতের রান্না তো অনেক খেয়েছেন। এবার আপনার পালা। প্রিয় মানুষের পছন্দের খাবারটা রান্না করে সাজিয়ে দিন টেবিলটা। খেতে যেমনই হোক, আপনার সুপ্ত প্রতিভা দেখে ভালোবাসার মানুষটি যে আপনাকে আরও ভালোবাসবে—সেটা গ্যারান্টি দিয়ে বলাই যায়। তবে টেবিলে দু-চারটে গোলাপ আর বাহারি রঙের মোমবাতি জ্বেলে রাখতে একদমই ভুলবেন না!
অধিকাংশ নারীই ফুল ভালোবাসেন। তাই একগাদা ফুল নিয়ে হাজির হতে পারেন প্রেয়সীর সামনে। আর যদি আপনি বিবাহিত হন, তাহলে খুব ভোরে ঘরটা ফুল দিয়ে সাজিয়ে সঙ্গীর ঘুমটা ভাঙিয়ে তাঁকে অবাক করে দিতে পারেন।
একটি রোমান্টিক সন্ধ্যা বা রাত কাটাতে প্রিয়জনকে নিয়ে যেতে পারেন লং ড্রাইভে। শহর থেকে একটু দূরে, নির্জন রাস্তায় ভালোই রোমাঞ্চিত হবেন দুজন।
দুজনের কাটানো সুন্দর সুন্দর মুহূর্তের ছবিগুলো দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন একটি ফটো অ্যালবাম। প্রিয়জনসহ সেই আবেগঘন মুহূর্তগুলোতে দেখতে দেখতে ফিরে যেতে পারেন পুরোনো সেই দিনগুলোতে।
আপনার মানুষটি যদি কেনাকাটা করতে ভালোবাসে, তাহলে তাঁকে নিয়ে চলে যেতে পারেন পছন্দের কোনো শপিং মলে। কিনে দিতে পারেন প্রিয়জনের পছন্দের কোনো জিনিস।
কবিতা হয়তো কখনোই লেখা হয়নি। তাতে কি? প্রিয় মানুষটিকে উদ্দেশ করে লিখে ফেলুন একটি কবিতা। আপনার এলোমেলো লেখাতেও ভালোবাসা খুঁজে নেবে মানুষটি।
সাংসারিক কাজ থেকে একটি দিনের ছুটি দিন প্রিয়তমাকে। আজ ঘরের সব কাজ আপনি করবেন। নতুনরূপে আপনাকে দেখে বেশ মজা পাবে আপনার সঙ্গী।
দুজনের মজার কোনো পোর্ট্রেট আঁকতে পারেন নিজ হাতে। হোক না সেটা অর্থহীন। তারপর ছবির ওপর লিখে দিন হ্যাপি ভ্যালেন্টাইনস ডে। একটু হাসিতে গড়াগড়ি খান দুজনে মিলে।
প্রিয়জন পড়ে এমন একটি ম্যাগাজিনে ছাপাতে পারেন দুজনের ভালোবাসার গল্প। হঠাত্ পাতা উল্টাতে উল্টাতে এই লেখা পেলে ভালোবাসার মানুষটি যে আবেগাপ্লুত হবেন— সেটা ১০০ ভাগ নিশ্চিত।
প্রিয়জনকে সারা দিন ধরে বেনামে পাঠাতে পারেন নানা উপহার। চকোলেট, ফুল, মোম বা যেকোনো কিছু। শুধু বাসায় নয়, উপহার পাঠাতে পারেন তাঁর কর্মপ্রতিষ্ঠানেও।
চিঠির যুগ আর এখন নেই সত্যিই। কিন্তু চিঠির আবেদন এখনো অম্লান। তাই ১৪ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ১৪টি চিঠি পৌঁছে দিতে পারেন প্রিয়জনকে।
পরিকল্পনা যা-ই হোক না কেন, সার্থকতা তখনই যখন আপনার সৃজনশীলতা প্রিয়জনের মুখে হাসি ফোটাবে। তাই প্রিয় মানুষটাকে নিয়ে আগামী দিনটা কীভাবে সাজাবেন তা ঠিক করে নিন এখনই। prothom-alo
0 comments:
Post a Comment