বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, ওই ভেজাল ওষুধ সরবরাহের অভিযোগে স্থানীয় তিনটি ওষুধ কোম্পানির মালিকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
লাহোরের ইনস্টিটিউট অব কার্ডিওলজির কর্মকর্তারা জানান, হূদরোগের সমস্যার কারণে চলতি মাসের প্রথম দিকে প্রায় ৩৬ জন মারা গেছে। মঙ্গলবার থেকে মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রায় ৪০ হাজার মানুষের মধ্যে ওই ভেজাল ওষুধ বিতরণ করা হয়। এ ওষুধ সেবনে রোগীদের শ্বেত কোষ ও রক্ত কণিকা খুব দ্রুত কমতে থাকে।
ডিসেম্বরের শেষ ভাগে সর্বপ্রথম রোগীদের মধ্যে এ ধরনের লক্ষণ দেখা যায়। কিন্তু, সে সময় একে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ হিসেবে ভাবা হয়েছিল। পরে রোগীদের বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আক্রান্ত সবাই হার্টের রোগী। যারা দীর্ঘদিন থেকেই পাঞ্জাব ইনস্টিটিউট অব কার্ডিওলজি থেকে বিনা মূল্যে হূদরোগের ওষুধ সেবন করে আসছে।
স্থানীয় বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি থেকে সস্তা মূল্যে ওষুধ কেনার জন্য পাঞ্জাব ইনস্টিটিউট অব কার্ডিওলজিকে দায়ী করেছে কর্তৃপক্ষ।
ইতিমধ্যে পরবর্তী তদন্তের জন্য ভেজাল ওষুধের নমুনা লন্ডন ও প্যারিসে পাঠানো হয়েছে। বুধবার ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) একজন কর্মকর্তা লাহোর আদালতকে জানান, ওই ওষুধগুলোর গায়ে উত্পাদন বা মেয়াদোত্তীর্ণের কোনো তারিখ ছিল না।
এদিকে, ভেজাল ওষুধ গ্রহণ না করার জন্য একটি সচেতনতামূলক অভিযান শুরু করেছে পাকিস্তান সরকার।prothom-alo
0 comments:
Post a Comment