তারা জানান, ডিএনএ’র টেলোমেরস নামের ছোট্ট একটি উপাদানের দৈর্ঘ্যই মূলত কোনো ব্যক্তি কতদিন বাঁচবে তা নির্ধারণ করে দেয় বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।
গ্ল্যাসো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের পরিচালিত এ গবেষণার ফলাফল যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সের কার্যবিবরণীতে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণার নেতৃত্ব দেন অধ্যাপক প্যাট মোনাঘান।
গবেষণার জন্য স্বল্পায়ু ৯৯টি জেব্রা ফিনস পাখির রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয় ও তাদের টেলোমেরসের দৈর্ঘ্য পরিমাপ করা হয়। এরপর তাদের পুরো জীবদ্দশায় আবারো এ পরীক্ষা করা হয়।
এই পাখীগুলো কতদিন বাঁচবে তা নির্ধারণে গবেষকরা সেগুলোর মৃত্যু পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। প্রথম পাখীটি ৬ মাস পর মারা যায়। কিন্তু সর্বশেষ পাখীটির মৃত্যুর জন্য প্রায় নয় বছর অপেক্ষা করতে হয় তাদের।
গবেষণায় দেখা যায়, যে পাখির আয়ু যত বেশি তার টেলোমেরসের দৈর্ঘ্যও তত বেশি।
জীবিত সব সেলেই ক্রোমোজোম থাকে। আর প্রতিটি ক্রোমোজোমের মৃত্যু ঘটলে টেলোমেরসেরও মৃত্যু ঘটে। টেলোমেরসগুলো জুতার ফিতার প্রান্তের মতো কাজ করে-বিভিন্ন উপাদানকে বিচ্ছিন্ন হওয়া থেকে রক্ষা করে।
অধ্যাপক মোনাঘান জানান, জীবনের শুরুতে ঘটা বিভিন্ন প্রক্রিয়ার গুরুত্ব প্রকাশ করে এ গবেষণা। আর এ গবেষণার পরবর্তী পর্যায় হবে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে টেলোমেরসের দৈর্ঘ্যরে পার্থক্যের কারণ খুঁজে বের করা।
তিনি বলেন, “জীবনের শুরুর দিকের বিভিন্ন অবস্থা কিভাবে টেলোমেরসের পতন ঘটাতে প্রভাব ফেলে এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ও পরিবেশগত বিভিন্ন বিষয়ের গুরুত্ব আরো ভালোভাবে জানা প্রয়োজন এখন।”
.
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
0 comments:
Post a Comment