আজ ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল সাড়ে ছয়টায় সাভারে স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে একাত্তরের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে। স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য জড়ো হয়েছেন বিভিন্ন বয়সের নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ। মেতেছেন বিজয় উত্সবে।
আজ সরকারি ছুটির দিন। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। রাজধানীসহ দেশের বড় শহরগুলোর প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপ সাজানো হয়েছে জাতীয় পতাকায়। হাসপাতাল, কারাগার, এতিমখানাগুলোতে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে। বিজয় দিবস উপলক্ষে সংবাদপত্রগুলো বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করেছে এবং বেতার ও টিভি চ্যানেলগুলো সম্প্রচার করছে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা।
পাকিস্তানি হানাদারেরা একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে ঘুমন্ত নিরীহ-নিরস্ত্র বাঙালির ওপর অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে মানব ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যায় মেতে ওঠে। দেশমাতৃকার বীর সন্তানেরা সামান্য অস্ত্র ও বুকভরা সাহস নিয়ে পৃথিবীর দুর্ধর্ষ বাহিনীটির হামলা ঠেকাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে। মার্চ থেকে ডিসেম্বর—নয় মাসের সংগ্রামে পৃথিবীর মানচিত্রে নতুন করে আঁকা হলো একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের সীমারেখা। বাঙালির রক্তস্নাত মাতৃভূমি ‘বাংলাদেশ’। প্রথম আলো
0 comments:
Post a Comment