এর আগে গত বৃহস্পতিবার ধলেশ্বরী নদী থেকে আরও দুটি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই লাশের শরীরও সিমেন্টের বস্তা আর হাত-পা লুঙ্গির কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল। এই দুটি লাশের একটি ঢাকা মহানগর ৫০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি ইসমাঈল হোসেনের বলে শনাক্ত করে তাঁর স্বজনেরা সেটি দাফন করেছেন। অপর লাশটি বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়।
গত ২৮ নভেম্বর রাজধানীর হাতিরপুল থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোক পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাত অস্ত্রধারীরা ইসমাইলসহ তিনজনকে ধরে নিয়ে যায়। বাকি দুজনের লাশ এখনও খুঁজে পাননি স্বজনরা। তাঁরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ছাত্র এবং সূর্যসেন হলের ছাত্রদলের নেতা শামীম হাসান ওরফে সোহেল এবং ইলেকট্রনিকস ব্যবসায়ী মাসুম হোসেন।
মুন্সিগঞ্জ পুলিশের ধারণা, ওই তিনজনকে একসঙ্গে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য সিমেন্টের বস্তায় বেঁধে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। কারণ, তিনটি লাশেরই হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। তিনজনেরই শরীরের সঙ্গে একই ধরনের সিমেন্টর বস্তা বাঁধা ছিল।
পুলিশ জানায়, সদর উপজেলার ধলেশ্বরী নদীর লঞ্চঘাটের আশপাশ থেকে তিনটি লাশ উদ্ধার করা হয়। ডুবানোর জন্য লাশের সঙ্গে বস্তা বেঁধে ফেলে পানিতে ফেলা হলেও পরে লাশগুলো ভেসে ওঠে। অর্ধগলিত লাশ তিনটি দেখে মনে হয়, আট থেকে ১০ দিন আগে তাঁদের হত্যা করে নদীতে ফেলা হয়েছে। লাশগুলো মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে আছে।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, নিহত তিন জনের বয়স ৩৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে হতে পারে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
এর আগে ৫ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল-ভূঞাপুর সড়কের কালিহাতী থানার ফুলতলা সেতুর নিচ থেকে দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। দুটি লাশেরই হাত-পা লুঙ্গির কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল। পরে বেওয়ারিশ হিসেবে তাঁদের দাফন করা হয়।
0 comments:
Post a Comment