সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
কান্নার রাসায়নিক গুণ
কান্নার মাধ্যমে একটি ভূমিষ্ঠ শিশু জানান
দেয় তার আগমনী বার্তা। আবার কান্নার মাধ্যমেই প্রকাশ পায় মৃত্যুর দুঃসংবাদ।
আর জন্ম থেকে মৃত্যু এই মধ্যবর্তী জীবনে আবেগে-উচ্ছ্বাসে, সুখে-দুঃখে
কান্না মানুষের নিত্যসঙ্গী। কিন্তু এ কান্নারও আছে বহু রাসায়নিক গুণাগুণ।
তা বিশেষজ্ঞরা ছাড়া সাধারণের পক্ষে জানা সম্ভব হয় না। প্রখ্যাত মনোচিকিৎসক
ডা. মোহিত কামালের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে লিখেছেন_ শামছুল হক রাসেল
লাকরিমাল
গ্ল্যান্ড থেকে অশ্রু তৈরি হয়। কান্নার সময় স্বাভাবিকের চেয়ে ৫০-১০০ গুণ
বেশি অশ্রুপাত হয়। এই গ্ল্যান্ডটি চক্ষু কোঠরের ভেতর অবস্থিত। িকান্নার সময়
দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। হৃদকম্পন দ্রুত হয়। শ্বাসযন্ত্রের পেশি সক্রিয়
হয়ে ওঠে, থপথপ করে তখন বুকের পেশি ওঠানামা করে। িআবেগপ্রবণ ছবি কিংবা নাটক
দেখার সময় প্রায়ই বড় বড় শ্বাস নিতে হয়। নিঃশ্বাস ছাড়তে হয়। অশ্রু ঝরলেই
সান্ত্বনা পাওয়া যায়। সত্তাটি গভীর করে এ সময় ঘটনা প্রবাহের সঙ্গে একাত্ম
হয়ে যায়, ছুঁয়ে যায় আবেগের নানা অনুষঙ্গ। কান্না আসতে থাকে ভেতর থেকে, পানি
ঝরতে থাকে চোখ দিয়ে। সঙ্গে সঙ্গে প্রশান্তির মৃদু ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে মনে,
শরীরজুড়ে। িঅনেক সময় অতি আনন্দে বা সুখে কান্না আসে চোখ উপচে।
অশ্রুর ধরন : অশ্রুধারা দুই ধরনের_
দেহগত
অশ্রু (চযুংরপধষ ঃবধৎ) : দেহগত অশ্রু আসে এক ধরনের ইচ্ছানিরপেক্ষ ক্রিয়ার
(ৎবভষবী ধপঃরড়হ) ফলে। এই অশ্রু চোখের কোমল অংশগুলোকে বাইরের অনুকণা থেকে
রক্ষা করে, জীবাণুবিরোধী মিডিয়া হিসেবে কাজ করে।
আবেগীয় অশ্রু (বসড়ঃরড়হধষ ঃবধৎ) : এটি বায়োলজিক্যাল চাহিদা পূরণ করে।
মেয়েরা কেন বেশি কাঁদে : কারণ তাদের রক্তে প্রোলাকটিনের মাত্রা পুরুষের
চেয়ে বেশি থাকে। এই হরমোনটি ব্রেস্ট-এর বৃদ্ধি উদ্দীপ্ত করে। এই
উচ্চমাত্রার প্রোলাকটিনই কী অশ্রুপাত উসকে দেয়, নাকি মহিলাদের অশ্রুতে
প্রোলাকটিনের মাত্রা বেশি এটি এখনো নিশ্চিত জানা যায়নি। কিন্তু প্রমাণিত
সত্য যে, যতই মহিলারা মেনোপজের কাছাকাছি চলে আসেন, ততই প্রোলাকটিনের
মাত্রা কমতে থাকে। মনোপজের সময় হরমোনটির মাত্রা চলি্লশ শতাংশ কমে যায়। এ
জন্য শেষ জীবনের মহিলাদের অশ্রুপাতের মাত্রা কমে যায়। তারা ডিপ্রেশন এবং
প্যানিক অ্যাটাকে বেশি আক্রান্ত হন।
কান্নার অন্যান্য রসায়ন : অধিকাংশ মানুষই
বিশেষ করে পুরুষরা জনসমক্ষে কান্না এলে বেশির ভাগ সময়েই দাঁত খিঁচে ধরেন
অথবা চকিতে মাথাটি উপরের দিকে তুলে ধরেন। কারণ শিশু বয়স থেকে আমাদের মাঝে
প্রোগ্রাম করা আছে ‘কেঁদো না, কাঁদতে নেই’ ইত্যাদি। িফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে
কান্নার বিষয়টিকে সুস্বাস্থ্যকরই মনে করেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা। অনেকে কাঁদতে
কাঁদতে যন্ত্রনাময় ঘটনার কথা প্রকাশ করে। এমতাবস্থায় ইমোশনাল রিলিজ ঘটে
দ্রুত। সাইকোথেরাপির একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্ব হচ্ছে ‘রিলিজ অব ইমোশন’।
কেঁদেকেটে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঘটনার অনুপুক্সখ বর্ণনা করা গেলে কষ্ট থেকে
উপশম পাওয়া সহজতর হয়। যন্ত্রণাময় ঘটনার পর কেঁদেকেটে ঘুমাতে পারলেও স্বস্তি
পাওয়ার পথ খুলে যায়। প্রাচীনকালে পেশাজীবী শোকগ্রস্তরা শোকসন্তপ্ত বিমূঢ় ও
হতচেতন পরিবারের সদস্যদের বিহ্বলতা ভাঙাতেন কান্নার মাধ্যমে। িদুঃসংবাদ
শোনার সঙ্গে সঙ্গে যিনি কান্নায় ভেঙে পড়তে পারেন, মূলত তিনি নিজস্ব
তাৎক্ষণিক অনুভূতির গভীরে চলে যেতে পারেন। সুস্বাস্থ্যের জন্য এটিই এমনি
অবস্থায় সবার প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিত। িএকা কান্নাকাটি করে বালিশ ভেজানোর
চেয়ে কারও সামনে কাঁদলে নিজেকে হালকা মনে হয়। তবে ব্যাপারটি ঘটতে হবে
স্বয়ংক্রিয়ভাবে। এই সময় কষ্ট বা যন্ত্রণার অংশীদার পাওয়া যায়। ফলে কষ্ট
লাঘব হয় সহজে। এমন কি উচ্চ রক্তচাপও কমে আসতে পারে সহমর্মিতার কারণে।
িমেজর
ডিপ্রেশন থেকেও কান্নার ঢেউ ছুটে আসতে পারে। এ অবস্থায় নিউরোট্রান্সমিটার
সেরোটোনিনের মাত্রা কমে যায়। এটি একটি মানসিক রোগ। মানসিক চিকিৎসার
মাধ্যমেই রোগীকে সব ধরনের উপসর্গ থেকে মুক্তি দেওয়া যায়। এছাড়াও
সিজোফ্রেনিয়া রোগীদের মাঝেও অসঙ্গতিপূর্ণ কান্না দেখা যায়। রোগভোগ
দীর্ঘায়িত না করে এ অবস্থার মানসিক চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করাই বুদ্ধিদীপ্ত
কাজ। তবে মনে রাখতে হবে, সুস্থ জীবনযাপনের জন্য কান্নার প্রয়োজন রয়েছে।
যেসব নারী আপনজনের মৃত্যু বা কোনো দুঃসংবাদেও কাঁদতে পারে না; গবেষণায় দেখা
গেছে, তাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
বাংলাদেশ প্রতিদিন
About the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Labels:
গবেষনা,
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- গীতা সারাংশ
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
- চোখের পানির রহস্য
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
- আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায়
- মুক্তিযুদ্ধের ৫ ওয়েবসাইট
Popular Posts Last 7 Days
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- সময় নিয়ে কিছুক্ষনের ভাবনা
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
- চোখের পানির রহস্য
- অহংবোধ, তোমার জন্য
- ফুল ফুটুক, না ফুটুক আজ বসন্ত, আজ বসন্ত দিন
- গীতা সারাংশ
- ৫৪টি দেশের ভিসা চেক করুন ইচ্ছে মত
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***
0 comments:
Post a Comment