ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্টিক্যাল ফিজিক্স বিভাগের অধ্যাপক জেফ ফোরশ বলেছেন, ‘সার্নের বিজ্ঞানীদের এই দাবি সত্য হলে আমরা অন্তত তত্ত্বীয়ভাবে হলেও কোনো তথ্য অতীতে প্রেরণ করতে পারব। অন্যভাবে বললে বলা যায়, এর মাধ্যমে আমরা অতীত সময়ে পরিভ্রমণ করতে পারব। অবশ্য তার মানে এই নয় যে, আমরা এখনই টাইম মেশিন বানানো শুরু করছি।’ সার্নের বিজ্ঞানীদের এই দাবি সত্যি হলে গোটা পদার্থবিদ্যার জগেকই নড়েচড়ে বসতে হবে। ভুল প্রমাণিত হবেন আধুনিক পদার্থবিদ্যার জনক আলবার্ট আইনস্টাইনও। কারণ ১৯০৫ সালে আইনস্টাইন বলেছিলেন, আলোর গতি একটা মহাজাগতিক ধ্রুবক এবং কোনো কিছুর বেগই এর চেয়ে বেশি নয়। যুক্তরাষ্ট্রের ফিজিক্স রিসার্চ সেন্টারে কর্মরত অধ্যাপক জেনি থমাস বলেছেন, ‘নিউট্রিনোর গতিবেগের এই পরিমাপ সঠিক হলে এর প্রভাব হবে খুবই ব্যাপক।’
তবে সার্নের এই তথ্যটি নিয়ে এখনো সংশয়ে আছেন স্টিফেন হকিংসহ বিশ্বের অনেক শীর্ষ পদার্থবিজ্ঞানী। হকিং বলেছেন, ‘এখনই এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করার মতো পরিস্থিতি আসেনি। আরও অনেক গবেষণা ও নিশ্চিত হওয়ার মতো তথ্য দরকার।’ জ্যোর্তিপদার্থবিজ্ঞানী মার্টিন রিস বলেছেন, ‘যুগান্তকারী কোনো দাবি প্রমাণের জন্য অনেক তথ্য-উপাত্ত দরকার। আর এটা নিঃসন্দেহে একটা যুগান্তকারী দাবি।’ —রয়টার্স।
0 comments:
Post a Comment