এ ক্যাপসুল হোটেলের একেকটি ক্যাপসুলে একজন অতিথি ঘুমানোর ব্যবস্থা রয়েছে।
ক্যাপসুল হোটেল তৈরির ধারণা জাপানে অবশ্য বেশ পুরানো। ১৯৭৯ সালে ওসাকায় এমন একটি হোটেল তৈরি হয়েছিলো। এ ছাড়াও ১৯৭২সালে নাকাগিন ক্যাপসুল টাওয়ারও তৈরি হয়েছিলো এ ধারণা থেকেই।
এ ক্যাপসুলে থাকার পদ্ধতি অনেকটা হোস্টেলের মতো। এ হোটেলগুলো সাধারণত ব্যাচেলরদের থাকার জন্যই তৈরি করা হয়েছে।
কিয়েটোতে তৈরি হয়েছে নাইন আওয়ার (৯এইচ) নামের একটি ক্যাপসুল হোটেল। হোটেলটির নয়তলা জুড়ে রয়েছে ১২৫ টি আধুনিক ক্যাপসুল যেখানে নারী-পুরুষের জন্য আলাদা কোয়ার্টার, ডিজাইনার লকার রুম, শাওয়ার রুম এবং লাউঞ্জ আলাদা করা রয়েছে। এ হোটেলের ক্যাপসুলগুলো ৯ ঘন্টার জন্য ভাড়া দেয়া হয়। ভাড়া নেবার পর প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
ক্যাপসুলগুলোতে প্যানাসনিক অ্যালার্ম ক্লক সিস্টেম ব্যবহৃত হয়েছে যার মাধ্যমে ক্যাপসুলে ঘুমানোর সময় আলো, বালিশসহ বিছানা নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং সময় হলে এই ঘড়ি ক্যাপসুল থেকে বের হবার সংকেতও পাঠায়। হোটেলটিতে রাত কাটানোর খরচ ৬৫ ডলার ।
জাপানে এ রকম আরো একটি ক্যাপসুল হোটেল হচ্ছে ক্যাপসুল ইন সাপ্পোরো। সাপ্পোরোতে অবস্থিত এ হোটেলটি শুধু পুরুষদের জন্য। এটি ক্লাসিক স্টাইলের ক্যাপসুল হোটেল। ক্লাসিক হবার কারণ, এ ক্যাপসুলের মধ্যে রয়েছে পর্দা, টিভি রেডিও, এসিসহ ছোটো টেবিলের ব্যবস্থাও। এ ক্যাপসুলে ঘুমানোর সময় কমপক্ষে তিন ঘন্টা। আর এ তিন ঘন্টায় খরচ হবে ২৬ ডলার।
এ ক্যাপসুল হোটেলগুলোতে ঘুমানোর জন্য কিছু নিয়ম রয়েছে। প্রথমে চেক ইন। এসময় জুতা খুলে নির্দিষ্ট বাক্সে রাখার পর লকার কি এবং নম্বর সংগ্রহ করতে হয়। সঙ্গে আনা জিনিস লকারে রেখে শাওয়ার নেবার পর লাউঞ্জের পোশাক পরতে হয়। এরপর নির্দিষ্ট ক্যাপসুলে উঠে পড়ে ঘুমিয়ে পড়তে হয়। ঘুম থেকে উঠে ক্যাপসুল ছেড়ে শাওয়ার নিয়ে নিজের মালপত্র লকার থেকে বুঝে নিয়ে হোটেল ছাড়ার অনুমতি মেলে।
বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম
0 comments:
Post a Comment