সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
কমে যাচ্ছে শিশুদের সৃজনশীলতা
এডিসন তখন পাঁচ বছরের
শিশু। মুরগিকে ডিমে তা দিতে দেখে বুঝলেন, শরীরের উত্তাপ থেকেই ডিম ফুটে
বাচ্চা বের হয়। কাজটা মুরগিরই, কিন্তু চাইলে তিনি কেন পারবেন না? ব্যস,
তাঁরও ইচ্ছা হলো ডিম ফুটিয়ে ছানা জন্ম দেওয়ার। এরপর নাওয়া-খাওয়া ভুলে
টানা দুই দিন গোলাঘরে ডিমে তা দিতে বসলেন তিনি। নিজের জামাকাপড়ে জড়িয়ে
ডিমের ওপর বসে তা দেওয়ার সেই ঘটনায় বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠরা রাগ করেছিলেন
বটে, কিন্তু সেই উদ্ভাবনী ভাবনাই উত্তরকালে তাঁকে বানিয়েছিল বিশিষ্ট
বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন, এনে দিয়েছিল
জগৎজোড়া খ্যাতি। সেই সৃজনশীল ভাবনার জোরেই আমরা পেয়েছি বৈদ্যুতিক
বাতি_যার সূক্ষ্ম ফিলামেন্টটি তিনি জোগাড় করেছিলেন এক ধরনের জাপানি পাখা
থেকে। উদাহরণটা শৈশবের উদ্ভাবনী ক্ষমতা বোঝানোর জন্য, যার আকাল তৈরি হচ্ছে
সাম্প্রতিককালে। অতি সম্প্রতি বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রমাণ করেছে, একালের
শিশুরা পাঠ্য বই মুখস্থ করার কাজে যতটা পারদর্শী, উদ্ভাবনী শক্তির পরিচয়
দিতে প্রায় ততটাই ব্যর্থ হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের উইলিয়াম অ্যান্ড মেরি
কলেজের একদল গবেষক ১৯৭০ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত তিন লাখ যুবক ও শিশুর
সৃজনশীল ক্ষমতা পরীক্ষা করে জানিয়েছেন এই তথ্য। বয়সের ভারে ন্যুব্জ
বৃদ্ধদের সৃজনশীলতা কমে যাবে এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু যদি তরুণ বা শিশুদের
স্বাভাবিক সৃজনশীলতা বা উদ্ভাবনী ক্ষমতা হ্রাস পায় তা আশঙ্কার কারণই বটে।
গবেষকদলের
প্রধান কিয়াং হি কিম জানিয়েছেন, তাঁর গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে একালের
শিশুরা তো বটেই তরুণরাও অতীতের তরুণদের তুলনায় অনেক কম সৃজনশীল চিন্তা
করে, এমনকি তাদের কল্পনাশক্তিও তীব্র নয়। এই গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে,
বর্তমান যুগের ছেলেমেয়েদের মধ্যে যন্ত্র নির্ভরতা অনেক বেশি এবং এ কারণেই
মাথা খাটিয়ে কিছু তৈরি করার ব্যাপারে তাদের আগ্রহ বড় কম। কিম জানান,
নব্বইয়ের দশক থেকে ছেলেমেয়েদের মধ্যে আনকোরা এবং অনন্য কোনো বিষয়
উদ্ভাবনের প্রবণতা ভীষণভাবে কমে গেছে। তাদের মধ্যে রসবোধও ভীষণ কম। তাদের
কল্পনাশক্তি দুর্বল, এমনকি কোনো আইডিয়া বা ধারণাকে বিস্তৃত করার ক্ষমতাও
বেশির ভাগ শিশুর নেই। এই গবেষণায় যে পদ্ধতি ব্যবহার করে শিশুদের সৃজনশীল
ক্ষমতা মাপা হয় একে বলা হয় ‘টরেন্স টেস্ট’। এই পদ্ধতির একটি পরীক্ষায়
শিশুদের দুটি বৃত্ত দেখিয়ে এর বাইরের কোনো আকৃতি আঁকতে বলা হতো, দেখা গেছে
বেশির ভাগ শিশুই কাজটি সঠিকভাবে করতে পারেনি। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে,
যেসব শিশু এই টেস্টে অংশ নিয়েছে তাদের স্কুল পর্যায়ে স্যাট (ঝঅঞ) নম্বরের
গড় বেশ ভালো এবং প্রতিবছরই তাতে অনেকের উন্নতিও হচ্ছে। কিম এর
পরিপ্রেক্ষিতে জানিয়েছেন, শুধু পড়াশোনার ভালো ফল কারো প্রকৃত প্রতিভা বা
উদ্ভাবনী ক্ষমতার পরিচয় দেয় না। লেখাপড়ায় ভালো হলেই কেউ সৃজনশীল
ক্ষমতার অধিকারী হয়ে যাবে এমনটা ভাবা তাই মোটেও ঠিক নয়। তবে শিশুদের মেধা
যাচাইয়ের জন্য বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থাই দায়ী, কারণ শিক্ষাদান পদ্ধতিতে
বার্ষিক ফলাফলের ওপরই কেবল গুরুত্ব দেওয়া হয়। এর ফলে পাঠ মুখস্থ করা বা
নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনা করাই সেখানে বিশেষ গুরুত্ব পায়, শিশুদের
সৃজনশীল ক্ষমতা যাচাইয়ের বিশেষ কোনো ব্যবস্থাই পাঠক্রমে নেই। তাঁর মতে,
শিশুদের সৃজনশীলতা নষ্টে টেলিভিশনও বিশেষ ভূমিকা রাখছে। একালের শিশুরা
মাত্রাতিরিক্তভাবে টেলিভিশন দেখে বা কম্পিউটারে গেমস খেলে সময় অপচয় করে।
টেলিভিশন শুধু শ্রবণ ও দর্শনমাধ্যম হওয়ায় এতে দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগের
সুযোগ তেমন নেই। ফলে সেখানে শিশুরা অনেক কিছু দেখে বটে, কিন্তু সরাসরি অংশ
নেওয়ার বা প্রশ্ন করার সুযোগ না পাওয়ায় টিভি থেকে আসলে তেমন কিছুই শেখে
না।
যন্ত্র, প্রযুক্তি ও পাঠ্য বই
নির্ভরতা এভাবেই বর্তমান সময়ের শিশুদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে।
কিমের আশঙ্কা, সৃজনশীলতার অভাব একটা সময়ে এসব শিশুকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার
পথে যথেষ্ট ভোগাবে।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইন।
কালের কন্ঠ
About the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Labels:
গবেষনা,
জীবন,
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি,
শিশু,
শিশু-স্বাস্থ্য
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- গীতা সারাংশ
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে কাজী নজরুল ইসলাম উত্তরে এই কবিতাটি লিখেছিলেন,
- বুদ্ধি, বুদ্ধাংক (I.Q), বুদ্ধাংক নির্নয় (I.Q Test)
- আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায়
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- মুক্তিযুদ্ধের ৫ ওয়েবসাইট
- হিজড়া সম্প্রদায় : প্রকৃতির পরিহাস, মানবতা যেখানে ভূলুন্ঠিত
- চোখের পানির রহস্য
- বাংলাদেশের আদিবাসী ভাষা পরিচিতি
Popular Posts Last 7 Days
- গীতা সারাংশ
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায়
- ঈর্ষা একটি ভয়ঙ্কর মানসিক রোগ
- The Biggest Water Cube Ever Seen!
- মুক্তিযুদ্ধের ৫ ওয়েবসাইট
- ধরা পরলো তিন চোখা মাছ!
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- মেয়েরা কেন মন্দ ছেলেদের প্রেমে পড়ে
- ভিডিও গেমস খেলতে খেলতে মৃত্যু
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***
0 comments:
Post a Comment