গবেষণার ফল বুধবার 'নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন' ও 'সায়েন্স ট্রান্সল্যাশনাল মেডিসিন' এ একযোগে প্রকাশ করা হয়েছে।
'ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভানিয়া'র গবেষকরা লিউকেমিয়া কোষের সম্মুখভাগে থাকা অণু ধ্বংসের জন্য রোগীর রক্তের রোগ-প্রতিরোধী 'টি-সেল' কে কাজে লাগিয়েছেন।
রোগীর দেহের বাইরে এ 'টি-সেলগুলো'র রূপান্তর ঘটানো হয়। এরপর তা ঢুকিয়ে দেওয়া হয় দীর্ঘদিন ধরে লিম্ফোসাইট লিউকেমিয়া বা সিএলএল এ ভোগা রোগীদের রক্তে।
রক্তের লিউকেমিয়া ক্যান্সারের মধ্যে লিম্ফোসাইট লিউকেমিয়াই বেশি দেখা যায়। এতে আক্রান্ত ব্যাক্তির হাড়ের মজ্জা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং রক্তে শ্বেত কণিকা অস্বাভাবিকরকম বেড়ে যায়।
গবেষণার প্রথম ধাপে দুইজন রোগী ওপর পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এতে একবছর পর্যন্ত তাদের ক্যান্সারের প্রকোপ কমানো সম্ভব হয়েছে।
তৃতীয় যে ব্যক্তির ওপর পরীক্ষা চালানো হয়েছে তার দেহে ক্যান্সার আক্রান্ত কোষের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে এবং ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে আছে।
তবে গবেষণার দ্বিতীয় ধাপে যাওয়ার আগে গবেষকরা আরো চারজনের ওপর পরীক্ষাটি চালানোর পরিকল্পনা করেছেন।
গবেষণাটির সহগবেষক ও পেনেসিলভানিয়া ইউনিভার্সিটির 'পেরেলম্যান স্কুল অফ মেডিসিন' এর ডা. মাইকেল ক্যালোস বলেন, "আমরা টি-সেলের উপরিভাগে একটি চাবি রাখি এবং তা একটি তালার ওপর বসে যায়, যা শুধু ক্যান্সার আক্রান্ত কোষগুলোর মধ্যেই আছে।"
গবেষণার এ ফল ক্যান্সার আক্রান্ত কোষগুলোর চিকিৎসায় 'পথনির্দেশকের মতোই কাজ করবে' বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।
এখনও পর্যন্ত চিকিৎসা পদ্ধতিটি নিরাপদ বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে গবেষকরা বলেছেন, সে রকম কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে আরো গবেষণার প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন রোগের জন্য দায়ী জিনের পরিবর্তন ঘটিয়ে রোগের চিকিৎসা জিন থেরাপি নামে পরিচিত।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
0 comments:
Post a Comment