যতদিন যাচ্ছে ততই সারা বিশ্বের অবসাদগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এই গবেষণার পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে যা পাওয়া গেছে তা হলো, সারা বিশ্বে সবচেয়ে মানসিক অবসাদে ভোগে ভারতবাসীই। দেশটির ৩৬ শতাংশ মানুষ অবসাদের শিকার। সুখ ও শান্তি নিয়ে ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে যে সমীক্ষা হয়েছে, তাতে দেখা গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডের মতো ধনী দেশের মানুষ যতটা সুখী, তার থেকে বেশি সুখী কোনো দরিদ্র দেশের মানুষ। ধনী দেশের তুলনায় দরিদ্র দেশের মানুষের মনে অবসাদও জমে কম। ধনী দেশের প্রতি সাতজনে একজন মানসিক অবসাদে ভুগছে। কিন্তু অনুন্নত ও দরিদ্র দেশে প্রতি নয়জনের একজন এর শিকার।
হু’র মতে, দুঃখে থাকা, যে কোনো বিষেয়ে আগ্রহ কমে যাওয়া, অপরাধবোধ, ঘুমে ব্যাঘাত, শক্তিহীনতা এবং মনোযোগ না থাকা সব কিছুই মানুষকে হতাশ করে। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, ভারতের মতো গরিব দেশে হতাশাগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণ একাধিক। প্রধানত, কর্মহীনতা, অভাব বা প্রতিনিয়ত জীবনে নানা সমস্যা, চাপ জন্ম দিচ্ছে হতাশা, অবসাদের। পাশাপাশি, সাধারণ মানুষের জীবনে ভোগবিলাসের প্রবণতাও বেড়েছে। সেই প্রবণতা যখনই সম্পূর্ণতা পাচ্ছে না, তখনই চরম হতাশার সৃষ্টি হচ্ছে। যা অত্যন্ত মারাত্মক। কারণ এর থেকে আত্মহননের পথও বেছে নিচ্ছেন অনেক। এক বছরে সারা বিশ্বে এই কারণে সাড়ে ৮ লাখ মানুষ আত্মহত্যা করছে।নারীদের মধ্যে হতাশায় ভোগার সংখ্যা বেশি। একাকিত্ব তার প্রধান কারণ। বিবাহ বিচ্ছেদ বা স্বামীর মৃত্যু নারীদের মধ্যে একাকিত্বের জন্ম দিচ্ছে বলে সমীক্ষার দাবি। সারা বিশ্বে প্রায় ১২ কোটি মানুষ মানসিক হতাশার শিকার। এই সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। আধুনিক জীবনযাপনের মধ্যে বা প্রচণ্ড কর্মব্যস্ততার মধ্যে নিজের জন্য বা পরিবারের জন্য সময় কমে গিয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। হতাশা বা মন খারাপ কমাতে চিকিত্সকের শরণাপন্ন হচ্ছে অনেকে। কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে।
বার্তা২৪ ডটনেট
0 comments:
Post a Comment