পহেলা বৈশাখ, বাংলা নববর্ষ। নতুন বছরকে বরণ করে নেয়ার লক্ষ্যে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই নিজস্ব স্বকীয়তায় আলিঙ্গন করে বৈশাখকে। এই নতুন দিনের আগমনে সাঁওতালরা আগাম প্রস্তুত নেয় বরণ করে নেয়ার জন্যে। মাদল, বাঁশি, বেহালা, করতাল প্রভৃতি বাদ্যযন্ত্রের মুর্ছনায় এবং হাণ্ডি (পঁচানি) সেবন করে আনন্দে নেচে গেয়ে স্বাগতম জানায় পহেলা বৈশাখকে। এলাকার নির্দিষ্ট জায়গায় সমবেত হয়ে যে অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়, তাকে সাঁওতালী ভাষায় পাতা বলে। অর্থাৎ এটি হিন্দুদের উৎসব। কিভাবে এই সাঁওতালরা আদিবাসীরা হিন্দু অভিধায় যুক্ত হয়েছেন? ইতিহাস থেকে জানা যায়, এদেশে আর্যদের আগমণের পূর্ব হতে এতদ্বাঞ্চলে বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায় বসবাস করতো, যাদেরকে বলা হয়েছে অনার্য। ধর্ম বলতে যা বোঝানো হয়ে থাকে তা হিন্দু ধর্ম প্রবর্তনের পূর্বে কোনো ধর্ম না থাকায় আদিবাসীরা মূলত কোনো ধর্মাবলম্বী ছিলেন না। আদিবাসীরা নিজেদের সামাজিক আচার অনুষ্ঠান, রীতিনীতি উৎসবাদি, পার্বন ইত্যাদি নিজস্ব আঙ্গিকে উদ্যাপন করতো। বিবাহ, জন্ম, মৃত্যু প্রভৃতি মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে যেভাবে তারা কঠোরতার সাথে মেনে চলেছে কালক্রমে সেগুলোই সামাজিক কাঠামোতে রূপান্তরিত হয়েছে। আর্যগণের সামাজিক ব্যবস্থা তাদের চেয়ে শ্রেয়তর হওয়ায় আদিবাসীদের বিভিন্ন দল ও গোত্রের অংশ বিশেষ হিন্দু ধর্মের প্রতি ধীরে ধীরে দুর্বল ও আকৃষ্ট হয়ে পড়ে।
চৈত্রের শেষ দিন অর্থাৎ ৩০ চৈত্রের সারারাত ঐ নির্দিষ্ট জায়গায় সাঁওতাল মেয়েরা সুন্দরভাবে নানা ঢংগে, নানা রকম পোষাকে শালীনতায়/ অশালীনতায় এবং রুচিহীন ভাষায় হৈ চৈ করে থাকে; তবে বর্তমানে পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে। মেয়েরা গাছের ফুল, ডাল দিয়ে খোপা সাজায়, কানে ফুল গুজে রাখে। এ সময় কেউ কেউ মন্দ আত্মাকে, কুসংস্কারকে তাড়াতে ভাঙ্গা হাড়ির গোলাকার অংশ, পশু-পাখির শুকিয়ে কাঠ হওয়া শরীর এবং খড়ের তৈরি নানা রকম (পুতুল, জীবজন্তুর প্রতিকৃতি) তৈরি করে লাঠিতে শক্ত করে বেঁধে অনুষ্ঠানমুখী হয়। এক নাগাড়ে অনুষ্ঠান চলে পহেলা বৈশাখের প্রথম প্রহর পর্যন্ত। বিকেলে শুরু হয় মেলা। সাঁওতালদের বিশ্বাস এই দিনকে প্রাণভরে উপভোগ করা হলে গোটা বছর আনন্দ-ফুর্তিতে কেটে যাবে। পাতা (বঙ্গাকে) পরই দেবতাকে পূজো উৎসব করে সন্তুষ্টি রাখা হয়। পূজো উৎসর্গ করার পরই দেবতার আত্মাকে একজন সাহসী ব্যক্তির শরীরে মন্ত্রের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করানোর পর তার পিঠে শক্ত লোহার বড়শি দিয়ে তাকে আটকানো হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে লোকটিকে শক্ত দড়ি দিয়ে বেঁধে বিরাট একটি বাঁশের মাথায় বাঁধে এবং বাঁশটিকে মাটিতে পূঁতে খাড়া করে ঝোলানো অবস্থায় বাঁশের চারদিকে ঘোরানো হয়। মেলার এটিই মূল আকর্ষণ।
পূর্ব আকাশে সূর্য উঁকি দেয়ার পর পরই সব বয়সের সাঁওতালদের সমাবেশ ঘটে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে মেলার জাঁকজমক বৃদ্ধি পায়। অনেক রকম খাদ্যসামগ্রী, শিশু খেলনা এবং যুবক/যুবতীদের দলবদ্ধ উল্লাস মেলাকে আকষর্ণীয় করে। এই সুযোগে কোনো ছেলে যদি কোনো মেয়েকে পছন্দ করে এবং বিয়ে করতে চায়, তাহলে ঐ ছেলেটি তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে মেয়েটিকে জোরপূর্বক নিজ বাড়িতে তুলে নিয়ে যেতে পারে। অবশ্য এটির উল্টোটাও কখনো কখনো ঘটে থাকে। ছেলেকেও ঘটনার শিকার হতে হয়। এসব ক্ষেত্রে ছেলেমেয়েদের কমবেশী পূর্ব থেকেই দেখা সাক্ষাত ও জানা শোনা থাকে। তবে লক্ষণীয় যে, অবশ্যই মেয়েটিকে তুলে আনার সময় ছেলেটি প্রথমত মেয়েটিকে স্পর্শ করবে। পরবর্তীতে বাড়ি নিয়ে আসার পর মাথায় সিঁদুর লেপন করলেই স্ত্রীর মর্যাদা পেয়ে থাকে। এরূপ বিয়েকে অর আদের বাপলা (ড়ৎ ধফবৎ ইধঢ়ষধ) টেনে নিয়ে বিয়ে’ বলা হয়। সাঁওতাল সমাজ রীতিতে এ ধরনের বিয়ে স্বীকৃত। মেলায় দু’একটা ঘটনার অবতারণা একেবারে স্বাভাবিক। সাধারণত সাঁওতালদের মাঝে ‘অর আদের বাপলা’ মেলাকে কেন্দ্র করেই ঘটে থাকে।
পাতা উৎসব কিভাবে শুরু হলো এ সম্পর্কে নানা মুনির নানা মত থাকতে পারে। কিন্তু আমি একজন সাঁওতাল খ্রিষ্টিয় ধর্মীয় যাজকের কাছ থেকে যা জেনেছি তা হলো- রাজা নেবুচাঁদনেজারের আমলে তিনি যে এক স্বর্ণময় প্রতিমা নির্মাণ করেছিলেন তা তিনি বাবিল প্রদেশের দূরা সমস্থলীতে স্থাপন করেন। পরে দেশাধ্যক্ষগণ, মহাবিচারকগণ, ব্যবস্থাপকগণ, কোষাধ্যক্ষগণ, প্রতিনিধিগণ, ক্ষিতিপালগণ, অধিপতিগণ প্রদেশসমূহের সমস্ত শাসনকর্তৃা এবং প্রজাগণ বাদ্যযন্ত্রের শব্দের সাথে সাথে স্থাপিত স্বর্ণময় প্রতিমাকে প্রণাম করে। কালক্রমে এই অনুষ্ঠানই নাকি সংশোধিত হয়ে বর্তমান পর্যায়ে চলে এসেছে। পহেলা বৈশাখের সাথে আদৌ মিল আছে কিনা অনেকের সন্দেহ থাকা স্বাভাবিক। তবে সাঁওতালরা বর্ষবরণ উৎসবের সাথে ওতপ্রতোভাবে জড়িত থেকে সংস্কৃতির অংশ হিসেবে উদযাপন করে থাকে।
উত্তরবঙ্গের আরেকটি বৃহত্তম আদিবাসী জাতিগোষ্ঠী উরাঁও। এই জনগোষ্ঠীও নিজস্ব রীতিতে বর্ষবরণ করে থাকেন। এদের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের নামকরণ করা হয়েছে ফাগুয়া। ফাগুয়া শব্দটি তুর্কী শব্দ ফাগ থেকে এসেছে। ফাগ শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ আবীর, উরাঁওরা উৎসবটি উদযাপন করেন ফাল্গুনী পূর্ণিমায়। তাতে প্রচুর আবীর ব্যবহৃত হয়। আদিবাসী উরাঁওরা ফাল্গুনী পূর্ণিমায় পাহান বা তির্কী গোত্রের লোকজন এ পূজা/অনুষ্ঠান পরিচালনা করে থাকে। পূজোর পুরোহিত সাদা ধুতি পরে প্রস্তুত থাকেন পূজো দেওয়ার জন্য। সাধারণত পূজো বাড়ীর বাইরে কোনো এক ফাঁকা জায়গায় আয়োজন করা হয়ে থাকে। অবশ্যই পূজোর জন্য পূজো উপযোগী হয়ে জায়গাটিকে তৈরি করতে হয়। ফাগুয়া বা ফাগুন পূজোতে যে সমস্ত দ্রব্যাদির প্রয়োজন হয়, সেগুলো হলো- সিঁদুর, কলা, বাতাসা, তেল, দুধ, বেলপাতা, ধুপ, ফুল, চন্দন দূর্বাঘাস, ঘট, আগরবাতী, আতবচাল, আমপাতার পল¬ব প্রভৃতি। এবার পূজোর জায়গাটিতে তিনটি ভেল¬া গাছ পূতে রাখা হয়, এমনভাবে পূতে রাখা হয়, সেটি দেখতে মনে হবে একটি ঘর। ঐতিহ্যানুযায়ী পূজোর কর্মানুষ্ঠান শুরু হয় সন্ধ্যায়। পূজো উৎসর্গকারী সেই ঘরের মতো জায়গায় বসে পূজো-অর্চনা করে থাকে। পূজো শেষ হতে হতেই ইতোমধ্যে গ্রামের লোকজনেরা নিজ নিজ বাড়ি থেকে শুকনো খড়ের আঁটি এনে পুতে থাকা গাছের ডালের হেলান দিয়ে রেখে দেন। ডাল-পালার উপরেও খড় ছড়ানো হয়। পাশাপাশি পুরোহিত খড়ে ঢাকা কোনো একটি ডালের নিচে মোরগ বেঁধে রাখেন এবং এই সম্প্রদায়ের লোকজন ঢাকা-ঢোল, বাঁশি, করতাল নিয়ে নেচে গেয়ে উপস্থিত হয়। পূজোর প্রথম পর্বে পুরোহিত কোনো একটি ডালকে নিয়ে ডানদিক থেকে তিনবার নির্দিষ্টভাবে নির্মিত থান প্রদক্ষিণ করার পর খড়ের আঁটিগুলোতে আগুন লাগিয়ে দেন। উপস্থিত উৎসুক জনতা এবং বিশ্বাসীরা চিৎকার করে, মনে মনে বিড় বিড়িয়ে উচ্চারণ করে থাকে নববর্ষের সকল অকল্যাণ, রোগ-শোক, দুঃখ বেদনা, যন্ত্রণা যেন দূর হয়। পূজো চলাকালীন সময়ে ঈশ্বর বা ভগবানের কাছে মনের কোণের অপূর্ণ ইচ্ছা পূরণের দাবি জানানো হয়। জ্বালানো আগুন নেভানোর পূর্বেই পুরোহিত বা তার সহযোগীরা পুতে রাখা ডালের গোড়া পরিষ্কার করে বেজোড় কোপে কেটে ফেলে। ডাল কাটা সম্পন্ন হলেই উপস্থিত জনতাকে জানানো হয় ফাগুয়া বা ফাগুন কাঁটা হয়েছে। খণ্ডিত ডালের একটি অংশ পুরোহিত বা তার সহযোগীরা নিজেদের কাছে রাখেন এবং অপর অংশটি অন্য জায়গাতে পুতে রাখেন। এরপর আগুনের ছাই কেউ কেউ কপালে, নাভিতে লাগিয়ে, ঘষে দিয়ে আগামী বছরের শুভ কামনা করে। রোগ, শোক থেকে বাঁচার জন্যই নিজেদেরকে চিহ্নতে চিহ্নিত করে থাকে। যুবরা ছোট ছোট কাপড়ের পুটলি তৈরি করে করোসিন তৈল দিয়ে আগুন ধরিয়ে আকাশের দিকে ছুড়ে আনন্দ প্রকাশ করে থাকে, কোলাহলে মুখরিত হয় পূজোর স্থানটি। এ পূজোতে পাহান বা তির্কী গোত্রের যে সকল জামাই থাকে তাদেরকে বিশেষভাবে নিমন্ত্রণ করে নিয়ে আসা হয়।
প্রথম পর্বে ঘরের দেবতাকে খুশি করেই অথাৎ শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রিয় মদের গ¬াসে নিজেদেরকে সমর্পণ করে। মদ্যপান করেই নববর্ষকে আলিঙ্গন করে। ফাগুয়া পরবের জন্য প্রত্যেক ঘরেই রাখা হয় মদ, অবশ্য এটির সঙ্গে থাকে পিঠাও। ঘরের দেবতাকে সন্তুষ্ট করার জন্য কোনো পুরোহিতের প্রয়োজন পড়ে না, নিজেদের মধ্যের যে কোনো প্রবীণ ব্যক্তিই পূজোর কাজটি সমাধা করতে পারে। এটিকে মপ্তোঃকিতো’ বলা হয়। যে ঘরে এই পূজোর করা হবে, সে ঘরের কোণকে ভালোভাবে লেপে মুছে পরিষ্কার করা হয়। তৈরি করা হয় থান। এই থানের সমানে পরিবারের কোনো প্রবীন ব্যক্তি কুলাতে করে কাঁঠাল পাতা ৩টি, তেলের পিঠা ৩টি, এক ঘটি জল এবং এক ভাণ্ড মদ নিয়ে হাজির হন। তিনি পূর্বমুখী হয়ে পূজোর কার্য সম্পন্ন করেন। থানের ওপর রাখা কাঁঠাল পাতায় পিঠাগুলো রেখে দেন এবং পরিবারের অধিকর্তা নিজ এবং পূর্ব পুরুষের মঙ্গল কামনা করেন। অতঃপর তিনি মদ ও পানি উৎসর্গ করেন। উৎসর্গীকৃত মদ নিজে পান করেন অথবা পরিবারের অন্য কাউকে প্রদান করেন। পূজো চলাকালীন সময়ে কেউই মদ বা পিঠা স্পর্শ করতে পারে না। ঘরের নারীরা এই পূজোর মদ পান করতে পারে না, তাদের জন্য এটি নিষিদ্ধ।
উরাঁওদের ফাগুয়া উৎসবের আর একটি উলে¬খযোগ্য দিক হলো শিকার যাত্রা। যে বাড়িতে পূজা হয়, সে বাড়ির জামাইদের শিকারে নিয়ে যাওয়া হয়। শিকারে যাওয়ার পূর্বে শিকার যাত্রা সফল ও ফলপ্রসু হওয়ার জন্য ডাণ্ডা কাট্টা পূজা পরিচালনা করেন গ্রামের একজন বিশেষ পুরোহিত। তীর, ধনুক, লাঠি, ফালা, গজবাং প্রভৃতি ধরনের সরঞ্জাম নিয়ে শিকার যাত্রা আয়োজন করা হয়। পুর্বাহ্নেই জানানো হয় পুরোহিতকে যে, তাকে শিকার যাত্রার পূজো উৎসর্গ করতে হবে। এইজন্য তিনি মানসিকভাবে প্রস্তুত গ্রহণ করেন এবং রীতি অনুযায়ী চলে আসা প্রথাগুলো মানতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন। যেমন- সেদিন তিনি সকাল থেকে কোনো খাবার খেতে পাবেন না, শুধুমাত্র জল ছাড়া। তার পরণে থাকবে গেঞ্জি ও ধুতি। পূজার সরঞ্জামগুলো হলো-তিনটি কাঁঠাল পাতা, সিঁদুর, মুরগীর ডিম, ধুপ, আতপ চাল, কুলা এবং কলসপূর্ণ মদ। ঘরে আয়োজিত পূজোতে ডিমটিকে একটি বাঁশের মাথায় রেখে থানের সামনে রাখা হয়। পুরোহিত মদ পান করে ডিমটি ভেঙ্গে একটি বড় চামচে আতপ চাল মিশিয়ে আগুনে দেওয়া হয়। পূজোতে রাখা মদ খাওয়া চলার সময় ডিম ও চাল মিশ্রিত খাবার সামান্য পরিমাণ করে হাতে হাতে দেওয়া হয়। কখনো বয়ো বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের আবার কখনো যুবদের প্রদান করা হয়ে থাকে। যখন শিকারে গমণ করেন, তখন গ্রামের কুয়োতে কাঁটা দিয়ে রেখে চলে যান শিকার যাত্রীরা। অথাৎ শিকার থেকে ফেরত না আসা পর্যন্ত কেউই কুয়ো থেকে জল তুলতে পারবে না। এইজন্য শিকারে যাওয়ার পূর্বেই সবকিছু আয়োজন করতে হয়। সারাদিন শিকারে থাকার পর সন্ধ্যায় প্রত্যাবর্তন করেন। কোনো কারণবশত যদি জীবজন্তু পাওয়া না যায়, তাহলে ঘরে এসে তার উপযুক্ত জবাব বা উত্তর প্রদান করতে হয়। কারণ সবাই উম্মুখ হয়ে থাকেন, শিকার থেকে নিয়ে আসা মাংস আনন্দসহকারে ভাগ জোগ করে খাবেন। মনোরথ ব্যর্থ হলে তো অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। কেউ কেউ গানের মাধ্যমে ব্যর্থতাকে তুলে ধরে। এ সময় ঘরের লোকজন বাস্তব অবস্থা উপলব্ধি করতে পেরে সান্তনা দিয়ে থাকেন। অপরদিকে শিকার থেকে শিকারী মাংস নিয়ে আসলে, আসা মাত্র তাদেরকে ঘটির জল দিয়ে পা ধোয়ানো হয় এবং হড়িয়া বা মদ তুলে দেওয়া হয়। শিকারের মাংস গ্রামের লোকজনের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ করা হয়, প্রতিটি ঘরে চলে মাংস ভোজন, মদ পান ও ঢাক ঢোল বাজিয়ে হৈ
হুল্লোড়ে। কয়েকটি পঙতি হতে পারে যেমনঃ
সারহুলের চন্দ্রোদয়ে হৃদয় নৃত্য করছে,
ফাগুয়ার চন্দ্রোদয়ে হৃদয় নৃত্য করছে,
পূর্ণিমার চন্দ্রোদয়ে হৃদয় নৃত্য করছে,
চন্দ্রের ক্ষীয়মানতায় হৃদয় ব্যথাহত হচ্ছে,
নববধূর আগমনে হৃদয় নৃত্য করছে,
দেবর দর্শনে বধূর হৃদয় নৃত্য করছে,
পূর্ণিমার চন্দ্রোদয়ে হৃদয় নৃত্য করছে,
পূর্ণিমার ক্ষীয়মানতায় হৃদয় ব্যথাহত হচ্ছে।’
0 comments:
Post a Comment