খবরে বলা হয়, উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের হাওয়াই দ্বীপের রয়েল গার্ডেন জেলায় এককালে প্রায় ২০০ লোকের বাস ছিল। কিন্তু আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুত্পাতের ফলে সৃষ্ট লাভা নির্গমনের কারণে ধীরে ধীরে এলাকাটি বাসের অযোগ্য হয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা অন্যত্র পাড়ি জমাতে শুরু করলে কমতে থাকে লোকসংখ্যা। এভাবে একসময় প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়া জেলাটিতে একমাত্র বাসিন্দা ছিলেন জ্যাক থম্পসন।
বছরের পর বছর ধরে আগ্নেয়গিরির অসহনীয় লাভা থম্পসনের বাড়ির দিকে ধেয়ে আসছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর বাড়ির এত কাছে লাভা চলে এল যে থম্পসনকে লাভার তেজের কাছে পরাজয় বরণ করতে হলো।
‘টুকিটাকি কিছু জিনিস ছাড়া প্রায় সবকিছু ফেলে রেখেই আমি বাড়ি ছাড়ছি। বহুকাল আগেই আমি এসব জিনিস এই পার্বত্য এলাকার কাছে উত্সর্গ করে দিয়েছি।’ রয়টার্সের একটি ভিডিওচিত্রে থম্পসনকে এসব কথা বলতে দেখা যায়।
১৯৮৩ সালে থম্পসন তাঁর বাড়িটি তৈরি করেন। সে সময় বাড়িটির ঠিক পেছনে এসে লাভার প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে ওই লাভা ধীরে ধীরে তাঁর বাড়ির আশপাশের মাটি গ্রাস করে নিচ্ছিল। যাতায়াতের জন্য রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গেছে আগেই। হেলিকপ্টারই ছিল একমাত্র ভরসা।
থম্পসন বলেছেন, বাড়ি ছেড়ে যাচ্ছেন বলে কিছু কারণে তিনি খুশিও। তিনি বলেন, ‘কিছুটা আক্ষেপ, কিছুটা দুঃখ আর কিছুটা স্বস্তি। বহুদিন ধরে আমি তল্পিতল্পা গোছানোর কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এখন হয়তো আমাকে তা আর করতে হবে না।’ এদিকে সবাই এখন ভাবছে, আর কটা দিন থম্পসনের বাড়িটি টিকে থাক। prothom-alo
0 comments:
Post a Comment