টমেটোর চাটনি [৪ জনের জন্য]
উপকরণ: বড় টমেটো ৬টি, সয়াবিন তেল সিকি চা-চামচ, সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, চিনি আধা চা-চামচ, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ৩ টেবিল চামচ, শুকনো মরিচ ৪টি।
প্রণালি: টমেটো ধুয়ে মুখটা কেটে ৪ টুকরো করে কেটে নিন। টমেটোতে তেল মাখিয়ে একটি ফ্রাইপ্যানে দিয়ে জ্বাল বাড়িয়ে ঢেকে দিন। পাঁচ মিনিট পর ঢাকনা খুলে টমেটোগুলো উল্টে দিয়ে আবারও ঢেকে দিন। আরও পাঁচ মিনিট পর চুলার জ্বাল কমিয়ে ঢাকনা খুলে ডালঘুঁটনি দিয়ে সামান্য থেঁতো করে পানি শুকিয়ে ফেলুন। টমেটো সেদ্ধ হয়ে পোড়া পোড়া হলে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। একটি পাত্রে শুকনো মরিচ টেলে হাতে গুঁড়ো করে রাখুন। তার সঙ্গে পেঁয়াজ কুচি, ধনেপাতা কুচি, লবণ ও চিনি মিশিয়ে হাত দিয়ে ভালো করে কচলে পোড়া পোড়া টমেটোর সঙ্গে মিশিয়ে সরিষার তেল দিয়ে মাখিয়ে নিন। গরম ভাত বা পুরির সঙ্গে খেতে পারবেন।
টমেটোর খাট্টা-মিঠা [৫-৬ জনের জন্য]
উপকরণ: টমেটো ৫০০ গ্রাম, পানি ৬ কাপ, হলুদ গুঁড়ো সিকি চা-চামচ, মরিচ গুঁড়ো সিকি চা-চামচ, লবণ ৩ চা-চামচ (অথবা স্বাদ অনুযায়ী), চিনি ৬ চা-চামচ, তেঁতুলের ক্বাথ আধা কাপ, রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ৩ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৪টি, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, তেল ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি: একটি হাঁড়িতে ৬ কাপ পানি দিয়ে চুলায় দিন। তাতে টমেটো ধুয়ে ৪ টুকরো করে দিন। সঙ্গে ২ চা-চামচ লবণ, হলুদ ও মরিচ গুঁড়ো দিয়ে চুলার আঁচ বাড়িয়ে ঢেকে দিন। পাঁচ মিনিট পর ঢাকনা খুলে ৪ চা-চামচ চিনি দিন। আবারও ঢেকে দিয়ে জ্বাল দিন। পানি কমে ৪ কাপমতো হলে চুলা থেকে নামিয়ে কিছুক্ষণ ঠান্ডা হতে দিন। এবার তারের চালুনিতে টমেটোগুলো হাত দিয়ে ভালো করে ছেনে নিয়ে খোসা ফেলে দিন। আবার হাঁড়ি চুলায় চাপিয়ে তেঁতুলের ক্বাথের সঙ্গে আরও ১ চা-চামচ লবণ ও ২ চা-চামচ চিনি মিশিয়ে ঢেলে দিন। নেড়ে দুই-তিনবার ফুটতে দিন। চুলার আঁচ কিছুটা কমিয়ে দিন। পাশের চুলায় ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাজতে থাকুন। পেঁয়াজ হালকা বাদামি রং হলে রসুন কুচি দিয়ে ভাজতে থাকুন। পেঁয়াজ ও রসুনের রং গাঢ় বাদামি হয়ে এলে কাঁচা মরিচ দিয়ে দু-এক মিনিট ভেজে খাট্টা-মিঠার হাঁড়িতে তা ঢেলে দিন। দু-একবার ফুটে ওঠার পর ধনেপাতা কুচি দিয়ে চুলা বন্ধ করে ঢাকনা দিয়ে পাঁচ মিনিট রাখুন। কেউ যদি একটু ঘন করতে চান, তাহলে এতে সামান্য কর্নফ্লাওয়ার গুলে দিতে পারেন।
টমেটোর আচার
উপকরণ: টমেটো ১ কেজি, শুকনো মরিচ ৪-৫টি, সরিষার তেল ১ কাপ, তেঁতুলের ক্বাথ আধা কাপ, সিরকা আধা কাপ, কাঁচা আদা ২ ইঞ্চি লম্বা ১টি, জিরা ১ টেবিল চামচ, রসুন ৮ কোয়া, সাদা সরিষা ১ টেবিল চামচ, হলদু আধা চা-চামচ, লবণ ২ চা-চামচ অথবা স্বাদ অনুযায়ী, চিনি সিকি কাপ, পাঁচফোড়ন টেলে গুঁড়ো করা ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি: টমেটো ধুয়ে কুচি করে নিন। অর্ধেক পরিমাণ আদা ও রসুন কুচি করুন। বাকি আদা, সরিষা ও জিরা বেটে নিন। চুলায় কড়াইয়ে সরিষার তেল গরম করে সব বাটা মসলা দিয়ে ভালো করে ভেজে নিন। কষানো হলে সিরকা ও লবণ দিয়ে আরও কিছুক্ষণ নেড়ে কষাতে হবে। তারপর টমেটো কুচি, ১ চা-চামচ পাঁচফোড়ন গুঁড়ো, আদা, রসুন কুচি ও শুকনো মরিচ দিয়ে রান্না করুন। চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিয়ে নাড়তে থাকুন। পানি শুকিয়ে তেলের ওপরে এলে তাতে তেঁতুলের ক্বাথ ও চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। একটু মাখা মাখা হলে বাকি পাঁচফোড়নের গুঁড়ো ছিটিয়ে দিয়ে চুলা বন্ধ করুন। ঠান্ডা হলে একটি কাচের শুকনো বোতলে আচার ঢেলে বোতলের মুখ শক্ত করে বন্ধ করে ১০-১২ দিন কড়া রোদে দিন।
টমেটো চিংড়ি মালাইকারি [৪-৫ জনের জন্য]
উপকরণ: বড় মাঝারি চিংড়ি ২০০ গ্রাম (ধুয়ে বেছে নেওয়ার পর), সবুজ কাঁচা মরিচ চেরা ২টি, লাল কাঁচা মরিচ চেরা ২টি, হলুদ গুঁড়ো সিকি চা-চামচ, টমেটো ৩টি (প্রতিটি লম্বায় ৪ টুকরো করতে হবে)। মরিচ গুঁড়ো ১ চা-চামচ, লবণ আধা চা-চামচ অথবা স্বাদ অনুযায়ী, চিনি ১ চা-চামচ, নারকেলের দুধ ২ কাপ, গোটা জিরা সিকি চা-চামচ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, ধনেগুঁড়ো সিকি চা-চামচ, জিরা গুঁড়ো আধা চা-চামচ, পেঁয়াজ বাটা সিকি কাপ, সরিষার তেল সিকি কাপ।
প্রণালি: ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে সামান্য লবণ ও হলুদ মাখিয়ে মাছগুলো ভেজে তেল ছেঁকে উঠিয়ে রাখুন। মাছ ভাজার একই তেলে গোটা জিরার ফোড়ন দিয়ে আদা ও পেঁয়াজ বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে ১ কাপ নারকেলের দুধ দিন। আরও কিছুক্ষণ কষাতে হবে। তারপর মসলা থেকে তেল ছাড়া শুরু হলে জ্বাল কমিয়ে লবণ ও চিনি দিয়ে হালকা নেড়ে হলুদ, মরিচ, ধনে ও জিরা গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। সামান্য গরম পানি দিয়ে কষান। এবার বাকি ১ কাপ নারকেলের দুধ দিয়ে হালকা নেড়ে চিংড়ি মাছগুলো দিয়ে দিন। চুলার আঁচ সামান্য বাড়িয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। পাঁচ মিনিট পর ঢাকনা খুুলে নাড়ুন। তারপর টমেটো দিয়ে আরও পাঁচ মিনিট ঢেকে রান্না করুন। পাঁচ মিনিট পর ঢাকনা খুলে যখন মাছের গায়ে ঝোল মাখা মাখা হবে, তখন চেরা কাঁচা ও পাকা মরিচ দিয়ে ঢেকে চুলা বন্ধ করে দিন। ১০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন।
0 comments:
Post a Comment