বৈঠকে কপিল সিবাল ওই কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো ছবি দেখিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
বর্তমানে ভারতে ১০ কোটিরও বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আছে। হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, এত বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারীর কর্মকাণ্ড তদারকি করা অসম্ভব বলেই জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। যেসব ইন্টারনেট সাইট আপত্তিকর বিষয়গুলো বন্ধের উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্ত্রী সতর্ক করে দিয়েছেন।
তবে আজ মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগের সবচেয়ে বড় ওয়েবসাইট ফেসবুকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ভারত সরকারের এ আবেদনে সাড়া দিয়ে এসব উপাদান শনাক্তের চেষ্টা করবে। এক বিবৃতিতে ফেসবুক বলেছে, ‘ভয়ংকর, হুমকিস্বরূপ, সহিংসতাকে উসকে দেয় কিংবা নগ্নতা ধারণ করে এবং আমাদের নীতিমালা লঙ্ঘন করে এমন কোনো উপাদান থাকলে আমরা তা সরিয়ে নেব।’ প্রসঙ্গত, ভারতে দুই কোটি ৮০ লাখ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে।
টেলিযোগাযোগ বিভাগের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসের এক খবরে বলা হয়েছে, বৈঠকে ওয়েবসাইটগুলোকে আরও সতর্ক হতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে আপত্তিকর কিছু ইন্টারনেটে ব্যবহূত হবে না—সেটি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। কোনো কিছু আপলোড করার আগে তা যাচাই-বাছাই করারও তাগাদা দেওয়া হয়েছ।
যোগাযোগমন্ত্রী কপিল আরও বলেছেন, ভারত সেন্সরশিপ আরোপ করতে চায় না। তাঁরা চায় এসব প্রতিষ্ঠান কোনো কিছু ইন্টারনেটে আপলোড করার আগে নিজেরাই যাচাই-বাছাই করুক। তিনি বলেন, ‘আমি সেন্সরশিপের পক্ষে নই। আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নিজস্ব বিবেচনা বোধই সবচেয়ে বড় সেন্সরশিপ। আমরা এমন কিছু করতে চাই না, তা আমাদের দেশের শান্তি নষ্ট করে।’
0 comments:
Post a Comment