ওয়েন চুই চীনের একজন সফল ব্যবসায়ী। নিজের নানা তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে তিনি দেহরক্ষী হিসেবে নারীদের নিয়োগ দেওয়ার কথা ভাবেন। গোডান নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন তিনি। এখান থেকেই দেহরক্ষী হিসেবে নারীদের বিভিন্ন জায়গায় নিয়োগ দেওয়া হয়।
বিবিসি অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনে এ ধরনের প্রায় তিন হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান নারী দেহরক্ষীদের নিয়ে কাজ করে।
ওয়েন চুই বলেন, একজন নারী দেহরক্ষী হলো বোনের মতো। সে সার্বক্ষণিকভাবে ব্যক্তিগত নজরদারির কাজ করতে পারে। ওয়েন বলেন, ৩০ জন নারীকে দেহরক্ষী হিসেবে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন তিনি। ওয়েন চুইয়ের প্রতিষ্ঠান নারী দেহরক্ষীদের ভালোই বেতন দিয়ে থাকে। তাঁর প্রতিষ্ঠান গোডানের উদ্যোগে দেহরক্ষী হিসেবে নারীদের ছয় মাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণের মধ্যে আছে কুং ফু, নজরদারি ও প্রাথমিক চিকিত্সা। দেহরক্ষী হিসেবে তাদের কিছু বিশেষ আচার আচরণও শেখানো হয়।
ওয়েন চুই বলেন, নারীরা, নারী দেহরক্ষী রাখতে চায়। পুরুষদের তুলনায় তারাই বেশি পছন্দের। কারণ এতে কোনো ধরনের কেলেঙ্কারি বা রটনার আশঙ্কা থাকে না। তিনি বলেন, নারীদের দেহরক্ষী হিসেবে রাখলে তার সঙ্গে একই ঘরে থাকা যায়। ফলে নিজেদের নিরাপত্তা আরও জোরদার হয়।
চীনের একজন সফল ব্যবসায়ী হলেন মিস চেন। তাঁর দেহরক্ষী হলেন চেন হাই রং। নারী দেহরক্ষী রাখার কারণ হিসেবে মিস চেন বলেন, এখন নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। দেহরক্ষীর কাজ করেন ঝি ঝিংঝিয়াং। তিনি বলেন, মা-বাবা তাকে অন্য চাকরি করার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। কিন্তু দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করাটা তিনি উপভোগ করছেন।
0 comments:
Post a Comment