আয়োজকদের দাবি, বিশ্বে বর-কনে বাছাইয়ের জন্য এটাই এ-যাবৎকালে সবচেয়ে বড় সমাবেশ। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চীনে গত দশকে অবিবাহিত নারীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। সে তুলনায় অবিবাহিত পুরুষের সংখ্যা কমেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আধুনিক নারীদের মধ্যে এখন শিক্ষাদীক্ষা ও জীবনযাপনে তুলনামূলক নিচু পর্যায়ে থাকা পুরুষদের বিয়ে করার ব্যাপারে অনীহা বাড়ছে। এতে জীবনসঙ্গী নির্বাচনে পুরুষদের চেয়ে তাঁরা পিছিয়ে পড়ছেন।
আয়োজকেরা জানান, মেলায় জীবনসঙ্গী নির্বাচনের যে আনুপাতিক হার, তা ছিল প্রতি দুজন পুরুষের জন্য তিনজন নারী। মেলায় যোগ দেওয়ার জন্য নারীদের কাছে ছয় হাজার ও পুরুষদের কাছে চার হাজার টিকিট বিক্রি করা হয়।
সাংহাই ম্যাচমেকিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ঝাও জুয়েমিন বলেন, ‘আজকাল মেয়েরা অনেক বেশি আত্মনির্ভর ও স্বাধীন। এ ছাড়া সমাজে এখন প্রচুর কাজের চাপ। অনেক মেয়ে এখন চাকরি করছেন। এর মধ্যে বিয়ের চেয়ে পেশাগত জীবনকে বড় করে দেখছেন তাঁরা। এভাবে অনেক মেয়ের বিয়ের বয়স পার হয়ে যাচ্ছে।’
মেলায় প্রত্যেক নারী ও পুরুষকে জীবনসঙ্গী বাছাইয়ের জন্য সম্ভাব্য মানুষটির সঙ্গে পাঁচ মিনিট করে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়।
সমাবেশে ২৭ বছর বয়সী জু তিয়ানওই বলেন, ‘আমার চেয়ে যদি কারও জীবনযাপনের মান সব দিক দিয়ে নিচু হয়, এতে তাকে সঙ্গী হিসেবে বেছে নিতে আপত্তি নেই, যদি সব ক্ষেত্রেই তার সঙ্গে ভালো বোঝাপড়া হয়। আমরা যদি মানিয়ে চলতে পারি, এর সুফল তো পাবই।’ তিনি বলেন, ‘সামাজিক অবস্থান আসলে কোনো বিষয় নয়, আমি মনে করি, জীবনসঙ্গী নির্বাচনের বেলায় সবচেয়ে বড় বিষয়টি হচ্ছে, আমার মনের অনুভূতি কত জোরালো।
মেলায় আসা অনেক পুরুষ আশা প্রকাশ করে বলেন, উচ্চশিক্ষিত ও উঁচু শ্রেণীর নারীকে বিয়ে করা যাবে না—সমাজে চলতে থাকা এই ধারার অবসান ঘটবে। লি জিয়ানজুম নামের এক যুবক বলেন, শিক্ষাদীক্ষায় আর জীবনযাপনের মানদণ্ডে উঁচুতে থাকা কোনো মেয়েকে জীবনসঙ্গী করতে কোনো সমস্যা মনে করেন না তিনি। পারস্পরিক মনের মিল থাকলে একজন আরেকজনকে বুঝতে পারলেই হলো।’ রয়টার্স।প্রথম আলো
0 comments:
Post a Comment