গত কয়েক মাসে চারটি ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ তুলে নিয়েছেন গ্রাহকেরা। এতে অন্য ব্যাংক থেকে টাকা ধার (মুদ্রাবাজার থেকে) করে চলার প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতির পরও ব্যাংকগুলো কলমানি (মুদ্রাবাজার থেকে ধার করে) নিয়ে নতুন করে ঋণ বিতরণ করে চলেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক এর আগে আগাম সংকেত হিসেবে সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী—এই চারটি ব্যাংকে নগদ অর্থ সংকটের বিষয়টি ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদকে জানিয়েছিল। তার পরও পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
তবে সরকার ও রাষ্ট্রীয় করপোরেশনগুলোকে বড় অঙ্কের ঋণ দেওয়া এই সংকটের অন্যতম কারণ বলে ব্যাংকগুলো জানিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সর্বশেষ অর্থ মন্ত্রণালয়কে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সূত্র জানায়, গত ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনার পক্ষ থেকে সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। বলা হয়, এত দিন এই ব্যাংকগুলো কেবল অসচ্ছল ছিল। কিন্তু তাদের হাতে ছিল বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ, যা দিয়ে ব্যাংকগুলো দৈনন্দিন কাজে ব্যয় করার পরও মুদ্রাবাজারে টাকা ধার দিয়ে আয় করতে পারত। এখন সে পরিস্থিতিও নেই। বরং তারাই উল্টো ধার করে চলেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, অসচ্ছল ব্যাংক টিকতে পারে, কিন্তু তারল্য না থাকলে ব্যাংক আর চলতে পারে না।
এই পর্যালোচনাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদ গভীর উদ্বেগের বিষয় মনে করছে। পর্ষদ বিষয়টি সরকারকে জানানোর পরামর্শ দিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
যোগাযোগ করা হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সাদিক আহমেদ কয়েক দিন আগে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা বিষয়টি সরকারকে জানাতে বলেছেন। তিনি বলেন, ‘পর্ষদ মনে করে, এই ব্যাংকগুলোর যেসব ঋণকে (সম্পদ) ভালো মানের দেখানো হচ্ছে, তা হয়তো তত ভালো না-ও হতে পারে। যে কারণে সম্পদের আরও বিস্তৃত মূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।’
জানা গেছে, পর্ষদ সভায় সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের মূলধন, মুনাফা, সম্পদ ইত্যাদির মধ্যে আন্তসম্পর্কের মূল্যায়ন করে দেখাতে বলা হয়েছে।
রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর এ পরিস্থিতির সাম্প্রতিক তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেখেছে, এই ব্যাংকগুলোর ঋণ বৃদ্ধির হার আমানতের তুলনায় অনেক বেশি। সার্বিক ব্যাংক খাতে যেখানে গড় আমানত বৃদ্ধির হার ১৫ শতাংশ, সেখানে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে আমানত বৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৯ শতাংশ। অন্যদিকে ব্যাংক খাতে ঋণ বৃদ্ধির হার ৯ শতাংশ হলেও রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, বেহিসাবি ঋণ বিতরণে ব্যাংকগুলোর এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
সূত্র বলছে, এত দিন সারা দেশ থেকে ক্ষুদ্র আমানতকারীদের অর্থ সংগ্রহ করেছে এসব ব্যাংক। কিন্তু এখন তারা বড় অঙ্কের গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু বেসরকারি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে এ প্রতিযোগিতায় তারা পিছিয়ে পড়েছে। কেননা, বেসরকারি ব্যাংকের আমানতের সুদের হার এদের চেয়ে অনেক বেশি।
তবে এ পরিস্থিতির দায় নিতে রাজি নয় ব্যাংকগুলো। তারা বলছে, একদিকে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন করপোরেশনকে (বিপিসি, বিআরডিবি, বিএডিসি) ঋণ দিতে সরকারের দিক থেকে নির্দেশনা রয়েছে। অন্যদিকে সরকারের ঋণের জোগান দিতে বিধিবদ্ধ জমার (এসএলআর) অতিরিক্ত বিপুল পরিমাণ অর্থ তাদের এসএলআরে রাখতে বলা হয়েছে। এসব টাকা ফেরত এলে তারা আবার মুদ্রাবাজারের মূল অর্থের জোগানদাতা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এই ব্যাংকগুলো এখন মুদ্রাবাজারের নিট ঋণগ্রহীতা হয়েছে। কিন্তু এর আগে এই ব্যাংকগুলোই দীর্ঘদিন ধরে ঋণ দিত।
যোগাযোগ করা হলে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও এস এম আমিনুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, কিছুটা সংকট হলেও তা এখন অনেকটা কেটে গেছে। এটা ঠিক, বড় অঙ্কের টাকা তোলা হয়ে গেছে। তাতে নগদ অর্থের ঘাটতি সৃষ্টি হয়।
আমিনুর রহমান বলেন, বেসরকারি ব্যাংকের আমানতের সুদের হার বেশি হওয়ায় রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংক থেকে টাকা সেখানে যায়। ফলে মুদ্রাবাজার থেকে টাকা ধার করে চলতে হচ্ছে তাদের। কিন্তু এখন পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিধিবদ্ধ জমা (এসএলআর) সংরক্ষণে বাধ্যবাধকতার চেয়ে অতিরিক্ত তিন হাজার কোটি টাকা জনতা ব্যাংক এ খাতে রেখেছে। এই টাকা মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগে ভাঙাতে দিলে আমরা আবার মুদ্রাবাজারে অর্থের মূল জোগানদাতা হব।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ এ বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর সার্বিক ব্যবস্থাপনা দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাদের সম্পদ ও দায় এবং পোর্টফলিও ব্যবস্থাপনা সবক্ষেত্রেই দুর্বলতাগুলোও আরও স্পষ্ট হয়েছে। অনভিজ্ঞদের হস্তক্ষেপে এবং চাপের মধ্যে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংকগুলোকে স্বাধীনভাবে নিজস্ব ব্যবস্থাপনা পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আর একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংককেও শক্ত হতে হবে। শুধু চিঠি দিয়ে দায়সারা গোছের দায়িত্ব পালনে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
গ্রাহকের টাকা উত্তোলন: বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশ্লেষণ থেকে জানা গেছে, এ বছরের জুন-সেপ্টেম্বর সময়ে বিপুল পরিমাণ আমানত হারায় এই ব্যাংকগুলো। এ সময়ের মধ্যে সোনালী ব্যাংক থেকে গ্রাহকেরা ৫৭৩ কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন। জনতা ব্যাংক থেকে তুলেছেন ৯৯০ কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংক থেকে ৭০৬ কোটি টাকা ও রূপালী ব্যাংক থেকে গ্রাহকেরা তুলে নিয়েছেন ছয় কোটি ৩১ লাখ টাকা। বেসরকারি ব্যাংকের তুলনায় এই ব্যাংকগুলোর আমানতের সুদহার প্রতিযোগিতামূলক না হওয়ার কারণেই এমনটি হতে পারে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীভূত ঋণ: কোনো একটি খাতে ব্যাংকের ঋণ কেন্দ্রীভূত হওয়াকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হয়। কেননা নির্দিষ্ট খাতে কোনো সংকট তৈরি হলে ব্যাংকের আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। তা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক নীতি না মেনে এ ব্যাংকগুলোর ঋণ কেন্দ্রীভূত হয়েছে। পোশাক ও বস্ত্র খাতে সোনালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকের ঋণ দাঁড়িয়েছে মোট ঋণের যথাক্রমে ২৬ দশমিক ২৯ শতাংশ, ১৭ দশমিক ২৯ শতাংশ ও ১০ দশমিক ৪৩ শতাংশ। আর রূপালী ব্যাংকের মোট ঋণের ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ বিতরণ হয়েছে ধাতব পণ্য খাতে। এতে একক খাতে সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের মোট মূলধনের যথাক্রমে ২০৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ, ১৪৬ দশমিক ৮১ শতাংশ, ৯৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং ৬২ দশমিক ৩৬ শতাংশ ঋণ কেন্দ্রীভূত হয়েছে। একক খাতে আন্তর্জাতিকভাবে ঋণ কেন্দ্রীভূত হওয়ার সন্তোষজনক মাত্রা হলো ২৫ থেকে ৫০ শতাংশের কম। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করে, এ পরিস্থিতি ঋণ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
তারল্য পরিস্থিতি: বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এই ব্যাংকগুলো সম্পূর্ণ অনুমাননির্ভর তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তাদের তারল্য পরিস্থিতির প্রতিবেদন তৈরি করছে। এরূপ অনুমাননির্ভর তথ্য ব্যবহার করে ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সম্পদ-দায় ব্যবস্থাপনা করছে। ফলে ব্যাংকগুলোর তারল্য পরিস্থিতিতে মাত্রাতিরিক্ত অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে। ভবিষ্যতে বড় ধরনের তারল্য সংকটের সৃষ্টি যাতে না হয়, সে জন্য ইতিমধ্যে ব্যাংকগুলোর পরিচালকদের লিখিতভাবে তা জানানো হয়েছে।
ব্যাংকগুলো মুদ্রাবাজার বা কলমানিতে টাকা ধার করার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে রেপো নিলামে টাকা ধার করে। আবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও তারল্য সহায়তা নিয়ে থাকে। সোনালী ব্যাংকের হিসাবে দেখা গেছে, জুন মাসে তাদের (তিন ধরনের ধার নিট হিসাবে) নিট ধার ছিল ৬১৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা, জুলাই মাসে তা বেড়ে হয়েছে ৭৮৩ কোটি টাকা, আগস্টে এক হাজার ১৭১ কোটি ২৬ লাখ টাকা ও ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হয়েছে ৩৭৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
জনতা ব্যাংকের হিসাবে দেখা যায়, জুন মাসে কোনো ধার ছিল না। কিন্তু জুলাই মাসে হয়েছে এক হাজার ২৮৩ কোটি ১০ লাখ টাকা, আগস্টে এক হাজার ৫৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা ও ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হয়েছে এক হাজার ১৭০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
অগ্রণী ব্যাংকের হিসাবে দেখা যায়, জুন মাসে নিট ধার ছিল ৮৯৮ কোটি টাকা, জুলাই মাসে তা বেড়ে হয়েছে এক হাজার ৭৮১ কোটি ২১ লাখ টাকা, আগস্টে দুই হাজার ৪৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ও ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হয়েছে দুই হাজার ৫৩০ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
রূপালী ব্যাংকের হিসাবে দেখা যায়, জুন মাসে নিট ধার ছিল ২৯০ কোটি ৩০ লাখ টাকা, জুলাই মাসে হয়েছে ১২৫ কোটি টাকা, আগস্ট মাসে ৩২৫ কোটি টাকা ও ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হয়েছে ৩৫০ কোটি টাকা।
খেলাপি ঋণ পরিস্থিতি: ২০১১ সালের মার্চের তুলনায় জুন মাসে রূপালী ব্যাংক ছাড়া বাকি তিন ব্যাংকেরই মোট ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অগ্রণী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ও হার উভয়ই বেড়েছে। জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলেও মোট ঋণের তুলনায় হার কমেছে। তবে সোনালী ও রূপালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ও হার উভয়ই কমেছে।
অন্যদিকে জানুয়ারি-মার্চ সময়ের তুলনায় এপ্রিল-জুন সময়ে সোনালী, জনতা ও রূপালী ব্যাংকের নগদ আদায়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু অগ্রণী ব্যাংকের নগদ আদায়ের পরিমাণ সামান্য কমেছে।
মূলধন সংরক্ষণ: বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে বিরূপ পরিস্থিতিতে সহনক্ষমতা বা স্ট্রেস টেস্টিং করে থাকে। সম্প্রতি এই ব্যাংকগুলোর সহনক্ষমতা পরীক্ষায় দেখা গেছে, বড় অঙ্কের ঋণগ্রহীতাদের ঋণ হিসাবে সীমিত বা মাঝারি (মডারেট) ধরনের বিরূপ পরিবর্তনে ব্যাংকগুলোর মূলধনে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এতে ব্যাসেল-২ অনুসারে ব্যাংকগুলো পর্যাপ্ত মূলধন সংরক্ষণে সক্ষম না-ও হতে পারে।
২০১১ সালের জুন হিসাবে সোনালী ব্যাংকের মূলধন সংরক্ষণের হার ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ, জনতা ব্যাংকের ৯ দশমিক ০১ শতাংশ, অগ্রণী ব্যাংকের ৮ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং রূপালী ব্যাংকের ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ। ব্যাসেল-২ অনুসারে ঝুঁকিনির্ভর সম্পদের বিপরীতে মূলধন সংক্ষরণের হার বর্তমানে ৯ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, অনেক দিন ধরেই এই ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থা উন্নয়নের চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের আরও বেশি নজরদারি প্রয়োজন। তিনি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব করে বলেন, এই ব্যাংকগুলোকে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মতো আক্ষরিক অর্থে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আওতায় দিয়ে দিতে হবে। ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের তিন-চারজন কর্মকর্তা নিয়োগ করে ষাণ্মাসিক লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করতে হবে এবং তার ১০০ ভাগ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে পরিচালনা পর্ষদে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে।
0 comments:
Post a Comment