হূদরোগী কী খাবেন কী খাবেন না

হূদরোগী যা খাবেন
হূদরোগীর খাদ্য তালিকায় প্রথমেই যোগ করতে হবে উজ্জ্বল রংয়ের শাকসবজি। যেমন-শসা, গাজর, টমেটো, পালংশাক, লালশাক ইত্যাদি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যোগ করতে হবে। প্রতিদিন কিছু না কিছু টাটকা মৌসুমি ফল খেতে হবে। যেমন-আম, জাম, পেয়ারা, কলা, কমলা, আপেল, পেঁপে ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।

মাংসের মধ্যে হূদরোগীর জন্য উপযোগী হচ্ছে বাচ্চা মুরগির মাংস। তবে মুরগির চামড়া, মগজ, কলিজা অবশ্যই বাদ দিতে হবে। কুসুম বাদ দিয়ে ডিমের সাদা অংশটুকু খেতে হবে।অবশ্যই বাদ দিতে হবে। কুসুম বাদ দিয়ে ডিমের সাদা অংশটুকু খেতে হবে।

নির্দ্বিধায় খাওয়া যাবে ছোট মাছ। যেমন-কাচকি, টাকি, বাইলা (বেলে) ইত্যাদি মাছ খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়াও বেছে নেওয়া যেতে পারে পাবদা, শিং-মাগুরকে। এ ছাড়া আরও অনেক মাছ আছে যেগুলোতে চর্বি নেই সেগুলো খাওয়া যাবে। একটু সতর্ক দৃষ্টি রাখলেই আপনি বুঝতে পারবেন মাছটি চর্বিযুক্ত কি না। মিঠা পানির তৈলাক্ত মাছ না খাওয়াই ভালো। চিংড়ি মাছ খাওয়া যাবে না। তবে যে কোনো সামুদ্রিক মাছ খাওয়া যাবে। গবেষকরা মনে করেন, সামুদ্রিক মাছ হূিপণ্ডের সুস্থতা রক্ষায় সহায়ক। তবে মিঠা পানির বড় মাছের চর্বি বাদ দিয়ে শুধু মাছটুকু খাওয়া যেতে পারে।
ভুসিসুদ্ধ গমের আটার রুটি খাওয়া যেতে পারে।
প্রতিদিনই ভাতের সঙ্গে ১-২ চামচ ডাল খাওয়া যেতে পারে।
রান্নার জন্য যেহেতু তেল অপরিহার্য সুতরাং সয়াবিন ও ভেষজ তেল দিয়ে রান্না করা খাবার খেতে হবে।
ভেষজ মাখন, যেমন-মার্জারিন খাওয়া যেতে পারে সাধারণ মাখনের পরিবর্তে ।

হূদরোগী যা খাবেন না
খাওয়ার সময় পাতে কাঁচা লবণ, লবণ দিয়ে সংরক্ষিত খাবার যেমন-চিপস, আচার, চানাচুর , লোনা মাছ এসব একদম খাওয়া যাবে না। তাই টেবিল থেকে লবণদানিটি সরিয়ে ফেলাই বরং ভালো। তা ছাড়া রান্নায়ও অতিরিক্ত লবণ ব্যবহার করা যাবে না।

মাখন, ঘি, বাটার অয়েল বর্জন করতে হবে। দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত খাবার, মিষ্টি , পেস্ট্রি , কেক, পায়েস ইত্যাদি খাওয়া যাবে না।

গরু, খাসি, হাঁস এবং প্রাণিজ চর্বি ও চর্বিযুক্ত মাংস পরিত্যাগ করতে হবে।

কলিজা, মগজ, গিলা, হাড়ের ভেতরের মজ্জা, চামড়া, ভুঁড়ি ইত্যাদি যে কোনো প্রাণীরই হোক না কেন, তা ত্যাগ করতে হবে।

ডিমের কুসুমটুকু খাওয়া যাবে না। নারকেল না খাওয়াই ভালো।

মিঠা পানির তৈলাক্ত মাছ যেমন-ইলিশ, পাঙ্গাশ, বোয়াল, রুই, কাতলা এগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো।
খোলসযুক্ত জলজপ্রাণী যেমন- চিংড়ি, ঝিনুক, কাঁকড়া, কচ্ছপ, শামুক কখনই খাওয়া উচিত হবে না।
কখনই খাবার পেট পুরে খাওয়া যাবে না। পেট পুরোপুরি ভরার অনুভূতি হওয়ার আগে খাওয়া বন্ধ করতে হবে। হূদরোগীর জন্য ভরপেট ভোজন ভালো নয়।

-ডা. কাজী মাহবুবা আখতার

সকালের খবর