এ পর্যন্ত মহাকাশে দীর্ঘ সময় ধরে মানুষের বসবাসের উপযোগী স্টেশন তৈরি করেছে কেবল যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। উদ্যোগটি সফল হলে বিশ্ব পরিমণ্ডলের নতুন পরাশক্তি চীনের মহাকাশ অভিলাষের পথে আরেকটি স্বপ্ন পূরণ হবে।
চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া বলেছে, তিয়ানগং-১ বা ‘নভো প্রাসাদ ১’ নামের এ মডিউল (যানের অংশবিশেষ) ২৭ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চীনের গোবি মরুভূমি থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে। এর মাধ্যমে আগামী ১ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় জাতীয় দিবস উদ্যাপনে বাড়তি আনন্দের মাত্রা দিতে চায় সরকার।
সিনহুয়া জানায়, মডিউল তিয়ানগং-১ ও তাকে মহাশূন্যে তোলার জন্য ‘লং মার্চ টু-এফ’ নামের একটি রকেট এরই মধ্যে গানসু প্রদেশের উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, তিয়ানগং-১ যখন কয়েক সপ্তাহ পর উৎক্ষেপিত আরেকটি মহাকাশযানের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার চেষ্টা করবে, তখনই হবে তার আসল পরীক্ষা।
চীনের পরিকল্পিত মহাকাশ স্টেশনে একটি মডিউল, দুটি ল্যাবরেটরি, একটি মালবাহী নভোযান ও একটি মনুষ্যবাহী রকেট থাকবে। স্টেশনের মোট ওজন দাঁড়াবে ৬০ টন। তুলনামূলকভাবে এটি রাশিয়ার পুরোনো মির (১৩৭) ও আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (৪১৯) চেয়ে অনেক হালকা।
চীন গত বছরই মনুষ্যবিহীন মডিউল তিয়ানগং-১-কে মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ অভিযান পিছিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পর চীনই প্রথমবারের মতো এককভাবে মহাশূন্যে নভোচারী পাঠিয়েছে। এএফপি ও রয়টার্স।
0 comments:
Post a Comment