প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক শামীম হোসেনের বাড়ি পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলায়। আর ওই মেয়েটির বাড়ি একই জেলার ঈশ্বরদী উপজেলায়। মেয়েটি পাবনা অ্যাডওয়ার্ড কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁদের দুজনের প্রেমের সম্পর্ক প্রায় ছয় বছর ধরে। ২০১০ সালের শেষের দিকে শামীম হোসেন প্রভাষক হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। গত ১৩ মে ওই মেয়েকে না জানিয়ে শামীম হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষকের মেয়েকে বিয়ে করেন।
এ ঘটনা জানার পর ওই মেয়েটি শামীম হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। মেয়েটি আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন। মোবাইল ফোনে শামীম হোসেনকে ডেকে নিয়ে দুপুর ১২টার দিকে তিনি তাঁকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
প্রধান ফটকে দায়িত্বরত পুলিশ ও প্রহরীরা শামীম হোসেন ও ওই মেয়েকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তরে নিয়ে যান।
শামীম হোসেনের দাবি, এক বন্ধুর মাধ্যমে ওই মেয়েটির সঙ্গে তাঁর পরিচয়। মাঝেমধ্যে মেয়েটির সঙ্গে তাঁর মোবাইল ফোনে কথা হতো। এ ছাড়া মেয়েটির সঙ্গে তাঁর অন্য কোনো সম্পর্ক নেই বলে তিনি দাবি করেন।
তবে মেয়েটির ভাষ্য, বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছয় বছর ধরে শামীম হোসেন তাঁর সঙ্গে প্রেম করে আসছিলেন। কিন্তু ১৩ মে শামীম অন্য মেয়েকে বিয়ে করেন। তিনি এ ঘটনার বিচার চান।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, উভয় পক্ষের অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা ও প্রয়োজনীয় তদন্ত করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0 comments:
Post a Comment