এতে কোনো carbohydrate , চিনি ও trans fat নেই |
এটি রোগ প্রতিরোধ করতে ও রোগ সারাতে সাহায্য করে|
এটি বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায় — লাচ্ছি, সালাদে, রান্নায় এমনকিআলাদা ভাবেও খাওয়া যায়|টক দইয়ের সাথে ফল, মধু ,বাদাম ইত্যাদি মিশিয়েও খাওয়া যায়|
টক দই খাওয়ার উপকারিতা গুলো হচ্ছে :
- এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়| ঠান্ডা লাগা , সর্দি ও জ্বর না হওয়ার জন্য এটি ভালো কাজ করে
- টক দইয়ের উপকারী ব্যাকটেরিয়া ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে এবং শরীরের উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে বাড়িয়ে হজম শক্তি বাড়ায় বা ঠিক রাখে
- এতে lactic acid থাকার কারণে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া ও কোলন cancer এর রোগীদের জন্য উপকারী
- দইয়ের ব্যাকটেরিয়া হজমে সহায়ক| তাই এটি পাকস্থলী/ bowel র ও জ্বালাপোড়া কমাতে বা হজমের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে|
- এতে প্রচুর calcium, riboflavin, vitamin B6,B5 ও vitamin B12 থাকার কারণে এটি খুব দরকারী একটি খাবার|
- এতে প্রচুর calcium ও vitamin D থাকার কারণে হাড় ও দাঁতের গঠনে ও মজবুত করতে সাহায্য করে
- তাই Osteoporosis, Arthritis এর রোগী রা নিয়মিত টক দই খেলে উপকার পান
- কম ফ্যাট যুক্ত টক দই রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এলডিএল কমায়|
- যাদের দুধ সহ্য হয় না বা lactose intolerance আছে, তারা টক দই দুধের বিকল্প হিসাবে খেতে পারেন| কারণ দইয়ের ব্যাকটেরিয়া lactose কে ভেঙ্গে lactic acid তৈরী করে|
- এর আমিষ দুধের চেয়ে সহজে হজম হয়, এটি দুধের চেয়ে অনেক কম সময়ে হজম হয়| তাই যাদের দুধের হজমে সমস্যা তারা দুধের পরিবর্তে এটি খেতে পারেন
- টক দই রক্ত শোধন করে
- উচ্চ রক্ত চাপের রোগীরা নিয়মিত টক দই খেলে রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন
- ডায়বেটিস, হার্টের অসুখ এর রোগীরা নিয়মিত টক দই খেলে এসব অসুখ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন
- নিয়মিত টক দই খেলে তা অন্য খাবার থেকে পুষ্টি নিয়ে শরীরকে সরবরাহ করে |
- কম ফ্যাট যুক্ত টক দই একটি ভালো স্ন্যাকস, কারণ এটি খেলে পেট ভরা বোধ হয় | তাই পুষ্টিহীন খাবার বা বেশি ক্যালরি যুক্ত junk food না খেয়ে পুষ্টিকর টক দই খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করে|
- কারণ এতে আমিষ থাকে, যেহেতু আমিষ হজম হতে সময় লাগে, তাই পেট ভরা বোধ হয় ও শক্তি পাওয়া যায় | অতিরিক্ত খাবারও খেতে ইচ্ছা করে না|
- এর পুষ্টি উপাদানগুলো হজমের সময় তাড়াতাড়ি শরীরে শোষিত হয়ে দ্রুত শরীরকে শক্তি দেয়
- এটা ব্রেইনকে tyrosine সরবরাহ করে, যা মানসিক প্রশান্তি দেয় এবং ক্লান্তি কমায়|
- এতে প্রচুর calcium থাকার কারণে এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে| কারণ সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেছে যে, শরীর যখন প্রচুর calcium পায়, তখন তা ওজন কমাতে সাহায্য করে| আর যখন calcium পায় না, তখন শরীরে ফ্যাট জমতে থাকে|
- টক দই শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে | তাই গ্রীষ্মকালে টক দই খেলে ভালো|
- টক দই শরীরে টক্সিন জমতে বাধা দেয় | তাই অন্ত্রনালী পরিষ্কার রেখে শরীরকে সুস্থ রাখে ও বুড়িয়ে যাওয়া রোধ বা অকাল বার্ধক্য করে| শরীরে টক্সিন কমার কারণে ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়
একবারে এক কাপ টক দই খেতে পারেন| এটি হচ্ছে এক পরিবেশন বা one portion size.
টক দই একটি পুষ্টিকর, তৃপ্তিকর, সর্বজন সমাদৃত ও সহজ লভ্য খাবার| ডেসার্ট বা মিষ্টি জাতীয় খাবার হিসাবে এটি খেতে পারেন| ওজন কমাতে কম ফ্যাট যুক্ত ও চিনি ছাড়া টক দই খাবেন| টক দইয়ের এত গুনাগুন জানলেন এখন এটিকে কি বলবেন ? সুপার খাবার? আমিও তাই বলব | পুষ্টিবিদের কাছ থেকে balance ডায়েট চার্ট নেবার পর থেকে এটি আমার প্রিয় ও নিত্য দিনের খাবার | প্রতিটি মানুষেরই উচিত নিয়মিত টক দই খাওয়া | বিশেষ করে মহিলারা বেশি calcium এর অভাবে ভোগেন এবং নানান রকম রোগ যেমন: arthritis এ ভোগেন, তাই টক দই নিয়মিত খাওয়া উচিত | টক দইয়ের এত পুষ্টি উপাদানের জন্য শিশুরাও এটি খেতে পারে|এছাড়া টক দই ত্বকে ও চুলে মাখলেও সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়|
সূত্র: fitnessbd.com
0 comments:
Post a Comment