সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
স্বপ্ন ধরা দেবে কম্পিউটারে
বেশির ভাগ মানুষ ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখে। কিন্তু ঘুম ভাঙার পর সেই স্বপ্নের
খুব সামান্য অংশই মনে রাখা সম্ভব হয়। অনেক সময় সুস্বপ্ন দেখলেও বেশির ভাগ
সময়েই মানুষের চোখে নামে দুঃস্বপ্ন। অনেক ক্ষেত্রেই সেগুলো আবার দুর্বোধ্য
বলে মনে হয়। ধর্মভীরুরা স্বপ্নের ব্যাখ্যার
জন্য বসেন ‘খাবনামা’ জাতীয় পুঁথি নিয়ে। অন্যরা সেসব উড়িয়ে দেন। কিন্তু
স্বপ্ন দেখা ও স্বপ্নের ফলাফল নিয়ে ভাবনা চেতন বা অবচেতনভাবে মানবমনে চলতেই
থাকে। আদি মানব থেকে বর্তমান পর্যন্ত স্বপ্ন ও তার ব্যাখ্যা নিয়ে চলছে
এভাবেই। এবার বুঝি অধরা স্বপ্নকে কবজা করে তার গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা পাওয়ার সময় হলো। স্বপ্ন এবার ধরা দেবে কম্পিউটারে।
স্বপ্ন
আসলে দেখায় মস্তিষ্ক। প্রতিদিন যা করি, যা দেখি, যা ভাবি, যা অনুভব
করি-সবই অভিজ্ঞতা হয়ে স্মৃতিকণা হিসেবে আমাদের মস্তিষ্কের নিউরন কোষে জমা
হয়। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এভাবেই প্রতিনিয়ত নিউরন কোষে অসংখ্য
স্মৃতিকণা জমা হচ্ছে। ঘুমের সময়ে চোখ বন্ধসহ শরীরের অন্য
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো শিথিল থাকলেও মানব মস্তিষ্ক ঠিকই কাজ করে যায়। এ ছাড়া
ঘুমের আগে বা দিনের বিভিন্ন সময়ে আমরা অনেক কিছুই চিন্তা করি। এসব চিন্তার
সময়ে নিউরন কোষগুলো উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠে। সেগুলোই সাম্প্রতিকসহ অতীতের বিভিন্ন
সময়ের স্মৃতিকণাগুলোকে জুড়ে দিয়ে নানা রকম অণুদৃশ্য তৈরি করে মস্তিষ্কে।
ঘুমন্ত অবস্থায় তারই দৃশ্যরূপ অবচেতন মানসচোখে উন্মুক্ত করে মস্তিষ্ক। আমরা
তাকেই স্বপ্ন বলি। স্বপ্ন দর্শনের সময়ে শরীরের ইন্দ্রিয় ও
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোও সাড়া দেয়। স্বপ্নটা ভালো বা মন্দ হওয়ার ক্ষেত্রে
শারীরিক তাপমাত্রা, মানসিক পরিস্থিতি, ঘরের পরিবেশ, তাপমাত্রা ইত্যাদিও
বিশেষ ভূমিকা রাখে। কিন্তু স্বপ্ন দেখার যতো কারণ যাই খোঁজা হোক, চোখ
খুললেই সেই স্বপ্ন সুদূরে মিলে যায়।
অত্যাধুনিক
এই যুগের বিজ্ঞানীরা মুহূর্তে হাওয়া হয়ে যাওয়া সেই স্বপ্নকে খুঁজে পাওয়া
যায় কি না, তা নিয়ে গবেষণা করছেন অনেক বছর ধরেই। তাঁদের হাইপো থিসিস
অনুসারে, অধরা স্বপ্নটাকে ধরা সম্ভব। কারণ হিসেবে তাঁরা মনে করেন, স্বপ্ন
দেখায় মস্তিষ্ক। আর মস্তিষ্কের যুতসই জায়গায় সময়মতো স্ক্যান করলেই
স্বপ্নটাকে দৃশ্য হিসেবে ধারণ করা সম্ভব। বলা বাহুল্য, এ জন্য কম্পিউটার
প্রযুক্তির সাহায্য নেন তাঁরা। তবে এখনো এই গবেষণায় সরাসরি সাফল্য মেলেনি।
তাই বলে গবেষণাও থেমে থাকছে না। সম্প্রতি জার্মানির মিউনিখের ম্যাঙ্
প্ল্যাংক ইনস্টিটিউটের একদল গবেষক ঘোষণা দিয়েছেন, অচিরেই সেই সম্ভাবনাটা
তৈরি হচ্ছে। আর কিছুদিনের মধ্যেই মানুষের স্বপ্ন দেখার দৃশ্যটা উচ্চতর
কম্পিউটার প্রযুক্তির মাধ্যমে ধারণ করে ফেলা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে কিছুটা সফল
হয়েছেন বলেও দাবি করেছেন তাঁরা। নিয়মিত স্বপ্ন দেখেন এমন ছয় ব্যক্তির
স্বপ্ন দেখার মুহূর্তের কিছু দৃশ্য ধারণ করতে পারার দাবি করে গবেষকদলটির
পক্ষে বলা হয়, এমআরআই স্ক্যান ও অবলোহিত বর্ণালিবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে
তাঁদের স্বপ্নের কিছু দৃশ্য কম্পিউটারে ধারণ করা সম্ভব হয়েছে। অবশ্য
কিছুদিন আগেও পৃথক আরেকটি গবেষণায় এমআরআই স্ক্যানের সাহায্যে স্বপ্নদৃশ্য
কম্পিউটারে ধারণের চেষ্টার কথা জানা গিয়েছিল। তবে ব্যক্তির স্বপ্নের
দৃশ্যগুলো আবছা আবছাভাবে সেখানে ধারণ করা হয়। পরে কম্পিউটারে আগে থেকে
সংগৃহীত বিভিন্ন দৃশ্য ও ছবির সঙ্গে এগুলো মেলানো হয় সেখানে। সেখানে
ব্যক্তির স্বপ্নকে ধরার জন্য মাথায় বিশেষ ধরনের দুটি রডের সংযোগ দেওয়া
হয়েছিল স্ক্যানারের সঙ্গে। জার্মানির এই গবেষণাটিও অবশ্য খানিকটা ভিন্ন।
এখানে ব্যক্তি স্ক্যানারের ওপরে ঘুমিয়ে যান। তাঁকে গভীর ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া
হয়। এরপর মাথার সামনের দিকের বিশেষ অংশে স্ক্যান চালিয়ে যাওয়া হয়। একই
সঙ্গে অবলোহিত বর্ণালিবীক্ষণ যন্ত্র স্বপ্নের রং নির্ণয়ে ভূমিকা রাখে। তবে এ
বিষয়ে বিস্তারিত এখনো প্রকাশিত হয়নি। কেবল বলা হয়েছে, মানুষের সহজবোধ্য
স্বপ্নগুলো আর কিছুদিনের মধ্যেই নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে কম্পিউটারে ধারণ
করা সম্ভব হবে।
অধরা স্বপ্নও ধরা দিতে যাচ্ছে মানব উদ্ভাবিত যন্ত্রে! সেই স্বপ্নের ধারণ করা রূপ এবার জাগ্রত অবস্থায় মানুষকে খুশি করতে পারলেই হয়।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া, মেইল অনলাইন।
কালের কন্ঠ
About the Author
Write About Yourself/Fellow Blogger Here!!!
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Add this widget to your blog
Follow Me on Twitter [at] akashnill
Labels:
গবেষনা,
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
মানব জীবন সারাংশ
যা হয়েছে তা ভালই হয়েছে ,
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
যা হচ্ছে তা ভালই হচ্ছে,
যা হবে তাও ভালই হবে।
তোমার কি হারিয়েছে, যে তুমি কাঁদছ ?
তুমি কি নিয়ে এসেছিলে, যা তুমি হারিয়েছ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছ, যা নষ্ট হয়ে গেছে?
তুমি যা নিয়েছ, এখান থেকেই নিয়েছ,
যা দিয়েছ এখানেই দিয়েছ।
তোমার আজ যা আছে ,
কাল তা অন্যকারো ছিল,
পরশু সেটা অন্যকারো হয়ে যাবে।
পরিবর্তনই সংসার এর নিয়ম ।
জীবন মানে সংগ্রাম
চেয়েছিলাম শীতের কাছে
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
এক বিন্দু শিশির কণা
সে দিলো শৈত্যপ্রবাহ
আর তুষার ঝড়
বস্রহীন মানুষের আর্তনাদ
আর বেচেঁ থাকার যন্ত্রনা..
প্রকৃতির কাছে চেয়েছিলাম
একটি সুখের নীড়
সে দিলো নদীর ভাঙ্গন
আর সর্বনাশা জলোচ্ছ্বাস
এরই নাম জীবন,
বেচেঁ থাকা যায় না সংগ্রামহীন ..
Popular Posts
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2015
- গর্ভবতীর ৯ মাসের বিপদ-আপদ
- সব রোগ নিরাময়ের এক বিধান প্রতিদিন দুই বেলা ত্রিফলা খান
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- রেজিষ্ট্রেশন ফরম
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল 2012
- ২১ শে ফেব্রুয়ারী: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- বিল গেটস এর অবিশ্বাস্য জীবনের কিছু তথ্য
Popular Posts Last 30 Days
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- গীতা সারাংশ
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- কাঁচা বাঁশের লাঠি
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- তৌকির-বিপাশার বিরুদ্ধে মামলা
- এবার বিএনপির আওয়ামীকরণ!
- বুদ্ধি, বুদ্ধাংক (I.Q), বুদ্ধাংক নির্নয় (I.Q Test)
- সাহারা মরুভূমির জানা-অজানা
- ওজন কমলে স্মৃতি বাড়ে!
Popular Posts Last 7 Days
- ডাউনলোড করুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি- প্রকৌশলী মজিবুর রহমান Textbook For Class XI-XII
- গীতা সারাংশ
- বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের এস, এস, সি ২০১১ এর ফলাফল দেখুন
- কাঁচা বাঁশের লাঠি
- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে
- হিপনোটিজম বা সম্মোহনবিদ্যা : নিজেকে সম্মোহিত করুন
- বুদ্ধি, বুদ্ধাংক (I.Q), বুদ্ধাংক নির্নয় (I.Q Test)
- বাৎসরিক বাংলা রাশিফল - ২০১২>>তুলা রাশি
- হুমায়ুন আজাদের প্রবচনগুচ্ছ
- বাধাকপির ভেষজ গুণ
স্মরনীয় বাণী
### আজ যা নির্ভুল বলে জানছি, কাল সেটাকেই চরম ভূল বলে মনে হয়।আজ যেটাকে চমকপ্রদ বুদ্ধি মত্ত্বা বলে ভাবছি, সেটাকেই জানব চরম নির্বুদ্ধিতা
### ‘বন্ধুকুল! পৃথিবীতে বন্ধু বলে কেউ আছে আমি জানিনে। শুধু আমার নয়, কারো আছে কিনা সন্দেহ!বন্ধু পাওয়া যায় সেই ছেলেবেলায় স্কুল-কলেজেই।প্রাণের বন্ধু।তারপর আর না ।’ ‘আর না? সারা জীবনে আর না?’
‘জীবন জুড়ে যারা থাকে তারা কেউ কারো বন্ধু নয়।তারা দু’রকমের।এনিমি আর নন্-এনিমি। নন্-এনিমিদেরই বন্ধু বলে ধরতে হয়।’
স্মরনীয় বাণী
# এই সংসারে নিজের বলতে কেউ নেই। কেউ কেউ আপন হয়, আপনার হতে চায়, ক্ষনকালের জন্য, কিছু দিনের জন্য। তুমি যদি সমস্ত জীবনটাকে ছোট করে হাতের তালুর মধ্যে তুলে ধরে একটা বলের মতো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখো, ‘ত’ দেখবে যে তুমি ছাড়া, তোমার আয়নায় মুখ ছাড়া, তোমার আপনার বলে কেই নেই, সত্যি কেউ নেই।
#মানুষের স্বভাব হচ্ছে অন্যদের টেনশানে ফেলে সে আনন্দ পায়। সৃ্ষ্টিকর্তাও আমাদের টেনশানে ফেলে আনন্দ পান বলেই মানবজাতি সারাক্ষন টেনশানে থাকে।
#মানুষের মহত্ত্বম গুনের একটির নাম কৌতুহল।
হে মানবজাতি তোমরা বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ হও!!!
***যে ব্যক্তি বাক্য, কর্ম ও চিন্তায় সৎ নয়, সে প্রকৃত মানুষ নয়।একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে, একজন পরিপূর্ণ সৎ লোক হতে হবে। যে ব্যক্তি সকল বিষয়ে সৎ থাকে, সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের ধর্ম এর চেয়ে কর্ম বড়।তাই করো ধর্মকে গুরুত্ব না দিয়ে তার কর্মকে গুরুত্ব দেয়া উচিত।***



0 comments:
Post a Comment